বাংলারজমিন
কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক হুদার অপরাধ আমলে নিয়েছে আদালত
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে
(১ বছর আগে) ১৭ আগস্ট ২০২২, বুধবার, ১২:৫১ অপরাহ্ন
কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সেবাগ্রহীতা সাকিবসহ তিনজনকে চেয়ার ছুড়ে মারা ও মারধর করার অভিযোগ ওঠে উপ-পরিচালক নুরুল হুদার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহে গেলে দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার রিপোর্টার মো. সাফি ও রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য ম্যাক নিউজের রাকিবুল রানাকে লাঞ্ছিত করা হয়। ভিডিও ধারণের সময় ছিনিয়ে নেয়া হয় মোবাইল। গত ১৮মফ এপ্রিল সোমবার দুপুর ১২টায় কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এ ঘটনা ঘটে। সেদিনই এই ঘটনার একটি ভিডিও সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই ঘটনার সংবাদ প্রকাশিত হলে তা আদালতের নজরে আসে।
২৬ এপ্রিল বিকেল ৫টায় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের বিষয়টিকে সামনে এনে কুমিল্লা ১ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্বাস উদ্দিন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে র্যাবকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে আদালত তদন্তের নির্দেশ দেয় পিবিআইকে।
জানা গেছে, আদালতের আদেশের পর গত ১২ই আগস্ট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআই কুমিল্লার পরিদর্শক মো. আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ। তদন্ত প্রতিবেদনে প্রকাশিত সংবাদের প্রাথমিক সত্যতা মিলে। প্রাথমিক সত্যতার ওপর ভিত্তি করে গতকাল ১৬ই আগস্ট কুমিল্লা ১ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্বাসউদ্দিন পাসপোর্ট অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে ৩২৩ ও ৩৫২ ধারায় অপরাধ আমলে নিয়ে সমন ইস্যুর নির্দেশ দেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্বাস উদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি আদেশনামায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।
আদেশনামায় উল্লেখ করা হয়, দাখিলীয় তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, তদন্তকারী কর্মকর্তা ভিকটিম মো. সাকিব, ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষ সাক্ষী সাংবাদিক মো. রকিবুল ইসলাম রানা ও মো. সাফিসহ ঘটনা সংশ্লিষ্ট মোট ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬১ ধারার বিধানমতে লিপিবিদ্ধ করেছেন এবং তদন্তে প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজ জব্দ করেছেন।
বর্ণিত অবস্থায় অভিযুক্ত উপ-পরিচালকের ৩২৩ ও ৩৫২ ধারার অপরাধ আমলে নেওয়া হলো। যেহেতু সরকারি কর্মচারীআইন, ২০১৮ এর ৪১(৩) ধারায় সরকারি কর্মচারীরর বিরুদ্ধে কোনো আদালতে মোকদ্দমা বিচারাধীন থাকলে উক্তকর্মচারীর নিয়োগকারী বা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে, সেহেতু পরবর্তী আইনানুগব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে ইমিগ্রেশন ও পাসাপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আদেশ লিপি প্রেরণ করা হোক। সমন তামিলের জন্য পরবর্তী ধার্য তারিখ ১৮ই সেপ্টেম্বর।