৫৮ বছর বয়সেও পেশাদার ফুটবলে জাপানের স্ট্রাইকার

বিশ্বফুটবলে অনন্য এক কীর্তি গড়েছেন জাপানের কাজুয়েশি মিউরা। চোট আর বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মাঠে ফিরেছেন এই ৫৮ বছর বয়সী স্ট্রাইকার। সম্প্রতি ৪০তম পেশাদার মৌসুমে নেমে নতুন কীর্তি গড়া ‘কিং কাজু’ বলেছেন, এখনই তার থামছেন না তিনি। 
জাপানের চতুর্থ স্তরের লীগে রোববার খেলতে নামেন মিউরা। তিনি নিজ দেশের তো বটেই, বিশ্বফুটবলেরই সবচেয়ে প্রবীণ পেশাদার খেলোয়াড়। গত ফেব্রুয়ারিতে ৫৮ বছর বয়সে পা দেন মিউরা। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী পেশাদার ফুটবলারের তকমা বহন করছেন অনেক দিন ধরেই। ৪০তম মৌসুমে নেমে তা আরও বাড়িয়ে রাখলেন তিনি। গত জুনে জাপানের ক্লাব সুজুকায় দেড় বছরের চুক্তি স্বাক্ষরের আগে জানুয়ারি থেকে চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন মিউরা। গত মার্চে শুরু হওয়া ‘জাপান ফুটবল লীগ’-এ ইয়োকোহামার বিপক্ষে সুজুকার হয়ে তিনি নামেন ৮২তম মিনিটে। ম্যাচে ২-১ গোলে জেতে তার দল। অনেক দিন ধরেই শুধুমাত্র বদলি হিসেবেই খেলে আসছেন মিউরা, খেলেন স্রেফ কয়েক মিনিট। তবে এই প্রবীণ বয়সেও তিনি পেশাদার ফুটবলে চড়ে বেড়াচ্ছেন, সেটিও তো কম বিস্ময়কর কিছু না। ম্যাচ শেষে তার স্বদেশি সংবাদ সংস্থা কিয়েদোকে তিনি জানান, এখনই থামছেন না। মিউরা বলেন, ‘আমি আরও ম্যাচ খেলতে চাই, নিজের মানসিকতা মেলে ধরতে চাই। সবার সহায়তায় ও সমর্থনে সুস্থ হয়ে উঠে ম্যাচটি খেলতে পেরেছি। এখান থেকে আবার নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে চাই।’ 
গেলো বছর জাপানে ফেরার আগে পর্তুগালের দ্বিতীয় স্তরের ক্লাব অলিভেইরেন্সে দুই মৌসুম খেলেন মিউরা। ইয়োকোহামা থেকে ধারে গিয়ে সেখানে ৯ ম্যাচ খেলেন তিনি। ১৯৮৬তে ব্রাজিলের ঐতিহাসিক ক্লাব সান্তোসে পেশাদার ফুটবলে অভিষেক হয় তার। পরে খেলেন ইতালি, ক্রোয়েশিয়া আর অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন ক্লাবে। ১৯৯৩তে জাপানে পেশাদার ফুটবল জে-লীগ চালু হলে দেশের ফুটবলের জনপ্রিয়তা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মিউরা।