খেলা
অকল্যান্ডের জালে ১০ গোলের উৎসব বায়ার্নের
স্পোর্টস ডেস্ক
(৬ ঘন্টা আগে) ১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:২১ পূর্বাহ্ন

জার্মান জায়ান্ট ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের সামনে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড সিটি বলতে গেলে শিশু। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে বাভারিয়ানরা শুরুও করল সেভাবেই। রোববার ১০-০ গোলের জয়ের দিন বায়ার্ন রেকর্ড গড়েছে দুটি। বদলি হিসেবে মাঠে নেমে ১৭ মিনিটের ব্যবধানে হ্যাটট্রিক করেছেন জামাল মুসিয়ালা।
এর আগে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় কোনো দল ৬টির বেশি গোল করতে পারেনি। আর কোনো দল জিততে পারেনি ৫ গোলের ব্যবধানে। দুটি রেকর্ডই এতদিন ছিল সৌদি প্রো লীগের ক্লাব আল হিলালের। ২০২১-এ সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাব আল জাজিরার বিপক্ষে ৬-১ গোলে জেতে তারা। বায়ার্ন মিউনিখ যেমন বিশ্ব ফুটবলের ঐতিহাসিক একটি দল, বিপরীতে অকল্যান্ড সিটিকে ফুটবলে ‘পার্ট টাইমার’ হিসেবে আখ্যা দেয়া যায়। ক্লাবটির সবাই অন্য কোনো পেশায় জড়িত, কেউ ছাত্র, কেউ শিক্ষক আবার কেউ এস্টেট এজেন্ট। এমনকি তাদের কোচ ইভান ভিসেলিচের মতো দলের অনেকেই খেলছেন বিনা বেতনে, মূল পেশা থেকে ছুটি নিয়ে। সিনসিনাটি টিকিউএল স্টেডিয়ামে এদিন গোলের দিকে বাভারিয়ানরা শট নেয় গুনে গুনে ৩১টি, যার মধ্যে লক্ষ্যে থাকে ১৭টিই। বিপরীরে ১টি শটই লক্ষ্যে রাখতে পারে অকল্যান্ড। পুরো ম্যাচে ৭২ শতাংশ বল নিজেদের পায়ে রাখা বায়ার্ন অনুমিতভাবেই শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল প্রদর্শন করে। প্রথম থেকেই নিজেদের ডি বক্স ও তার আশেপাশে অবস্থান নেয় অকল্যান্ড। স্বাভাবিকভাবেই রক্ষণে জোর দেয়ার চেষ্টা করে দলটি। তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ষষ্ঠ মিনিটে হেড থেকে বায়ার্নের উদ্বোধনী গোলটি করেন কিংসলে কোমান। বিরতির বাঁশি বাজার আগে আরও পাঁচবার লক্ষ্যভেদ করে বাভারিয়ানরা। অষ্টাদশ মিনিটে সাশা বুয়ের গোলের মিনিট দুয়েকের মধ্যে জালে বল পাঠান মাইকেল ওলিসে। ২১তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোলটি করেন কোমান। ৪৫তম মিনিটে আরেক গোল করেন টমাস মুলার। যোগ করা তৃতীয় মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ওলিসে। মাঠে ফিরেও বহাল থাকে গোলের ধারা। ৬১তম মিনিটে হ্যারি কেইনের বদলি হিসেবে মাঠে নামা মুসিয়ালা ৬৭ ও ৭৩তম মিনিটে জোড়া গোল করেন। পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় গোলের পর হ্যাটট্রিক গোলের জন্য এই জার্মান মিডফিল্ডারের অপেক্ষা করতে হয় স্রেফ ৯ মিনিট। দুর্দান্ত এক ভলিতে নিজের দ্বিতীয় আর দলের শেষ গোলটি করেন মুলার।