আইসিসি’র সবুজ সংকেত নিয়েই বাংলাদেশে এসেছি

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চলছিল সভাপতি ফারুক আহমেদসহ ১০ জন পরিচালক নিয়ে। এরমধ্যে আটজনই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) বরাবর চিঠি দিয়ে সভাপতি ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে অনাস্থার কথা জানিয়েছেন। তাদের আবেদন, ফারুককে যেন এনএসসি কোটায় পরিচালক পদ থেকে প্রত্যাহার করে নেয়। সবশেষ সংবাদ, এনএসসি তাদের সেই আবেদন গ্রহণ করেছেন। সেটি হলে আর বিসিবি সভাপতি থাকছেন না ফারুক। অন্যদিকে, নতুন পরিচালক হয়ে বিসিবিতে আসছেন দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তিনি হতে যাচ্ছেন বিসিবি’র সভাপতি। জানা গেছে, তিনি বিসিবি’র নির্বাচন আয়োজন পর্যন্ত তিন মাস এই দায়িত্ব পালন করবেন। এরইমধ্যে এনএসসি’র প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন দৈনিক মানবজমিনকে। এমনকি তিনি জানান, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল আইসিসি’র সবুজ সংকেত নিয়েই তিনি দেশের ক্রিকেটের জন্য ছুটি নিয়ে কাজ করতে এসেছেন। বুলবুল বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছে সরকারের পক্ষে আপনাকে কোনো দায়িত্ব দিলে তা পালনে আগ্রহী কি না? আমি বলে দিয়েছি, হ্যাঁ আগ্রহী। আমি যেহেতু আইসিসিতে চাকরি করি সে কারণে তাদের জানিয়েছি যে, আমি দেশের ক্রিকেটের জন্য কাজ করতে চাই। তারা বলেছেন যে, তুমি যেতে পারো, দেশের জন্য কাজ করো, এতে কোনো সমস্যা নেই।’ অন্যদিকে, কেন এই দায়িত্ব পালনে বুলবুল রাজি হয়েছেন তা নিয়ে চলছে নানা কথোপকথন। এ নিয়ে অবশ্য বুলবুল অকপটে জানিয়েছেন, নিজের বিসিবি’র দায়িত্ব নেয়ার আগ্রহের কারণটা। তিনি বলেন, ‘আমাকে তো বহু বছর ধরেই বিসিবিতে কাজ করতে বলে, তবে তা ছিল অর্ধেক অর্ধেক বলা। আমি বলি- আমি সুযোগ পাই না, আমাকে বলা হয় না। যেহেতু এবার আমাকে প্রপারভাবে বলা হয়েছে, আমি সঙ্গে সঙ্গে হ্যাঁ বলে দিয়েছি। কোনো দিক চিন্তা না করেই। এইটাই হচ্ছে আমার বিসিবি’র দায়িত্ব নেয়ার ক্ষেত্রে সত্য ঘটনা। আর যত যা শুনছেন সেগুলো সত্যি না। এদিক-ওদিক নানা কথা লেখা হচ্ছে- তা সত্য না।’

এ ছাড়াও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সামনে এখন সবচেয়ে ভয়ের কারণ- ফারুক আহমেদকে অপসারণ করতে আইসিসি কোনো ব্যবস্থা নিবে কি না। কারণ তিনি পদত্যাগ করতে রাজি নন। বিশেষ করে সরকারি হস্তক্ষেপ প্রমাণ হলে আইসিসি বিসিবিকে নিষিদ্ধ করতে পারে এমন একটি ভয় রয়েছে। এ বিষয়ে বুলবুল বলেন, ‘আমারটার বিষয় হচ্ছে- আইসিসিতে আমি চাকরি করি তারা আমাকে সবুজ সংকেত দিয়েছে ছুটি নিয়ে কাজ করলে আমার কোনো সমস্যা হবে না। আর বিসিবিতে এখন যা হচ্ছে তাতে আইসিসি’র কোনো নিয়ম ভাঙছে বলে আমি মনে করি না। যদিও এই বিষয়টাতে আমি বিশেষজ্ঞ না। তারপরও আমার মনে হয় যে, আমাকে নেয়ার পরে বাংলাদেশ সরকার যদি মনে করে বা বোর্ড যদি মনে করে আমি প্রস্তুত না বা আমি কাজ করতে পারছি না, তখন আমাকে সরিয়ে দিতে পারে। কারণ আমি তো সরকারের মনোনীত লোক, তারা যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আইসিসি এখানে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না।  তারা তখনই হস্তক্ষেপ করবে যদি বিসিবি’র নির্বাচন ঠিকভাবে না করেন, সেখানে বাধা দেই, সরকারের ১০ জন লোককে বিসিবিতে সুযোগ করে দেই তখন। এটা কোনো ব্যাপার না আমার জানামতে। এখানে একটা যুজুর ভয়ও আছে আমার জানামতে। প্রথম ৫ই আগস্ট যে আন্দোলনটা হলো, তখন দেশের যে পরিস্থিতি ছিল এমন জরুরি অবস্থাতে আইসিসি হস্তক্ষেপ করে না।’