বুলবুল হবেন সভাপতি, জানেন না ফারুক

আমিনুল ইসলাম বুলবুল হতে পারেন বিসিবি’র ‘সভাপতি’! ক্রিকেট পাড়ায় এই গুঞ্জন এখন তুঙ্গে। এরই মধ্যে দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান এসেছেন বাংলাদেশে। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা আরো বড় আকার ধারণ করেছে। শুধু তাই নয়, গুঞ্জন রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজনকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে দায়িত্ব থেকে। তার পরিবর্তে সিইও’র দায়িত্ব পেতে পারেন বিসিবি’র বর্তমান মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম। এছাড়াও সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবরে বিসিবি’র নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু আলেচনা চলছে নির্বাচনের আগেই বোর্ড ভেঙে গঠন করা হবে অ্যাডহক কমিটি! তবে এ নিয়ে  কোন কিছুই জানেন না বিসিবি’র সভাপতি ফারুক আহমেদ। দৈনিক মানবজমিনকে তিনি বলেন, ‘বুলবুল সভাপতি হবে বা বোর্ড ভেঙে দিয়ে অ্যাডহক কমিটি হবে এমন কোনো কিছুই আমি জানি না। এমনকি সিইও পরিবর্তনের বিষয়ও না। আমি কাজ করে যাচ্ছি এমন কোনো কিছু আমার এখন পর্যন্ত জানা নেই।’ বিসিবি’র সভাপতি হিসেবে গেল বছর ২১শে আগস্ট দায়িত্ব নেন ফারুক আহমেদ। 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তাকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায় বিসিবি পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেন। তারপরই তিনি বোর্ডের পরিচালকদের ভোটে সভাপতি হন। গণআন্দোলনে দেশের সরকার পরিবর্তনের পর টানা ১২ বছর সভাপতি থাকা নাজমুল হাসান পাপন দেশ ছাড়েন। তার সঙ্গে চলে যান বেশ কয়েকজন পরিচালকও। এরপরই সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক, প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগও আলোড়ন সৃষ্টি করে। এর মধ্যে তিনি বিসিবি থেকে ১২০ কোটি টাকার এফডিআর সরিয়েছেন এমনও অভিযোগ ওঠে। তবে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিসিবি থেকে জানানো হয় ১২০ নয় ২৩৮ কোটি টাকার এফডিআর তিনি দুর্বল ব্যাংক থেকে তুলে তা নিরাপদ ঘোষিত ব্যাংকে রেখেছেন। এতে করে পূর্বের তুলনায় বিসিবি’র বেড়েছে লভ্যাংশ। শুধু তাই নয়, বিসিবি নতুন যে ব্যাংকে টাকা রেখেছেন তাদের অনেকেই বিভিন্ন ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক সিরিজে হচ্ছে স্পন্সরও। 

অন্যদিকে শনিবার বিসিবি’র জরুরী কার্যনির্বহী কমিটির সভা। জানা গেছে সেদিন গঠনতন্ত্র সংশোধনসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে হবে আলোচনা।  যদিও গুঞ্জন রয়েছে সেই সভাতেই বোর্ড ভেঙে দিয়ে অ্যাডহক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তের বিষয়টি। আবার নতুন করে যোগ হতে পারে কয়েকজন পরিচালক। তবে বিসিবি’র  সিনিয়র প্রভাবশালী এক পরিচালক বিষয়টিকে একেবারেই গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘আমিও এমন কিছু কথা শুনছি। কিন্তু আমরা বিসিবিতে থেকেও তা জানি না কেন বুঝতে পারছি না। বোর্ড ভাঙার একমাত্র এখতিয়ার রাখে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। সেখান থেকে এমন কোনো নির্দেশ বা চিঠি আসেনি সেটি বলতে পারি। আমার কাছে জানতে চাইলে বলবো গুজবই বেশি হচ্ছে বিসিবি নিয়ে। জরুরী সভার অ্যাজেন্ডা এখনো আমরা জানি না।’ তবে বিসিবি নির্বাচনকে ঘিরে এরই মধ্যে উত্তপ্ত দেশের ক্রিকেট অঙ্গন। সবেচেয়ে বেশি আলোচনা- নয়া সভাপতি আসছেন নাকি টিকে যাবেন ফারুক আহমেদই। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি নাম আলোচনায় এসেছে। সদ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলা তামিম ইকবালও আছেন। কিন্তু বিসিবি’র এক সাবেক পরিচালকের দাবি সমীকরণ তামিমের জন্যও এত সহজ নয়। তাকে পরিচালক হয়ে আসতে হবে সবার আগে। ক্লাব বা বিভাগ থেকে এখনই আসা সম্ভব নয়। একমাত্র জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকেই মনোনিত পরিচালক হয়ে আসার সুযোগ আছে।