হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলে ফেরার আশায় বিশ্বনাথ

আগামী ৯ই অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে হোম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ম্যাচটির ভেন্যু এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে বাফুফে চাইছে ম্যাচটি সিলেটে আয়োজন করতে। আর এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের এই হোম ম্যাচ দিয়ে আবারো লাল সবুজের জার্সি গায়ে জড়াতে চান ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ। পেশির চোটের কারণে গত বছর সেপ্টেম্বরে ভুটান ম্যাচের পর থেকেই দলের বাইরে আছেন এই ডিফেন্ডার। জাতীয় দলের পাশাপাশি খেলতে পারেননি ঘরোয়া মৌসুমে বসুন্ধরা কিংসের হয়েও। গত বছর ডিসেম্বরে থাইল্যান্ডে পায়ের অস্ত্রোপচারের পর, এখন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন বিশ্বনাথ। নিজেকে ফিরে পেতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি।
গেল কয়েকদিন দেশের ফুটবল নিয়ে সমর্থকরা মেতে উঠেছিলেন নবজাগরণের উৎসবে। হামজা, শমিত, তপু বর্মণের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার কথা ছিল দেশের ফুটবলের রক্ষণের অতন্দ্রপ্রহরী বিশ্বনাথ ঘোষের। ২০১৮ সালে জাতীয় দলে অভিষেকের পর থেকেই বিশ্বনাথ ছিলেন দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। লাল সবুজের অনেক জয়ের বড় কাণ্ডারী ২৫ বছর বয়সী বিশ্বনাথ। সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ দলের হয়ে সবশেষ ম্যাচ খেলেছেন ভুটানের বিপক্ষে। এরপরেই ক্যারিয়ারে নেমে আসে অন্ধকার। পেশির চোটে পড়ে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামতে পারলেও, পরের ম্যাচ আর খেলতে পারেননি। দুই ম্যাচের একটিতে বাংলাদেশ জিতলেও অন্যটিতে হেরে যায়। জাতীয় দলের মতো ঘরোয়া লীগেও বিশ্বনাথের শূন্যতায় ভুগতে হয়েছে বসুন্ধরা কিংসকে। এফসি চ্যালেঞ্জ লীগ, জাতীয় দলের হয়ে মালদ্বীপের বিপক্ষে নভেম্বরে দুই ফিফা প্রীতি ম্যাচ সহ মৌসুমের বাকি ম্যাচগুলোতে আর মাঠে নামতে পারেননি বিশ্বনাথ। গত ডিসেম্বরে থাইল্যান্ডে অস্ত্রোপচার হয়েছে তার। দেশরে ফুটবলের এই বাক বদলের সঙ্গী হতে না পারা কষ্ট দেয় তাকে। বিশ্বনাথ ঘোষ বলেন, ‘দেশের হয়ে খেলাটা আসলে ভাগ্যের ব্যাপার, গর্বের বিষয়। তবে ইনজুরি জীবনের অংশ। এটা প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই আসবে। এখান থেকে ওভারকাম করতে হবে। যদি সুস্থ থাকতাম, তাহলে হয়তো মাঠে থাকতাম কিংবা ম্যাচ খেলতাম। এটা আসলে খারাপ লাগে, এখন মাঠের বাইরে থেকে খেলা দেখি।’ পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় প্রতিদিনই নিজেকে ফিরে পেতে লড়াই করে যাচ্ছেন বিশ্বনাথ। আশা রাখেন, নতুন মৌসুমে ঘরোয়া লীগে খেলার পাশাপাশি অক্টোবরেই জাতীয় দলে ফেরার। এ ডিফেন্ডার বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যে রিহ্যাব শুরু করেছি। সবকিছু ঠিক থাকলে তাড়াতাড়ি মাঠে ফেরার আশা করছি। চিকিৎসকের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী সবকিছু করছি । রাইটব?্যাক পজিশনে কোচ হাভিয়ের কাবরেরার অটো চয়েজ ছিলেন বিশ্বনাথ । তার ইনজুরির পর থেকে এই পজিশনে বেশ কয়েকজনকে খেলিয়েছেন কাবরেরা। সবশেষ ভুটান ম?্যাচে র?্যাইটব?্যাক পজিশনে খেলেছেন তাজউদ্দিন। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে আবার তাজকে বসিয়ে শাকিল আহাদ তপুকে খেলিয়েছেন বাংলাদেশ দলের স্প্যানিশ কোচ। কিংসের লীগ শিরোপা না পাওয়ার পেছনে বিশ্বনাথের ইনজুরি অন্যতম কারণ বলে মনে করেন অনেকে। ঠিকঠাক ডিফেন্ডিংয়ের পাশাপাশি লং থ্রো-ইন করতে পারেন বিশ্বনাথ। যে সার্ভিসটাও মিস করছে বাংলাদেশ। টাঙ্গাইলে বেড়ে ওঠা বিশ্বনাথ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ৪২ ম্যাচ। ক্লাব ফুটবলে ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে শুরু। বসুন্ধরা কিংসে যোগ দেওয়ার আগে খেলেছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রে।