মেসিদের ম্যাচের নায়ক আরেক আর্জেন্টাইন

উদ্বোধনী ম্যাচে মিশরের আল আহলির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র দিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে ইন্টার মায়ামি। ম্যাচে হারও দেখতো পারতো লিওনেল মেসির দল। তবে রোমাঞ্চকর ম্যাচে মায়ামি ১ পয়েন্ট পেয়ে যায় আরেক আর্জেন্টাইন তারকার নৈপুণ্যে। গতকাল ম্যাচে পেনাল্টি রুখে দেন মায়ামির আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক অস্কার উস্তারি। ফ্লোরিডার হার্ড রক স্টেডিয়ামে আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক পর্বকে ঘিরে বল মাঠে গড়াতে কিছুটা দেরি হয়। লোকজনের অনাগ্রহ, টিকিট বিক্রিতে সাড়া না পাওয়া, সব নিয়ে মেসিদের ম্যাচ নিয়ে টুর্নামেন্টের আগে থেকেই আলোচনার কমতি ছিল না। তবে শুরুর দিন দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। ৬৫ হাজার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়ামে দর্শক উপস্থিতি দাঁড়ায় ৬০ হাজার ৯২৭ জনে। ম্যাচ জুড়ে ৫৫ শতাংশ বল নিজেদের পায়ে রাখা মায়ামি গোলের দিকে ১৪টি শটের মধ্যে ৫টি লক্ষ্যে রাখে। আর আহলির ১১টির মধ্যে লক্ষ্যে থাকে ৮টি শট। মিশরের ক্লাবটি প্রথমার্ধের শেষ দিকেই একটি পেনাল্টি পেয়ে যায়। তবে মাহমুদ ত্রেজেগের নেয়া শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন মায়ামি গোলকিপার অস্কার উস্তারি। ম্যাচ জুড়ে এমন সব সেভের কারণে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছে এই ৩৮ বছর বয়সী গোলকিপারের হাতে। ৪৩তম মিনিটের এই একটি সেভই নয়, মেসির এই স্বদেশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেভ করেন ৮টি। আর্জেন্টাইন সমর্থকদের উস্তারিকে বেশ ভালোভাবেই চেনার কথা। ২০০৫-এ অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপজয়ী দলের গোলকিপার ছিলেন উস্তারি, যেটি ছিল দেশের হয়ে লিওনেল মেসির প্রথম কোনো শিরোপা। পরে ২০০৮-এ বেইজিং অলিম্পিকের স্বর্ণ জেতেন দুজন একসঙ্গে। মেসি নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারলেও পরে আলমেরিয়ায় যোগ দেয়া উস্তারি জাতীয় দলে নিজের জায়গা করতে পারেননি, খেলতে পারেন স্রেফ দুটি ম্যাচ। ম্যাচে দুর্দান্ত পরীক্ষা দিয়েছেন আল আহলির গোলকিপার মোহাম্মদ এল শেনাউইও। ৯০ মিনিটে মোট ৫টি সেভ করেছেন এই ৩৬ বছর বয়সী গোলকিপার। বিরতির পর মাঠে ফিরে নিজেদের কিছুটা গুছিয়ে নেয় মায়ামি। মেসিও কিছুটা ঝলক দেখান এই অর্ধে। ৬৪তম মিনিটে মায়ামি অধিনায়কের ফ্রি কিক গিয়ে লাগে সাইডনেটে। ৮৪তম মিনিটে মেসির বাঁ প্রান্তের ক্রসে ফাফা পিকোর হেড বেরিয়ে যায় উপরের ক্রসবার স্পর্শ করে। যোগ করা ষষ্ঠ মিনিটে আর্জেন্তাইন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মেসির ডান প্রান্তের দূরপাল্লার শট কোনোরকমে ফিরিয়ে দিয়ে জাল বাঁচান আহলি গোলকিপার শেনাউই। ম্যাচ শেষে যদিও ফল নিয়ে সন্তুষ্টিই প্রকাশ করেন মায়ামি 
বস হাভিয়ের মাসচেরানো। তিনি বলেন, ‘আমি পারফর্মেন্স নিয়ে খুশি। প্রথমার্ধে আমরা বলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারিনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে অনেক ভালো খেলেছি।’ এই ড্রয়ে মায়ামি ও আল আহলি দু’দলের জন্যই নকআউট পর্বের টিকিট কিছুটা কঠিন হয়ে পড়েছে। গ্রুপের অন্য দুই দল পর্তুগালের এফসি পোর্তো ও ব্রাজিলের পালমেইরাস। পরবর্তী ম্যাচে বৃহস্পতিবার পর্তুগিজ ক্লাবটির বিপক্ষে মাঠে নামবে মেসিরা। একই দিনে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির সঙ্গে লড়বে আল আহলি।