টেস্ট চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা যত টাকা পেলো, বাংলাদেশ পেলো কত

পর্দা নেমেছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩-২০২৫ চক্রের। আইসিসি’র তিন ফরম্যাটের কোনো বৈশ্বিক আসরের প্রথম শিরোপা জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, আইসিসি ট্রফি-খরা কেটেছে ২৭ বছর পর। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে মোটা অঙ্কের অর্থও ঢুকেছে প্রোটিয়াদের পকেটে। শুধু চ্যাম্পিয়ন কিংবা রানার্সআপ নয়, বিপুল অর্থ পাচ্ছে বাংলাদেশও। 
ক্রিকেটের তীর্থভূমি খ্যাত লর্ডসে শনিবার প্রায় তিন দশকের আক্ষেপ ঘুচিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ২৮২ রানের লক্ষ্যে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই ৫ উইকেট হাতে রেখে পৌঁছে যায় প্রোটিয়ারা। আগের দিন জয়ের থেকে স্রেফ ৬৯ রান দূরে থেকে দিনের শেষ করে এইডেন মার্করাম ও টেম্বা বাভুমা, হাতে ছিল ৮ উইকেট। রেকর্ডগড়া ব্যক্তিগত ১৩৬ রানে ওপেনার মার্করাম পঞ্চম উইকেট হিসেবে ফিরে গেলে জয়ের থেকে স্রেফ ৬ রান দূরে থাকে দল। ৮৩.৪ ওভারে জয়ের উল্লাসে মাতে চ্যাম্পিয়নরা। ফাইনালের আগেই গত মে মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) জানায়, এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে দেয়া হবে সর্বোচ্চ অর্থপুরস্কার। সে হিসেবে, প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া প্রতিটি দলই কমবেশি অর্থ পাচ্ছে। যারা যত বেশি উপরে থেকে চক্র শেষ করেছে, তাদের পকেটে ঢুকছে তত বেশি অর্থ। সব মিলিয়ে এবারের আসরের মোট পুরস্কার ৫.৭৬ মিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭০ কোটি টাকা। এটি আগের দুই আসরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। গত দুই আসরের জয়ী নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ট্রফির পাশাপাশি পায় ১.৬ মিলিন ডলার করে, প্রায় ১৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এবার তার দ্বিগুণ অর্থ ঢুকছে দক্ষিণ আফ্রিকার পকেটে। প্রোটিয়ারা অর্থপুরস্কার হিসেবে পেয়েছে ৩.৬ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৩ কোটি ৬৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। গতবারের চ্যাম্পিয়ন ও এবারের রানার্সআপ অজিদের পকেটে ঢুকেছে ২.১৬ মিলিয়ণ ডলার (২৬ কোটি ২৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা)। এই অঙ্কও আগের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেশি। তিনে থেকে শেষ করা ভারত পাচ্ছে ১৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার। চতুর্থ হওয়া নিউজিল্যান্ডের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ১২ লাখ ডলার। পাঁচ ও ছয়ে থাকা ইংল্যান্ড আর শ্রীলঙ্কা পাবে যথাক্রমে ৯ লাখ ৬০ হাজার ডলার ও ৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্র সাতে থেকে শেষ করা টাইগাররা পাচ্ছে ৭ লাখ ২০ হাজার ডলার, দেশিয় মুদ্রায় যা ৮ কোটি ৭৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এছাড়া আট ও নয়ে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর পাকিস্তান পাবে যথাক্রমে ৬ লাখ ও ৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার।