ছক্কার বৃষ্টিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের

আয়ারল্যান্ড সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই মাচ ভেসে যায় বৃষ্টিতে। শেষ ম্যাচের সুযোগকে দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের পথে ছক্কাবৃষ্টি করেছে ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা। ৬২ রানের জয়ে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করেছে সফরকারী দল। অন্যদিকে অভিষেক ম্যাচে ৪ ওভারে ৮১ রান খরচ করে অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড গড়েছেন আইরিশ পেসার লিয়াম ম্যাকার্থি।
টসে জিতে রোববার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় স্বাগতিক দল। ৫ উইকেটে ক্যারিবিয়ানদের দেয়া ২৫৭ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে আইরিশরা ৭ উইকেটে সংগ্রহ করতে পারে ১৯৪ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০ ওভারে হাঁকিয়েছে ২০টি করে ছক্কা ও চার। টি-টোয়েন্টিতে দলটির কোনো ইনিংসে এর চেয়ে বেশি ছক্কা আছে কেবল একবার। অন্যদিকে সীমিত ওভারের সংস্করণে স্রেফ ছয়, চারেই প্রথমবার দুইশ’ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দশম ওভারে প্রথম উইকেট হিসেবে যখন অধিনায়ক শাই হোপ আউট হলেন, তখন সফরকারীদের দলীয় রান ১২২। শুরু থেকেই বোলারদের ওপর চড়াও হন তিনিসহ আরেক ওপেনার এভিন লুইস। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই দল ও জুটির ফিফটি স্পর্শ করে ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভার থেকে আসে ৭০ রান। ২৯ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন লুইস, ৫২ বলে প্রথম উইকেটের এই জুটি ছুঁয়ে ফেলে শতরান। ২৭ বলে চারটি করে ছয় ও চারে ব্যক্তিগত ৫১ রানে ফেরেন হোপ। দলের খাতায় স্রেফ ২ রান যোগ করে ফিরে যান তিনে নামা রভম্যান পাওয়েল। সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে ফিরে যান লুইস। ৪৪ বলে ৮ ছক্কা ও ৭ চারে এই বাঁহাতি ব্যাটার করেন ব্যক্তিগত ৯১ রান। দু’টি উইকেটই নেন ৪ ওভারে স্রেফ ১৬ রান খরচ করা ম্যাথু হাসফ্রেজ। ব্যক্তিগত ১৫ রানে আউট হন শিমন হিটমায়ার। ২২ বলে চারটি করে ছক্কা ও চারের মারে ব্যক্তিগত ৪৯ রানে দলীয় সংগ্রহ আড়াইশ’ ছাড়ান অভিষেক হওয়া কেসি কার্টি। ৩ ছক্কায় ব্যক্তিগত ১৯ রানে আরেক প্রান্তে থাকেন রোমারিও শেফার্ড। অভিষিক্ত পেসার ম্যাকার্থি ৪ ওভারে রান দেন ৮১, টি-টোয়েন্টির অভিষেকে এর আগে কোনো বোলারই হজম করেননি এত রান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এর চেয়ে খরুচে বোলিং আছে শুধু একটি।
রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন অধিনায়ক পল স্টার্লিং (১৩)। পরের উইকেটে আয়ারল্যান্ডের প্রথম শতরানের জুটি উপহার দেন ক্যারি টেক্টর ও রস অ্যাডায়ার। ব্যক্তিগত ৩৮ রানে হ্যারি টেক্টরকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে ১০১ রানের জুটিটি ভাঙেন রোস্টন চেইস। ব্যক্তিগত ফিফটি থেকে দুই রান দূরে থেকে সাজঘরে ফেরেন অ্যাডায়ার। পরে আর কেউ তেমন দলের হাল ধরতে পারেননি। মার্ক অ্যাডায়ারের ১৪ বলে ব্যক্তিগত ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংস স্রেফ হারের ব্যবধানটাই কমায়। পূর্ণ কোটার ওভারে ২৭ রানের খরচে ৩ উইকেট নেন আকিল হোসেন।