ঢাকা, ১৫ জুন ২০২৫, রবিবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৭ জিলহজ্জ ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

২৯৬ আসনে জামায়াতের প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত

অনলাইন ডেস্ক

(১১ ঘন্টা আগে) ১৫ জুন ২০২৫, রবিবার, ৯:২৯ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৪:০৩ অপরাহ্ন

mzamin

যুগান্তর

‘২৯৬ আসনে জামায়াতের প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময় ধরেই সব আসনে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এরই অংশ হিসাবে অন্তত ২৯৬ আসনে প্রাথমিকভাবে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রস্তুত করেছে দলটি। ধাপে ধাপে আসনভিত্তিক সম্ভাব্য এসব প্রার্থীর নাম অনানুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন দলটির নেতাকর্মীরা। নিজ নিজ এলাকায় নানা কৌশলে গণসংযোগ করছেন সম্ভাব্য প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় নেতারা। বিভিন্ন ইস্যুতে করছেন সভা-সমাবেশও।

ভোটারদের আস্থা অর্জনে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে কী কী উদ্যোগ নেবে সেটিও জানান দিচ্ছেন নেতারা। এছাড়া বিগত সরকারের আমলে দল ও দলটির নেতাকর্মীদের ওপর নানা দমন-পীড়নের বিষয়টিও জনগণের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে। এছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইসলামি দলগুলো নিয়ে জোট গঠনেরও প্রস্তুতি আছে জামায়াতের। সেক্ষেত্রে জোটের সঙ্গে আসন ভাগাভাগিও হতে পারে। দলটির কেন্দ্রীয় একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান শনিবার দুপুরে যুগান্তরকে বলেন, আসন সংখ্যাটি আমরা এখনো অফিশিয়ালি ঠিক করিনি। এটা (সম্ভাব্য আসন সংখ্যা) প্রাথমিক ঘোষণা। নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা বিষয়ে সমঝোতার বিষয় আছে। তাই এখনই এটা আমরা বলতে চাচ্ছি না। বিভিন্ন জায়গায় যারা আছেন, তারা কাজ করছেন। আমাদের যে কোনো সিদ্ধান্ত, যে কোনো সময় আমাদের প্রার্থীরা মানবেন, ইনশাআল্লাহ। নির্বাচনি প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, জামায়াত নির্বাচনমুখী দল হিসাবে আমরা সব সময় প্রস্তুত। জাতীয় নির্বাচনসহ যে কোনো নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি আছে।

সূত্র জানায়, জামায়াত এককভাবেও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। সে হিসাবে ৩০০ আসনেই প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। প্রাথমিকভাবে ২৯৬ জনের একটা তালিকা প্রস্তুত করেছে। কোনো কোনো আসনে একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীর নামও রয়েছে। এই তালিকায় যাদের নাম এসেছে তাদের মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে বলা হয়েছে। নির্বাচনের জন্য তারা মাঠ প্রস্তুত করছেন। কোথাও কোনো প্রতিবন্ধকতা আছে কি না সেটিও দেখা হচ্ছে। ’২৪-র গণ-অভ্যুত্থানের পরপরই জামায়াতের শীর্ষ নেতৃত্ব ও কেন্দ্রীয় নেতারা নিজ নিজ এলাকায় সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করেন। নির্বাচনি রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা উঠলে প্রস্তুতি শুরু করেন নেতাকর্মীরা। ঈদুল আজহায় প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে জানান, এপ্রিলের প্রথমার্থে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ফলে ঈদকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় নেতারা নিজ নিজ এলাকায় বিভিন্নভাবে নির্বাচনি গণসংযোগ চালিয়েছেন। ঈদ শেষেও কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই এলাকায় নানা কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ততা পার করছেন।

জামায়াতের দায়িত্বশীল একাধিক নেতা অভিন্ন তথ্য দিয়ে বলেন, এখন পর্যন্ত সম্ভাব্য প্রার্থীর যে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে, সেটি পুরোপুরি চূড়ান্ত নয়। এই সময়ে মাঠের পরিস্থিতি ও অন্য দলের অবস্থান বুঝে আগস্ট-অক্টোবরের দিকে প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।

এদিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকায় ২৯৬ জনের নাম যুগান্তরের হাতে এসেছে। ৪টি নির্বাচনি আসনে এখনো সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা করা হয়নি। এর মধ্যে রয়েছে রাজশাহী-২, মানিকগঞ্জ-২, ঢাকা-৯ ও কুমিল্লা-৭। তালিকায় এও দেখা গেছে, এক মাসে আগের তালিকায় থাকা বেশ কয়েকজন ব্যক্তির নামের পরিবর্তন এসেছে। দলটির দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, সামনে আরও পরিবর্তন আসতে পারে।

২৯৬ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় যারা রয়েছেন, তারা হলেন-পঞ্চগড়-১ আসনে অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, পঞ্চগড়-২ আসনে মুহাম্মদ সফিউল্লাহ সুফি, ঠাকুরগাঁও-১ আসনে দেলাওয়ার হোসেন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনে মাওলানা আব্দুল হাকিম, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে মিজানুর রহমান। দিনাজপুর-১ আসনে মো. মতিউর রহমান, দিনাজপুর-২ আসনে অধ্যক্ষ মাওলানা একেএম আফজালুল আনাম, দিনাজপুর-৩ আসনে অ্যাডভোকেট ময়নুল আলম, দিনাজপুর-৪ আসনে মো. আফতাব উদ্দীন মোল্লা, দিনাজপুর-৫ আসনে মাওলানা আনোয়ার হোসেন, দিনাজপুর-৬ আসনে মো. আনোয়ারুল ইসলাম। নীলফামারী-১ আসনে মাওলানা আব্দুস সাত্তার, নীলফামারী-২ আসনে ড. খায়রুল আনাম, নীলফামারী-৩ আসনে ওবায়দুল্লাহ খান সালাফী, নীলফামারী-৪ আসনে হাফেজ আবদুল মোন্তাকিম। লালমনিরহাট-১ আসনে আনোয়ারুল ইসলাম রাজু, লালমনিরহাট-২ আসনে অ্যাডভোকেট ফিরোজ হায়দার লাভলু, লালমনিরহাট-৩ আসনে প্রভাষক হারুন অর রশিদ। রংপুর-১ আসনে অধ্যাপক রায়হান সিরাজী, রংপুর-২ আসনে এটিএম আজহারুল ইসলাম, রংপুর-৩ আসনে অধ্যাপক মাহবুবার রহমান বেলাল, রংপুর-৪ আসনে এটিএম আজম খান, রংপুর-৫ আসনে মো. গোলাম রব্বানী, রংপুর-৬ আসনে অধ্যাপক মাওলানা মো. নুরুল আমিন। কুড়িগ্রাম-১ আসনে অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম-২ অ্যাডভোকেট ইয়াসিন আলী সরকার, কুড়িগ্রাম-৩ ব্যারিস্টার মাহবুব আলম সালেহী, কুড়িগ্রাম-৪ মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক।

গাইবান্ধা-১ আসনে মো. মাজেদুর রহমান, গাইবান্ধা-২ আসনে মো. আব্দুল করিম সরকার, গাইবান্ধা-৩ আসনে মাওলানা নজরুল ইসলাম, গাইবান্ধা-৪ আসনে ডা. আব্দুর রহিম সরকার, গাইবান্ধা-৫ আসনে আব্দুল ওয়ারেছ।

জয়পুরহাট-১ আসনে ডা. ফজলুর রহমান সাঈদ, জয়পুরহাট-২ আসনে এসএম রাশেদুল আলম সবুজ। বগুড়া-১ আসনে অধ্যক্ষ সাহাবুদ্দিন, বগুড়া-২ আসনে মো. শাহাদাতুজ্জামান, বগুড়া-৩ আসনে নূর মোহাম্মদ আবু তাহের, বগুড়া-৪ আসনে অধ্যক্ষ মাওলানা তায়েব আলী, বগুড়া-৫ আসনে মো. দবিবুর রহমান, বগুড়া-৬ আসনে আবিদুর রহমান সোহেল, বগুড়া-৭ আসনে গোলাম রব্বানী। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে ড. মো. কেরামত আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে ড. মিজানুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে নুরুল ইসলাম বুলবুল।

নওগাঁ-১ আসনে অধ্যক্ষ মাহবুবুল হক, নওগাঁ-২ আসনে এনামুল হক, নওগাঁ-৩ মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, নওগাঁ-৪ খন্দকার মুহাম্মদ আব্দুর রাকিব, নওগাঁ-৫ আ স ম সায়েম, নওগাঁ-৬ মোহাম্মদ খবিরুল ইসলাম। রাজশাহী-১ অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, রাজশাহী-৩ আসনে অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী-৪ আসনে ডা. আবদুল বারী সরদার, রাজশাহী-৫ আসনে নুরুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-৬ অধ্যাপক মুহাম্মদ নাজমুল হক।

নাটোর-১ আসনে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, নাটোর-২ আসনে অধ্যাপক মো. ইউনুস আলী, নাটোর-৩ আসনে প্রফেসর সাইদুর রহমান, নাটোর-৪ আসনে মাওলানা আব্দুল হাকিম। সিরাজগঞ্জ-১ আসনে মাওলানা শাহীনুর আলম, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে অধ্যক্ষ আলী আলম, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে অধ্যাপক মিজানুর রহমান।

পাবনা-১ আসনে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমিন, পাবনা-২ আসনে অধ্যাপক কেএম হেসাব উদ্দিন, পাবনা-৩ আসনে মাওলানা আলী আজগর, পাবনা-৪ আসনে অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল, পাবনা-৫ আসনে অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইকবাল হোসেন। মেহেরপুর-১ আসনে মাওলানা তাজউদ্দিন খান, মেহেরপুর-২ আসনে মো. নাজমুল হুদা। কুষ্টিয়া-১ উপাধ্যক্ষ মাওলানা বেলাল উদ্দিন, কুষ্টিয়া-২ আসনে মো. আব্দুল গফুর, কুষ্টিয়া-৩ আসনে মুফতি আমির হামযা, কুষ্টিয়া-৪ আসনে আফজাল হোসাইন, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে মাসুদ পারভেজ রাসেল, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমিন। ঝিনাইদহ-১ আসনে এএসএম মতিয়ার রহমান, ঝিনাইদহ-২ আসনে অধ্যাপক আলী আজম মো. আবু বকর, ঝিনাইদহ-৩ আসনে অধ্যাপক মতিউর রহমান, ঝিনাইদহ-৪ আসনে মাওলানা আবু তালেব। যশোর-১ আসনে মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোর-২ আসনে ডা. মুসলেহ উদ্দিন ফরিদ, যশোর-৩ আসনে আব্দুল কাদের, যশোর-৪ আসনে অধ্যাপক গোলাম রসুল, যশোর-৫ আসনে গাজী এনামুল হক, যশোর-৬ আসনে অধ্যাপক মোক্তার আলী, মাগুরা-১ আসনে আব্দুল মতিন, মাগুরা-২ এএমবি বাকের। নড়াইল-১ আসনে মাওলানা ওবায়দুল্লাাহ কায়সার, নড়াইল-২ আসনে আতাউর রহমান বাচ্চু। বাগেরহাট-১ অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান খান, বাগেরহাট-২ শেখ মঞ্জুরুল হক রাহাদ, বাগেরহাট-৩ মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ সেখ, বাগেরহাট-৪ অধ্যক্ষ আব্দুল আলিম।

খুলনা-১ আসনে মাওলানা শেখ আবু ইউসুফ, খুলনা-২ অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, খুলনা-৩ অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, খুলনা-৪ অধ্যক্ষ মাওলানা কবিরুল ইসলাম, খুলনা-৫ অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার (কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল), খুলনা-৬ মো. আবুল কালাম আজাদ। সাতক্ষীরা-১ অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ, সাতক্ষীরা-২ মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা-৩ মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা-৪ গাজী নজরুল ইসলাম।

বরগুনা-১ মাওলানা মহিবুল্লাহ হারুন, বরগুনা-২ ডা. সুলতান আহম্মেদ, পটুয়াখালী-১ অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান, পটুয়াখালী-২ ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, পটুয়াখালী-৩ অধ্যাপক শাহ আলম, পটুয়াখালী-৪ মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম।

ভোলা-১ অধ্যক্ষ মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম, ভোলা-২ মাওলানা ফজলুল করিম, ভোলা-৩ নিজামুল হক নাইম, ভোলা-৪ মাওলানা মোস্তফা কামাল।

বরিশাল-১ মাওলানা কামরুল ইসলাম, বরিশাল-২ মাস্টার আব্দুল মান্নান, বরিশাল-৩ জহিরউদ্দিন মুহাম্মাদ বাবর, বরিশাল-৪ মাওলানা আবদুল জব্বার, বরিশাল-৫ অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, বরিশাল-৬ মাওলানা মাহমুদুন্নবী, ঝালকাঠি-১ অধ্যাপক ডা. মাও. হেমায়েত উদ্দিন, ঝালকাঠি-২ শেখ নেয়ামুল করিম, পিরোজপুর-১ মাসুদ সাঈদী, পিরোজপুর-২ শামীম সাঈদী, পিরোজপুর-৩ শরীফ আব্দুল জলিল। টাঙ্গাইল-১ মোন্তাজ আলী, টাঙ্গাইল-২ হুমায়ূন কবীর, টাঙ্গাইল-৩ হুসনে মোবারক বাবুল, টাঙ্গাইল-৪ প্রফেসর খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল-৫ আহসান হাবীব মাসুদ, টাঙ্গাইল-৬ ডা. আব্দুল হামিদ, টাঙ্গাইল-৭ অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ তালুকদার, টাঙ্গাইল-৮ অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম খান। জামালপুর-১ নাজমুল হক সাঈদী, জামালপুর-২ ড. ছামিউল হক ফারুকী, জামালপুর-৩ মাওলানা মজিবুর রহমান আজাদী, জামালপুর-৪ অ্যাডভোকেট আব্দুল আউয়াল, জামালপুর-৫ মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার। শেরপুর-১ হাফেজ রাশেদুল ইসলাম, শেরপুর-২ মুহাম্মদ গোলাম কিবরিয়, শেরপুর-৩ আসনে নুরুজ্জামান বাদল, ময়মনসিংহ-১ মাহফুজুর রহমান মুক্তা, ময়মনসিংহ-২ মাহবুব মণ্ডল, ময়মনসিংহ-৩ মাওলানা বদরুজ্জামান, ময়মনসিংহ-৪ কামরুল আহসান, ময়মনসিংহ-৫ মতিউর রহমান আকন্দ, ময়মনসিংহ-৬ কামরুল হাসান মিলন, ময়মনসিংহ-৭ আসাদুজ্জামান সোহেল, ময়মনসিংহ-৮ অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল হক, ময়মনসিংহ-৯ অ্যাডভোকেট আনোয়রুল ইসলাম চাঁন, ময়মনসিংহ-১০ ইসমাইল হোসেন সোহেল, ময়মনসিংহ-১১ সাইফ উল্লাহ পাঠান। নেত্রকোনা-১ অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেম, নেত্রকোনা-২ অধ্যাপক মাওলানা এনামূল হক, নেত্রকোনা-৩ দেলাওয়ার হোসেন সাইফুল, নেত্রকোনা-৪ অধ্যাপক আল হেলাল তালুকদার, নেত্রকোনা-৫ অধ্যাপক মাসুম মোস্তফা। কিশোরগঞ্জ-১ মোসাদ্দেক আলী ভূঁইয়া, কিশোরগঞ্জ-২ শফিকুল ইসলাম মোড়ল, কিশোরগঞ্জ-৩ কর্নেল (অব.) জিহাদ খান, কিশোরগঞ্জ-৪ অ্যাডভোকেট রোকন রেজা, কিশোরগঞ্জ-৫ অধ্যাপক রমজান আলী, কিশোরগঞ্জ-৬ কবির হোসেন। মানিকগঞ্জ-১ ডা. আবু বকর সিদ্দিক, মানিকগঞ্জ-৩ অধ্যক্ষ মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন। মুন্সীগঞ্জ-১ একেএম ফখরুদ্দীন রাজী, মুন্সীগঞ্জ-২ অধ্যাপক এবিএম ফজলুল করিম, মুন্সীগঞ্জ-৩ ডা. মুহাম্মদ সুজন শরীফ।

ঢাকা-১ ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম, ঢাকা-২ ইঞ্জিনিয়ার তৌফিক হাসান, ঢাকা-৩ অধ্যক্ষ শাহিনুল ইসলাম, ঢাকা-৪ সৈয়দ জয়নুল আবেদীন, ঢাকা-৫ মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ঢাকা-৬ ড. আব্দুল মান্নান, ঢাকা-৭ হাজি হাফেজ মো. এনায়েতুল্লাহ, ঢাকা-৮ ড. অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, ঢাকা-১০ অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, ঢাকা-১১ অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, ঢাকা-১২ সাইফুল আলম খান মিলন, ঢাকা-১৩ ডা. মুহাম্মদ মোবারক হোসাইন, ঢাকা-১৪ ব্যারিস্টার আরমান, ঢাকা-১৫ ডা. শফিকুর রহমান (কেন্দ্রীয় আমির), ঢাকা-১৬ আব্দুল বাতেন, ঢাকা-১৭ ডা. এসএম খালিদুজ্জামান, ঢাকা-১৮ অধ্যক্ষ আশরাফুল হক, ঢাকা-১৯ আফজাল হোসাইন, ঢাকা-২০ মাওলানা আব্দুর রউফ।

গাজীপুর-১ শাহ আলম বখশী, গাজীপুর-২ হোসেন আলী, গাজীপুর-৩ ড. জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর-৪ সালাহউদ্দিন আইয়ুবী, গাজীপুর-৫ খায়রুল হাসান, নরসিংদী-১ ইব্রাহিম ভূঁইয়া, নরসিংদী-২ আমজাদ হোসাইন, নরসিংদী-৩ মোস্তাফিজুর রহমান, নরসিংদী-৪ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, নরসিংদী-৫ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম। নারায়ণগঞ্জ-১ আনোয়ার হোসাইন মোল্লা, নারায়ণগঞ্জ-২ অধ্যাপক ইলিয়াস আলী মোল্লা, নারায়ণগঞ্জ-৩ অধ্যক্ষ ইকবাল হোসাইন, নারায়ণগঞ্জ-৪ মাওলানা আব্দুল জব্বার, নারায়ণগঞ্জ-৫ মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমেদ। রাজবাড়ী-১ অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম, রাজবাড়ী-২ হারুন অর রশীদ, ফরিদপুর-১ ড. ইলিয়াছ মোল্লা, ফরিদপুর-২ মাওলানা সোহরাব হোসেন, ফরিদপুর-৩ অধ্যাপক আব্দুত তাওয়াব, ফরিদপুর-৪ মাওলানা সরোয়ার হোসেন, গোপালগঞ্জ-১ মাওলানা আব্দুল হামিদ, গোপালগঞ্জ-২ অ্যাডভোকেট আজমল হোসাইন, গোপালগঞ্জ-৩ অধ্যাপক রেজাউল করিম। মাদারীপুর-১ মাওলানা সারোয়ার হোসেন, মাদারীপুর-২ আব্দুস সোবাহান খান, মাদারীপুর-৩ মো. অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, শরীয়তপুর-১ ড. মোশাররফ হোসেন মাসুদ, শরীয়তপুর-২ অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল, শরীয়তপুর-৩ মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম।

সুনামগঞ্জ-১ মাওলানা তোফায়েল আহমেদ খান, সুনামগঞ্জ-২ অ্যাডভোকেট শিশির মনির, সুনামগঞ্জ-৩ অ্যাডভোকেট ইয়াছিন খান, সুনামগঞ্জ-৪ অ্যাডভোকেট শামসউদ্দীন, সুনামগঞ্জ-৫ মাওলানা আব্দুস সালাম মাদানী।

সিলেট-১ মাওলানা হাবিবুর রহমান, সিলেট-২ অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, সিলেট-৩ মাওলানা লোকমান আহমদ, সিলেট-৪ জয়নাল আবেদীন, সিলেট-৫ হাফেজ আনোয়ার হোসেন খান, সিলেট-৬ মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

মৌলভীবাজার-১ মাওলানা আমিনুল ইসলাম, মৌলভীবাজার-২ ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলী, মৌলভীবাজার-৩ আবদুল মান্নান, মৌলভীবাজার-৪ অ্যাডভোকেট আবদুর রব। হবিগঞ্জ-১ মো. শাহজাহান আলী, হবিগঞ্জ-২ অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান আজমী, হবিগঞ্জ-৩ কাজী মহসিন আহমেদ, হবিগঞ্জ-৪ মাওলানা মোখলেসুর রহমান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ অধ্যাপক মো. আমিনুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মাওলানা মুহাম্মদ মোবারক হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ জুনায়েদ হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আতাউর রহমান সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ অ্যাডভোকেট আব্দুল বাতেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ দেওয়ান নকিবুল হুদা।

কুমিল্লা-১ মনিরুজ্জামান বাহালুল, কুমিল্লা-২ নাজিম উদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা-৩ ইউসুফ হাকিম সোহেল, কুমিল্লা-৪ সাইফুল ইসলাম, কুমিল্লা-৫ ড. মোবারক হোসাইন, কুমিল্লা-৬ কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, কুমিল্লা-৮ অধ্যক্ষ শফিকুল আলম হেলাল, কুমিল্লা-৯ সৈয়দ একেএম সরওয়ার উদ্দিন সিদ্দিকী, কুমিল্লা-১০ মুহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত, কুমিল্লা-১১ ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।

চাঁদপুর-১ মাওলানা আবু নসর আশরাফী, চাঁদপুর-২ ডা. আবদুল মবিন, চাঁদপুর-৩ অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া, চাঁদপুর-৪ মাওলানা বিল্লাল হোসাইন মিয়াজি, চাঁদপুর-৫ অধ্যাপক আবুল হোসাইন, ফেনী-১ এসএম কামাল উদ্দিন, ফেনী-২ অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, ফেনী-৩ ডা. মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন, নোয়াখালী-১ মাওলানা মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, নোয়াখালী-২ মাওলানা সাইয়েদ আহমেদ, নোয়াখালী-৩ বোরহান উদ্দিন, নোয়াখালী-৪ ইসহাক খন্দকার, নোয়াখালী-৫ বেলায়েত হোসাইন, নোয়াখালী-৬ অ্যাডভোকেট শাহ মুহাম্মদ মাহফুজুল হক। লক্ষ্মীপুর-১ নাজমুল ইসলাম, লক্ষ্মীপুর-২ এস ইউ এম রুহুল আমিন ভূঁইয়া, লক্ষ্মীপুর-৩ রেজাউল করিম, লক্ষ্মীপুর-৪ আশরাফুর রহমান হাফিজউল্লা। চট্টগ্রাম-১ অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, চট্টগ্রাম-২ অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম-৩ আলাউদ্দিন শিকদার, চট্টগ্রাম-৪ আনোয়ার সিদ্দিকী চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-৬ শাহজাহান মঞ্জু, চট্টগ্রাম-৭ অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান, চট্টগ্রাম-৮ ডা. আবু নাসের, চট্টগ্রাম-৯ ডা. ফজলুল হক, চট্টগ্রাম-১০ অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, চট্টগ্রাম-১১ মুহাম্মদ শফি, চট্টগ্রাম-১২ ইঞ্জি. লোকমান, চট্টগ্রাম-১৩ অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান, চট্টগ্রাম-১৪ ডা. শাহাদাত হোসাইন, চট্টগ্রাম-১৫ শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৬ মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। কক্সবাজার-১ আব্দুল্লাহ আল ফারুক, কক্সবাজার-২ মাওলানা এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, কক্সবাজার-৩ শহিদুল আলম বাহাদুর, কক্সবাজার-৪ নুর আহম্মেদ আনোয়ারী, খাগড়াছড়ি- অ্যাডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরী, রাঙ্গামাটি- অ্যাডভোকেট মোক্তার আহমেদ, বান্দরবান- অ্যাডভোকেট আবুল কালাম।

কালের কণ্ঠ

দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘দেশজুড়ে ভোটের হাওয়া’। খবরে বলা হয়, দেশজুড়ে এখন প্রধান আলোচনার বিষয় নির্বাচন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথামার্ধেই হতে যাচ্ছে—এমন খবরে জনমনে এক ধরনের স্বস্তি দেশের সর্বত্র। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় জনসংযোগ বাড়িয়েছেন। শোভাযাত্রাও হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তৎপর অনেকে। কয়েকটি দলের শীর্ষ নেতারা কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ভিন্ন কথা বললেও তাদের স্থানীয় নেতারা নির্বাচনী প্রচারে পিছিয়ে নেই। দল থেকে, বিশেষ করে বিএনপি থেকে কারা প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাবেন তা নিয়েও কৌতূহলের অন্ত নেই। ছোট দলগুলো বড় কোনো দলের সঙ্গে জোট গঠনের অপেক্ষায়।

গত শুক্রবার লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে নির্বাচনের সময় নিয়ে এক ধরনের সমঝোতার পর দেশজুড়ে নির্বাচনী তৎপরতা জোরদার হয়েছে বলে জানা গেছে।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি সুষুম নির্বাচন দেশবাসীর দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা। ভোট দিয়ে নিজেদের পছন্দের সরকার গঠনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে দেশবাসী। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনের কোনো সমস্যা হবে না।

প্রথম আলো

দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর ‘উচ্ছ্বসিত বিএনপি, এখন দৃষ্টি নির্বাচনের দিকে’। প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডন বৈঠকের পর বেশ উচ্ছ্বসিত বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। এখন তাদের দৃষ্টি জাতীয় নির্বাচনের দিকে। একই সঙ্গে এখন বিএনপির নেতা-কর্মীদের অধীর অপেক্ষা, দীর্ঘদিন লন্ডনে নির্বাসিত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার দিকে।

অন্যদিকে লন্ডন বৈঠকের পর কিছুটা মনঃক্ষুণ্ন জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কয়েকটি দল। যারা আগামী নির্বাচন ও ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠার আভাস দিচ্ছে।

গত শুক্রবার লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে আগামী রমজান শুরুর আগের সপ্তাহে, অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার ও সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের ব্যাপারে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের এত দিনের মনোভাবের ব্যাপক পরিবর্তন দৃশ্যমান হয়।

যদিও লন্ডন বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের একান্ত আলোচনায় নির্বাচনের সময় ছাড়া আর কী কী বিষয়ে কথা হয়েছে, তা নিয়ে সব মহলে কৌতূহল রয়েছে। তবে বিএনপির নেতারা বলছেন, এ বৈঠকে বহুল আলোচিত চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনা ও মিয়ানমারের রাখাইনে খাদ্যসহায়তা পাঠানোর জন্য মানবিক করিডর বা ত্রাণ চ্যানেলের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। এমনকি বিএনপি এর আগে সরকারের যে তিনজন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছিল, সেটাও আলোচনায় তোলা হয়নি। এমনকি পদত্যাগের দাবি করা তিন উপদেষ্টার একজন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান লন্ডন বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন। তিনি তারেক রহমানকে বৈঠকে অভ্যর্থনা জানান।

সমকাল

‘সরকারের বিষয়ে নমনীয় থাকবে বিএনপি’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদসহ আগের দাবিগুলোর বিষয়ে নমনীয় থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে বিএনপি। সরকারকে রাজনৈতিকভাবে চাপে রাখার জন্য দলটি এসব দাবি সামনে নিয়ে এসেছিল। লন্ডনে ‘ফলপ্রসূ’ বৈঠকের পর জ্যেষ্ঠ নেতারা এমন অবস্থানের কথা জানিয়েছেন।

গত শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে এ বৈঠক হয়। বৈঠকে নির্বাচনের সময় নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মতৈক্য হয়। সংস্কার ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারে অগ্রগতি হলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে একমত হন তারা।

বিএনপির একাধিক নেতা সমকালকে বলেন, এর মধ্য দিয়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারের দূরত্ব যেমন কমে আসবে, তেমনি জনগণও নির্বাচন নিয়ে স্বস্তি অনুভব করবে। অন্তর্বর্তী সরকারও স্বাচ্ছন্দ্যে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো শেষ করতে পারবে।

বিএনপি সম্প্রতি যে তিন উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছিল, তারা হলেন– জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। শেষের দু’জন অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের প্রতিনিধি। তরুণরা নতুন দল করায় এবং এ দু’জন সরকারে থাকায় সরকারের নিরপেক্ষতা থাকছে না বলে দাবি করেছিল বিএনপি।

ইত্তেফাক

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর ‘১৬ বছরে সরকারের অপচয় ৩ হাজার কোটি টাকা’। প্রতিবেদনে বলা হয়, অতিরিক্ত চাহিদার প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠ্যবই ছাপিয়ে গত ১৬ বছরে সরকারের অপচয় হয়েছে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতি বছর শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি দেখিয়ে অতিরিক্ত পাঠ্যবই কালোবাজারিতে অধিক মূল্যে বিক্রি সিন্ডিকেটে জড়িত একশ্রেণির উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান শিক্ষক। ২০১০ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতিটি বছরের শুরুতে পাঠ্যবইয়ের সংকট ছিল।

আর সেই সংকটকে পুঁজি করে গড়ে উঠে সিন্ডিকেট। দেশের সব উপজেলা থেকে পাঠ্যবইয়ের অতিরিক্ত চাহিদা আসে, যা অধিক মূল্যে বাজারে বিক্রি করা হয়। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এর কঠোর নজরদারিতে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যবইয়ের চাহিদা ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি কমেছে। যা ছাপাতে খরচ হতো প্রায় ২০০ কোটি টাকা।

অর্থাৎ এবার এনসিটিবির বর্তমান প্রশাসন সরকারের ২০০ কোটি টাকা খরচ কমিয়ে দিল। উল্লিখিত সিন্ডিকেটের কারণে গত ১৬ বছর ধরে প্রতি বছরই সরকারের ১৫০ থেকে ২০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে বলে এনসিটিবির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইত্তেফাককে জানান।

আগামী বছরের জন্য প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপার কাজ গত মে মাস থেকে শুরু করেছে এনসিটিবি। জানা গেছে, প্রতি বছর কত সংখ্যক বই ছাপানো হবে, তা ঠিক হয় উপজেলা, থানা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছ থেকে আসা বইয়ের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে। দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ ছিল—মাঠ থেকে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেশি বইয়ের চাহিদা আসে। তাই প্রতি বছর গড়ে ৩ থেকে ৪ কোটি অতিরিক্ত বই ছাপাতে হয়। এতে সরকারের ২০০ থেকে ২৫০ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হতো। এ ক্ষেত্রে এনসিটিবিও খুব একটা যাচাই করত না বলে অভিযোগ আছে।

বণিক বার্তা

‘এলএনজি সরবরাহ সংকটে পড়তে পারে বাংলাদেশ’-এটি বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, ইরান ও ইসরায়েলের সংঘর্ষে নতুন করে উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি। এর জেরে পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালি দিয়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ও জ্বালানি তেল সরবরাহে ব্যাপক ধাক্কা খাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কেননা পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পথটি বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা এসেছে তেহরানের পক্ষ থেকে।

যদি সত্যিই বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ এ সামুদ্রিক পথ বন্ধ করে দেয়া হয় তবে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহের পাশাপাশি সারা বিশ্বের অর্থনীতির ওপরই পড়বে তীব্র নেতিবাচক প্রভাব। বিশ্বজুড়ে নতুন করে বাড়িয়ে তুলতে পারে মূল্যস্ফীতি। এর আঁচ এড়াতে পারবে না বাংলাদেশও। কারণ কাতার থেকে কেবল হরমুজ প্রণালি দিয়েই এলএনজি আমদানি করতে হয়।

বিশ্বের জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পথ হরমুজ প্রণালি। ইরানের উপকূল ঘেঁষা সরু এ চ্যানেল সংযুক্ত করেছে জ্বালানি তেলসমৃদ্ধ পারস্য উপসাগর ও আরব সাগরকে। শুধু ইরানই নয়, পারস্য উপসাগরের তীরবর্তী সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন ও ইরানের জ্বালানি তেল রফতানির প্রায় পুরোটাই নির্ভর করে এ পথের ওপর। ওমান ও ইরানের মধ্যবর্তী গুরুত্বপূর্ণ এ সামুদ্রিক পথ দিয়ে দৈনিক দেড় কোটি ঘনমিটারের মতো এলএনজি পরিবাহিত হয় বলে ইন্টারন্যাশনাল গ্যাস ইউনিয়নের (আইজিইউ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতার ও ওমান থেকে এলএনজি আমদানি করে, যার সিংহভাগই আসে এ পথে।

আজকের পত্রিকা

দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘ফেব্রুয়ারির ভোটে চ্যালেঞ্জ অনেক’। প্রতিবেদনে বলা হয়, বহুল প্রত্যাশিত লন্ডন বৈঠক সমঝোতার সুর শোনালেও আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে চ্যালেঞ্জও আছে। এই চ্যালেঞ্জের কারণ, ওই বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণায় থাকা শর্তগুলো। শর্তে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে জুলাই সনদ, জরুরি সংস্কার ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নির্বাচন হলে সময় আছে প্রায় আট মাস। এই সময়ের মধ্যে প্রত্যাশিত সংস্কার ও বিচারে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন নিয়ে সংশয় রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রস্তুতি, সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করাসহ অন্যান্য প্রস্তুতি। এসব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেই কেবল রমজান শুরুর আগের সপ্তাহে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলা হয়েছে যৌথ ঘোষণায়। ফলে সবকিছু এই সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা নিয়ে সংশয় থাকছে।

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে গত শুক্রবার লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একান্ত বৈঠক এবং বৈঠক শেষে যৌথ ঘোষণাকে ভালোভাবে নেয়নি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তারা বিষয়টি প্রকাশও করেছে।

দেশ রূপান্তর

‘রাজনীতিতে গুমোটভাব কেটেছে’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে দেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। সামনে এসেছে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি ঘিরে একটি সম্ভাব্য নির্বাচনী সময়রেখা, যা সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে ভবিষ্যৎ সমঝোতার ভিত্তি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবারের লন্ডন বৈঠককে ইতিবাচকভাবে দেখছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিসংশ্লিষ্টরা। যৌথ ঘোষণার পর, সেখানে দেওয়া প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানিয়ে তারা বলছেন, রাজনীতিতে গুমোট পরিবেশ অনেকটা কেটে গেছে।

বৈঠকপরবর্তী যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, বিএনপি ২০২৬ সালের রমজানের আগেই নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে। জবাবে প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে এবং রমজান শুরুর আগের সপ্তাহেও ভোট আয়োজন সম্ভব হতে পারে। বলা হচ্ছে, এটি একরকম রাজনৈতিক ‘মিডল গ্রাউন্ড’ তৈরি করেছে।

বৈঠক উপস্থিত সূত্র বলছে, দুই নেতার একান্ত বৈঠকের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ‘সহনশীল রাজনীতির যাত্রা শুরু হয়েছে’। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য দুই নেতার বৈঠক খুবই পজিটিভ। দুই নেতার এই বৈঠক বাংলাদেশের আগামী দিনের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ; উন্নয়ন কর্মকাণ্ড; এবং নতুন স্বপ্নের নির্মাণের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।

ডেইলি স্টার

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম ‘BNP upbeat, process irks Jamaat, NCP’ অর্থাৎ ‘উচ্ছ্বসিত বিএনপি, প্রক্রিয়ায় ক্ষুব্ধ জামায়াত ও এনসিপি’।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু শর্তসহ নির্বাচনের সংশোধিত সময়সূচী আশাবাদ জাগিয়ে তোলার পাশাপাশি প্রশ্নও উঠেছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে।

বিএনপিসহ অনেক দল প্রস্তাবিত সময়সীমাকে স্বাগত জানালেও শুধুমাত্র একটি দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কীভাবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝির সিদ্ধান্তে পৌঁছানো গেল তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরেই বছরের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি করে আসছিল বিএনপি। নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ না করায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করছিল দলটি।

শুক্রবার লন্ডনে ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক এবং ফলাফল এখন দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্কের সম্ভাব্য বরফ গলানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে।

দলের অভ্যন্তরীণ সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবরে বলা হয়েছে, বিএনপি প্রস্তাবিত নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে সন্তুষ্ট।

তবে অধ্যাপক ইউনূসের প্রস্তাবিত নির্বাচনের সময়সূচির সাথে যুক্ত করে দেয়া কিছু শর্তের কারণে তারা উদ্বেগ এবং আপত্তিও প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী ও ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি) সরকারের নতুন সময়সূচির সমালোচনা করেছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন

‘বিএনপিতে স্বস্তি, জামায়াতে অস্বস্তি’-এটি দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, দেশব্যাপী আলোচনায় এখন লন্ডনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বহুল আলোচিত বৈঠক। দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আগামী নির্বাচন নিয়ে যে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছিল, বৈঠকের মাধ্যমে তা কেটে গেছে। এতে উচ্ছ্বসিত দলটির নেতা-কর্মীরা। তাঁরা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বিএনপির সমমনা প্রতিটি দলও এ বৈঠকের পর থেকে চাঙা ও উচ্ছ্বসিত।

এদিকে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির একসময়ের মিত্র জামায়াতে ইসলামী এ বৈঠকে অস্বস্তি প্রকাশ করেছে। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিদেশে যৌথ সংবাদ সম্মেলন নৈতিকভাবে কিছুতেই যথার্থ নয়; যৌথ বিবৃতি দেওয়া দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির ব্যত্যয়। এর মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ করেছেন, যা তাঁর নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করেছে।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী বছরের রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রস্তাব করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জবাবে প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে এই সময়ে নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে।

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status