শেষের পাতা
প্রস্তাবিত বাজেটে মতামত দেয়া যাবে ১৯শে জুন পর্যন্ত
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবার
জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের ভিন্ন বাস্তবতায় এবার সংসদের বাইরে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গত ২রা জুন সোমবার রাষ্ট্রীয় সমপ্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে প্রচার করা হয় তার বাজেট বক্তব্য। বাজেট বক্তব্যসহ অন্যান্য দলিল অর্থ মন্ত্রণালয় এবং এনবিআরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে প্রস্তাবিত এ বাজেটের ওপর মতামত দিতে পারবেন যে কেউ। মতামত নেয়ার পর বাজেট চূড়ান্ত করবে সরকার।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইটে (যঃঃঢ়ং://সড়ভ.ঢ়ড়ৎঃধষ.মড়া.নফ) প্রবেশ করলেই ‘জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬-এর ওপর মতামত’ লিংক পাওয়া যাবে। লিংকে প্রবেশ করে মতামতদাতার নাম, ই-মেইল, মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে প্রস্তাবিত বাজেটের যেকোনো বিষয়ের ওপর ১ হাজার শব্দের মতামত দেয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। আগামী ১৯শে জুন পর্যন্ত এভাবে মতামত নেবে অর্থ বিভাগ। মতামত নেয়ার পর কিছু সংযোজন ও বিয়োজন করে বাজেটের খসড়া চূড়ান্ত করবে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয় নিজেদের মধ্যে বৈঠক করলেও অন্য কোনো অংশীজনের সঙ্গে কোনো বৈঠক করবে না।
আগামী ২২শে জুন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন নিয়ে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে হবে বাজেট। আগামী ১লা জুলাই থেকে নতুন বাজেট কার্যকর করা হবে।
নির্বাচিত সরকারের আমলে বাজেট জাতীয় সংসদেই উপস্থাপন করা হয়। পরে মাস জুড়ে সেই প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনা হতো সংসদে। জুন মাসের শেষদিকে সংসদে পাস হতো নতুন অর্থবছরের বাজেট। এবার সংসদ না থাকায় সংসদের আলোচনা বা বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই। তাই বাজেট ঘোষণার পর প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর নাগরিকদের কাছ থেকে মতামত নিচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
পাঠকের মতামত
১) এবারের বাজেট এ অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও শিল্পের জন্য বরাধ মাত্র ০.৫%। এত অল্প বরাধদ দিয়ে কন দিন ই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে না। প্রসাসনক খাতে বরাধধ ২২%। প্রসাসনিক খাত থেকে কমিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও শিল্পের জন্য বরাধ বারান উচিত। ২) দেশের বন্ধ জুট মিল সমুহ, সুগার মিল সমুহ চালু করা উচিত। এবারের বাজেট এজন্য কন বরাধধ নেই। তাই এখাতে বাজেট বরাধধ দেয়া উচিত। ৩) সরকারি উদ্দেগে Dairy, fruit processing industry গড়ে তলা উচিত। এ জন্ন্য বরাধধ দিতে হবে। শিল্পোন্নত দেশ যেমন জার্রিনি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা ইত্তাদি দেশে সরকারি উদ্যোগে industry করা হয় ও শিল্পের জন্ন্য আরথিক সহায়তা দেয়া হয়, বাংলাদেশ সরকারের উচিত জরুরি ভিত্তিতে সিল্পায়ন করা।