অনলাইন
কথিত অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো আরও জোরদার করা হবে: আসামের মুখ্যমন্ত্রী
মানবজমিন ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ১০ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯:০৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:৪৬ অপরাহ্ন

সোমবার বিধানসভায় আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, কয়েক মাসে রাজ্য সরকার প্রায় ৩০০ কথিত অবৈধ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধে দু’টি পথ গ্রহণ করেছি। একটি হলো তাদের মামলা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে পাঠানো। অন্যটি হলো ১৯৫০ সালের ইমিগ্র্যান্টস (এক্সপালসন ফ্রম আসাম) অ্যাক্টের বিধান প্রয়োগ করে সরাসরি তাদের ফেরত পাঠানো। এ খবর দিয়েছে অনলাইন হিন্দুস্তান টাইমস।
হিমান্ত বিশ্বশর্মা আরও বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে প্রায় ৩০০ ব্যক্তিকে ফেরত পাঠিয়েছি এবং তাদের কেউই আবার ফিরে আসেনি। এই প্রক্রিয়া আরও জোরদার ও দ্রুততর করা হবে। যেভাবে বাংলাদেশ থেকে আসা মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলো আসামে শিকড় গেঁড়ে ফেলছে, তাতে সরকারের আরও সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন।’
সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ১৯৫০ সালের আইন কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকদের ক্ষমতা প্রদান করা হবে যাতে তারা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের রায়ের অপেক্ষা না করেই অবৈধ বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করে ফেরত পাঠাতে পারেন। বর্তমানে আসামে মোট ১০০টি ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। সেখানে এ বছর ২৫শে মার্চের পর যেসব বিদেশি আসামে প্রবেশ করেছেন, তাদের মামলার শুনানি হয়। ট্রাইব্যুনাল কাউকে বিদেশি ঘোষণা করলে, তাকে ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হয় এবং সেই ব্যক্তি উচ্চ আদালতে আপিলের সুযোগ পান, যদি তার যথাযথ নথিপত্র থাকে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্য সরকার কথিত অবৈধ বাংলাদেশিদের শনাক্ত করতে এবং তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ শুরু করেছে।
এই অভিযানের আওতায় বহু সন্দেহভাজন বাংলাদেশিকে আসাম, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এ ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে গত সপ্তাহে বাংলাদেশ সরকার আসাম থেকে ফেরত পাঠানো ১৪ জনকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়, ফলে তাদের আবার ভারতেই ফিরিয়ে আনা হয়।