সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবিকে আমলে নিচ্ছে না মোদি সরকার

কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা এবং ভারত-পাকিস্তান সংঘাত পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি জানিয়েছে ভারতের বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টিসহ বিভিন্ন দল বিভিন্ন সময়ে বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি জানিয়ে চিঠিও দিয়েছে। গত মঙ্গলবার বিরোধী ১৬টি দল একজোট হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ অধিবেশন ডাকার ফের দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও  সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে বহুদলীয় প্রতিনিধিদল দেশে ফেরার পরে যাতে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়, তা নিয়ে  আর্জি জানিয়েছেন। অথচ বিরোধীদের দাবি নিয়ে মোদি সরকার চুপ রয়েছে। বরং বিরোধীদের দাবিকে আমলে না নিয়ে ৪৭ দিন আগে সংসদের বাদল অধিবেশনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছে মোদি সরকার। বুধবার সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বাদল অধিবেশনের দিনক্ষণ জানিয়ে বলেছেন, আগামী ২১ জুলাই থেকে শুরু হবে সংসদের বাদল অধিবেশন। চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত।

সম্প্রতি বিদেশি সংবাদমাধ্যম ‘ব্লুমবার্গ টিভি’কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহান। সেনা সর্বাধিনায়কের ওই সাক্ষাৎকারের পরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠে এসেছে বলে মনে করছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হলে, একমাত্র তখনই এই প্রশ্নগুলো করা যাবে। মোদি সরকার দেশকে বিভ্রান্ত করেছে বলেও কংগ্রেস  সভাপতি সরাসরি অভিযোগ করেছেন।

বিরোধীদের মতে, পাকিস্তানের সঙ্গে বিরোধে সরকারকে সব রাজনৈতিক দল নিঃশর্ত সমর্থন জানিয়েছে। বিদেশে ভারতের বক্তব্য তুলে ধরতে সরকারের বহুদলীয় প্রতিনিধি দলে বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছেন। এরপরও সরকার কেন বিরোধীদের আস্থায় নিতে পারছেন না সেই প্রশ্ন তুলেছেন।