ভারত
পাক সীমান্তবর্তী ভারতের চার রাজ্যে বৃহস্পতিবার মক ড্রিলের ব্যবস্থা
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
(৫ দিন আগে) ২৮ মে ২০২৫, বুধবার, ৪:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১০ পূর্বাহ্ন

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতির মাঝেই ফের মক ড্রিলের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাকিস্তান সীমান্তবর্তী চার রাজ্যে এই মক ড্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এই চারটি রাজ্য হলো- গুজরাট, পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং জম্মু ও কাশ্মীর।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই মক ড্রিল অনুষ্ঠিত হবে। ড্রিলের সময় জনগণকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হবে। অভিযোগ, ভারত ও পাকিস্তানের চার দিনের সংঘর্ষের সময় সীমান্তের ওপার থেকে প্রচণ্ড আক্রমণের শিকার হয়েছিল এপারের রাজ্যগুলি।
ভারত অপারেশন সিঁদুর শুরু করার কয়েক ঘণ্টা আগে গত ৭ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশব্যাপী মক ড্রিল পরিচালনা করেছিল। এর ঠিক কয়েক সপ্তাহ পরে নতুন করে মক ড্রিলের ঘোষণা নানা কৌতুহল তৈরি করেছে। এর নেপথ্যে কোনও কারণ রয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে সকলের মধ্যে।
শেষ মক ড্রিলটিতে বিমান হামলার সতর্কতামূলক সাইরেন সক্রিয় করা হয়েছিল এবং অসামরিক নাগরিক এবং শিক্ষার্থীদের আক্রমণের মোকাবিলায় কীভাবে নিজেদের এবং তাদের আশেপাশের অন্যদের রক্ষা করতে হবে সে সম্পর্কে নাগরিক প্রতিরক্ষা প্রোটোকল বিষয়ে অবহিত করা হয়েছিল। ৩৩টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ২৫০টি স্থানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই মক ড্রিল। ১৯৭১ সালের ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধের পর এই প্রথম মক ড্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার মক ড্রিলটি চার রাজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। সাম্প্রতিক সংঘাতের পর জনগণকে সতর্ক রাখাই এই মক ড্রিলের লক্ষ্য। সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিকে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে অসামরিক নাগরিকদের প্রস্তুত রাখার জন্যই এই ব্যবস্থা। জনগণকে নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুসরণ করতেও অভ্যস্ত করা হবে।
এদিকে পশ্চিম ভারতের পাশাপাশি কয়েকদিন আগে পূর্ব ভারতেও মক ড্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিস্তা প্রহার নামে এই মক ড্রিলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সব এজেন্সির সমন্বয় খতিয়ে দেখা হয়েছে। এছাড়া অস্ত্র প্রয়োগের ক্ষেত্রে দক্ষতাও খতিয়ে দেখা হয়েছে। চার দিনের সেই মক ড্রিলের শেষে মালদহের ফারাক্কা বাঁধে মক ড্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই মক ড্রিলে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ ও বাঁধের নিরাপত্তা বাহিনীও অংশ নিয়েছিল।