প্রস্তাবিত বাজেট গতানুগতিক -জামায়াত

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে গতানুগতিক বলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। গতকাল দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানান। এটিএম মা’ছুম  বলেন, এবারের বাজেট নতুন বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে এবং এটি পূর্ববর্তী বাজেটগুলোর ধারাবাহিকতা ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি জানান, তবে এবারের বাজেটে ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হয়নি, আবার কমেওনি। এতে নতুনত্বের কোনো ছাপ পাওয়া যায়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। জামায়াত নেতার অভিযোগ, প্রস্তাবিত বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জন্য ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তা গত অর্থবছরের অভিজ্ঞতায় একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। পাশাপাশি রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা, যা ২ লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকার ঘাটতির দিকে নির্দেশ করে। এই ঘাটতির একটি বড় অংশ বিদেশি উৎস থেকে পূরণ করার কথা বলা হলেও, বাজেটে বৈদেশিক নির্ভরতা কমানোর কোনো সুস্পষ্ট পরিকল্পনা দেখা যায়নি।

এটিএম মা’ছুম বলেন, বাজেটে পরোক্ষ কর বৃদ্ধির মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধির চেষ্টা করা হয়েছে, যার বোঝা সাধারণ জনগণের ওপর পড়বে। ভ্যাট ও আমদানি শুল্কে ব্যাপক পরিবর্তন আনার ফলে সাধারণ পণ্যের দাম বাড়বে। বিশেষ করে এসি, ফ্রিজ, মোবাইল ফোন ও এলইডি পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এ ছাড়া, সুতার আমদানি শুল্ক বাড়ানোয় পোশাক খাতে উৎপাদন ব্যয় বাড়বে, যা রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি বলেন, দেশীয় শিল্পের কর অবকাশ ও ভ্যাট অব্যাহতির সুযোগ সংকুচিত করায় দেশীয় পণ্যের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাবে। তবে কিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে বাজেটে-স্বাস্থ্য খাতে ব্যবহৃত উপকরণ, কৃষি উপকরণ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো হয়েছে। কোল্ড স্টোরেজ খরচ কমানোর উদ্যোগ কৃষকের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে।