দলীয় নেতাদের রাস্তায় নেমে আন্দোলনের বার্তা ইমরানের

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এবং ফেডারেল সরকারের মধ্যে নতুন করে সংলাপের আশা যখন গতি পাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, তখন পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান আবারও আলোচনার চেয়ে গণসংহতিকেই বেছে নিয়েছেন।সূত্রমতে, খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গন্ডাপুর সম্প্রতি খান এবং পিটিআইয়ের সিনিয়র নেতাদের জানিয়েছেন যে, ফেডারেল সরকারের সাথে আলোচনা শুরু করার জন্য ‘সঠিক মহল’ থেকে একটি ইতিবাচক সংকেত পাওয়া গেছে। এই সংকেতগুলোকে ব্যাপকভাবে প্রতিষ্ঠানের পরোক্ষ সম্মতি হিসাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। 

তবে, যখন এই বার্তাটি কারাবন্দী পিটিআই প্রধানের কাছে পাঠানো হয়েছিল, তখন তিনি প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে দলীয় নেতাদের রাস্তায় নেমে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। দলীয় অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলো জানাচ্ছে যে, খান এখনও নিশ্চিত জনসাধারণের চাপ রাজনৈতিক সাফল্যের জন্য সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার। 

গত বছরের নভেম্বরে, একই ধরণের প্রচেষ্টা ভেস্তে যায় যখন পিটিআই-এর নেতৃত্ব, ইসলামাবাদের ডি-চক পর্যন্ত একটি সমাবেশ সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেয়। সূত্রটি  স্বীকার করেছে যে, এই পদক্ষেপ সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারীদের বিচ্ছিন্ন করতে  এবং সরকারের অবস্থানকে আরও কঠোর করে তোলে। বিশেষ করে এমন এক সময়ে যখন আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত ছিল। মজার ব্যাপার হলো,   ব্যারিস্টার গোহর প্রাথমিকভাবে জাতীয় পরিষদের ফ্লোরে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের দেওয়া জনসংলাপের প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার জন্য খানের নীতিগত সম্মতির কথা জানিয়েছিলেন। ভারতের সাথে সাম্প্রতিক সীমান্ত উত্তেজনার সময় সরকার এবং সশস্ত্র বাহিনীর সাথে পিটিআইয়ের বিরল ঐক্য প্রদর্শনের পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রস্তাবটি এসেছিল। 

তবুও, এক সপ্তাহের মধ্যে, খান সিনিয়র দলের নেতাদের সাথে বৈঠকের সময় তার অবস্থান পরিবর্তন করেন। এটিকে একটি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ উল্লেখ করে সরাসরি প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনা না করা পর্যন্ত কোনও আলোচনা এগোবে  না বলে জানিয়ে দেন। বারবার ভেস্তে গেলেও  পিটিআই-এর কিছু মহল আশাবাদী যে সংলাপই এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র কার্যকর পথ। তবে, খান  মনে করছেন, জনবিক্ষোভই পাকিস্তানের রাজনৈতিক পালাবদল ঘটাতে পারে। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে, আলোচনার চেয়ে আন্দোলনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্তের ফলে ৯ মে মামলা বা দ্বিতীয় তোশাখানা রেফারেন্সে কোনও প্রতিকূল সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে পিটিআই সমস্যা সমাধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হারিয়ে ফেলতে পারে।

সূত্র :  wionews