খেলা
যে শহরের মানুষের সবকিছুতেই ফুটবল
সামন হোসেন, ম্যানচেস্টার (ইংল্যান্ড) থেকে ফিরে
১৬ আগস্ট ২০২২, মঙ্গলবারইংলিশরা আমুদে জাতি। পাঁচ দিন কাজ করার পর সপ্তাহে দুই দিন আমোদ-প্রমোদে ব্যয় করেন তারা। বিশেষ করে শুক্রবার ও শনিবার রাতে বার, পাব, ডিসকোতে জায়গা পাওয়া দায়। লন্ডন, বার্মিংহাম, লিডস নরউইচ, ব্রিস্টল প্রতিটি শহরের প্রায় একই চিত্র। কেবল ব্যতিক্রম ম্যানচেস্টার। এখানকার জনগণের আমোদ প্রমোদ সবকিছুই ফুটবলকে কেন্দ্র করে। এর মূলে দুটি ফুটবল ক্লাব। কেবল ইংল্যান্ড নয়, গোটা বিশ্বের অন্যতম সেরা দুই ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটির অবস্থান শহরের মাত্র পাঁচ মাইলের মধ্যেই । মূলত এই দুই ক্লাবে বিভক্ত ম্যানচেস্টারের জনগন।
ডার্বি মানেই ম্যানচেস্টার সিটি সেন্টারে হাতাহাতি-মারামারি অবধারিত। বিজয়ী দলের সমর্থকদের ব্যঙ্গাত্মক গান, কটূক্তি সইতে না পারলেই সেরেছে।
বিজ্ঞাপন
১৯১০ সালে নির্মিত শতবর্ষী ওল্ড ট্রাফোর্ড স্টেডিয়ামকে কেন্দ্র করেই তৈরি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব। ৭৫ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়ামের পরতে পরতে আভিজাত্যের ছোঁয়া। পুরো স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে আছেন কিংবদন্তিরা। আছেন ম্যানইউর ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ম্যানেজার জীবন্ত কিংবদন্তি স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। স্টেডিয়ামের পাশের সড়কটিরও নামকরণ হয়েছে ফার্গুসনের নামে। ২০১১ সালের পর থেকে প্রিমিয়ার লীগ শিরোপার দেখা নেই রেকর্ড ২০ বারের চ্যাম্পিয়ন ম্যানইউর। টানা ২৬ বছর কোচের দায়িত্ব থাকা ফার্গুসন ২০১৩ সালে অবসরে যাওয়ার পর থেকেই যেন শনির দশা লেগে আছে ক্লাবটির। তার পরেও ক্লাবটিকে নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই সমর্থদকের। তাদের একটাই কথা লীগের ফলাফল গোল্লায় যাক, ডার্বিতে জয় চাই। যুগে যুগেই চলে আসছে দুই ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের এই বৈরিতা। তবে একটা গর্ব আছে ম্যানচেস্টারবাসীর। বিশ্ব ফুটবল শাসন করা দুটি ক্লাবই যে তাদের প্রিয় শহরের। ফুটবলটা তাই এই শহরের মানুষের এক প্রকার আবেগ। যে আবেগ ইংল্যান্ডের অন্য শহর থেকে ম্যানচেস্টারকে আলাদা করেছে।