বাংলারজমিন
চকরিয়ায় জামায়াত নেতা খুনের ঘটনায় একই পরিবারের ৪ নারীসহ আটক ৫
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
কক্সবাজারের চকরিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে আরিফুল ইসলাম (৩৫) নামে জামায়াত নেতা খুনের ঘটনায় একই পরিবারের ৪ নারীসহ আটক পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে উপজেলা কৈয়ারবিল ইউনিয়নের হাসিমার কাটা সিকদার পাড়ায় মঙ্গলবার সকালে এ খুনের ঘটনা ঘটে। এ সময় খায়রুল সিকদার (৩০) নামে আরও একজন গুরুতর জখম হয়। জানা যায়, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বুধবার দিবাগত রাতে ৪ জন মহিলাসহ পাঁচজন এজাহারনামীয়সহ অজ্ঞাত আরও ৩ জন আছে উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই আরমান হোসেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রধান অভিযুক্ত সাজ্জাদ হোসেন প্রকাশ সুজনকে তাৎক্ষণিক আটক করে পুলিশ। পরে সেনাবাহিনীসহ পুলিশের যৌথ টিম অভিযান চালিয়ে অন্যদের আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- নিহত জামায়াত নেতা আরিফুল ইসলামের চাচাতো ভাই সাজ্জাদ হোসেন প্র. সুজন (৩৫) ও তার মা ফাতেমা বেগম (৫৫) ও বোন রেশমী আক্তার (২২), ছোট ভাইয়ের বউ রচনা আক্তার (২৮), ঘাতক সুজনের স্ত্রী জাকিয়া সোলতানা সুমাইয়া (২৫) উভয় সাং-৬ নম্বর ওয়ার্ড খোজাখালি হাছিমার কাটা সিকদার পাড়ার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের। চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, জামায়াত নেতা খুনের ঘটনায় তার ভাই বাদী হয়ে একই পরিবারের পাঁচজনকে এজাহারনামীয় আসামি করে অজ্ঞাত আরও ৩ আছে উল্লেখ করে এজাহার জমা দিলে তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করি। পরে আটককৃতদের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। তিনি আরও জানান, প্রধান ঘাতক সাজ্জাদ হোসেন সুজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন। উল্লেখ্য যে, জায়গা জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে কিছুদিন পূর্বে সুজনের সঙ্গে জামায়াত নেতা আরিফুলের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনার রেশ ধরে সুজনের ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলে জামায়াত নেতা খুন হয়। এ সময় তার মামাতো ভাই খায়রুল সিকদার নামে আরেকজন গুরুতর আহত হয়। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।