অনলাইন
ভিসি-প্রক্টরের প্রতি কৃতজ্ঞতা, তবে বিচারের নামে যেন প্রহসন না হয়: সাম্যর বড় ভাই
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
(৩ ঘন্টা আগে) ১৮ মে ২০২৫, রবিবার, ৬:৫৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:১৫ অপরাহ্ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সাম্য হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। মঙ্গলবার রাজু ভাস্কর্যে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শাহরিয়ার আলম সাম্যর বড় ভাই শহীদুল আলম।
এ সময় তিনি সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে সোচ্চার হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। বলেন, আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই সাম্যর বন্ধুবান্ধব, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যার, প্রক্টর স্যারকে- ঘটনার দিন থেকে তারা আমাদের পরিবারকে শক্তি সাহস জুগিয়েছেন। ধন্যবাদ জানাই ছাত্রদলের ছোট ভাইদের যারা আমাদের সঙ্গে সব সময় ছিল, এখনো যোগাযোগ রাখছে। আমাদের পরিবার থেকে তাদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞতা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সাম্যর বন্ধুবান্ধব সবার কাছে আমাদের দাবি একটাই- আমার ভাইয়ের বিচারের নামে কোনো প্রহসন যেন না হয়। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য যেন কালক্ষেপণ করা না হয়। শিক্ষার্থীদের যেন উত্তেজিত করে কোনো ফায়দা হাসিলের চেষ্টা না করা হয় এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, গত ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে আমার ছোট ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে একটা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ পাঁচদিন হয়ে গেছে আমরা পুলিশের কাছে জানতে চাই- মামলার অগ্রগতি কতটুকু হয়েছে। ঘটনার দিন রাতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আজ পাঁচদিন হয়ে গেছে বাকীদের গ্রেপ্তারে এতো সময় লাগার কথা না। বাংলা একাডেমি, কালি মন্দির, মেট্রোরেলের সিসিটিভি ফুটেজ আছে- সেগুলো দেখে যে সমস্ত মোটরসাইকেল করে হত্যাকারীরা এসেছে তা খুঁজে বের করে তাদের গ্রেপ্তার খুব সময়ের ব্যাপার বলে আমাদের মনে হয় না।
শহীদুল আলম বলেন, সাম্য কোনো নেশায় জড়িত বলে পরিবার থেকে আমরা কখনো জানি না। অথচ কিছু ফেসবুক বুলিংয়ে আমরা দেখছি সাম্যর চরিত্র হরণের চেষ্টা হচ্ছে। আমি সাবধান করে দিতে চাই- শুধু রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য তোমরা যদি একজনের চরিত্র হরণে লিপ্ত হও তাহলে তোমাদের অবস্থাও একদিন সাম্যর মতো হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমার ভাইয়ের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যেন কোনো নিরাপরাধ ব্যক্তি ফেঁসে না যায়। আমার ভাই মারা গেছে, আমরা ভাইকে ফেরত পাবো না। কিন্তু আমরা এটাও নিশ্চিত করতে চাই যেন খুনি তার সর্বোচ্চ শাস্তি পায়। আমার ভাইয়ের পরিণতি যেন আর কোনো ভাইয়ের না হয়।
ছাত্রসমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমদ খান। তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংহতি জানাতে এসেছি। শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের সঙ্গে মিটিং হয়েছে। সেখানে কাজের অগ্রগতি জানানো হয়েছে। আজ বিকেলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। পুলিশ ঘটনার দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে তিনজন আসামি গ্রেপ্তার করেছে। আজ থেকে রিমান্ড প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলাদলির ওপরে উঠে ন্যায়বিচারের জন্য একসঙ্গে থাকা প্রয়োজন।
পাঠকের মতামত
যারা হারিয়েছে তাঁরা বলে কৃতজ্ঞতা, পাড়া পড়শী বলে তুমি পদত্যাগ করো, আমি বসি, গায়ে মানেনা আপনি মোড়াল? ( বিচার দাবি নাকি আন্দোলন?)