খেলা
জুনিয়রের অভিষেক পর্তুগালে ‘গর্বিত’ বাবা রোনালদো
স্পোর্টস ডেস্ক
১৫ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবারক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ছেলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো জুনিয়র, পর্তুগালে যিনি পরিচিত ক্রিস্টিয়ানিনহো নামে। পর্তুগিজ ভাষায় ‘ক্রিস্টিয়ানিনহো’র অর্থ ছোট ক্রিস্টিয়ানো। সেই জুনিয়র ক্রিস্টিয়ানো হাঁটলেন বাবার পথেই। পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৫ দলে অভিষিক্ত হয়েছেন রোনালদো জুনিয়র। ক্রোয়েশিয়ার ব্লাকদো মার্কোভিচ টুর্নামেন্টে মঙ্গলবার প্রথমবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন তিনি। নিজের প্রথম ম্যাচে জাপানকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তার দল। ছেলের এই অর্জনে গর্বিত বাবা রোনালদো। ক্রোয়েশিয়ার সুয়েতি মার্টিন না মুরি শহরে অনুষ্ঠিত এই আন্তর্জাতিক বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে জুনিয়র নামেন তার বাবার বিখ্যাত ৭ নম্বর জার্সি জড়িয়ে। যদিও শুরুর একাদশে ছিলেন না সৌদি ক্লাব আল নাসর তারকার ছেলে। তার আন্তর্জাতিক ফুটবলের যাত্রা শুরু হয় বিরতির পর। ৫৫তম মিনিটে মাঠে নেমে খেলেন লেফট উইংয়ে, বাবা রোনালদো ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় যেই পজিশনটায় খেলেছেন। ম্যাচে পর্তুগালের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন রাফায়েল কাবরালের। অন্য গোলটি করেন হেনরিক আমেন। ছেলের জাতীয় দলের অভিষেকের দিন বাবা রোনালদো মাঠে না থাকতে পারেননি। তবে সেই ছোটবেলা থেকে এই পর্তুগিজ মহাতারকা ফুটবলে যার থেকে সবচেয়ে বেশি সমর্থন পেয়েছেন, মা মারিয়া দোলোরেস আভেইরো এদিন ছিলেন গ্যালারিতেই। নিয়মিতই ছেলের খেলা দেখতে মাঠে যাওয়া দোলোরেস নাতির অভিষেক দেখার আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন, ‘শুভকামনা পর্তুগাল।’ পরে মাঠে বসে নাতির অভিষেকটাও দেখলেন। অন্যদিকে মাঠে না থাকতে পারলেও ছেলের এই অর্জনে গর্বিত বাবা রোনালদো। ৪০ বছর বয়সী এই নাসর ফরোয়ার্ড ইনস্টাগ্রামে লেখেন, ‘পর্তুগালের হয়ে তোমার অভিষেকের জন্য অভিনন্দন বাবা। তোমাকে নিয়ে খুবই গর্বিত।’
পর্তুগালের হয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো নিজে খেলেছেন ২১৯ ম্যাচ। ২০০৩-এ অভিষেকের পর থেকে এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের জার্সিতে গোল করেছেন দেশের সর্বোচ্চ ১৩৬টি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার চেয়ে (৯৩৪) বেশি গোল নেই আর কারও। ইংল্যান্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর দীর্ঘ সময় খেলেছেন স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। অল হোয়াইটদের সর্বোচ্চ গোলের (৪৫১) মালিক বনে গিয়ে উড়ে গেছেন ইতালির জুভেন্টাসে। পরে ফের রেড ডেভিলদের আঙিনায় ফিরে গিয়ে এখন খেলছেন আল নাসরে।