ঢাকা, ১২ মে ২০২৫, সোমবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৩ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া শুরু: এবার বাতিল হচ্ছে নিবন্ধন

অনলাইন ডেস্ক

(৮ ঘন্টা আগে) ১২ মে ২০২৫, সোমবার, ৯:৪১ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৪:১৪ অপরাহ্ন

mzamin

বাংলাদেশ প্রতিদিন

দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতার খবর ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া শুরু: এবার বাতিল হচ্ছে নিবন্ধন’। প্রতিবেদনে বলা হয়, এবার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধন বাতিল হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সরকারি আদেশ (গেজেট) হাতে পাওয়ার পর দলটির নিবন্ধন বাতিলসংক্রান্ত করণীয় ঠিক করবে ইসি।

এক্ষেত্রে আজ গেজেট প্রকাশ হলে আইন-বিধি পর্যালোচনা করে আজই নিবন্ধনসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি। ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর নৌকা প্রতীকে ইসির নিবন্ধন পায় আওয়ামী লীগ। দলটির নিবন্ধন নম্বর ৬। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষিত হলে দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যায়। আরপিও-এর ৯০ (জ) অনুচ্ছেদের (১) (খ) দফায় বলা হয়েছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল হবে-যদি সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের গেজেট প্রকাশের পরই নিবন্ধন নিয়ে ইসি সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি বলেন, যদি সোমবার গেজেট প্রকাশ হয় তাহলে সোমবারই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তিনি বলেন, আমরা তো দেশের বাইরের না। আমরা দেশের নাগরিক। দেশের স্পিরিট বুঝি আমরা।

গতকাল নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, সরকার থেকে যে আদেশ জারি হবে, সে আদেশের শর্তানুযায়ী প্রচলিত আইন অনুসরণ করে ইসির যা করণীয় তাই করবে। ওটা আমাদের হাতে এলে, এর ওপর ভিত্তি করে কমিশনের যা করণীয় করা হবে।

জাতীয় নাগরিক পার্টি, জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলের দাবির মুখে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ দলটিকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা। শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদের এ-সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে (আজ সোমবার) জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা। সভায় তিনটি সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে। সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে।

সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে। 

এর আগে ২৩ অক্টোবর ‘সন্ত্রাসী’ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। এখন বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত একই আইনের আওতায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার। বিলুপ্ত বা বাতিল হলে দলের নামসহ সরকারি গেজেটে প্রকাশ করতে হবে ইসিকে।

অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, সিদ্ধান্তটা গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানছি, আপনারা যেভাবে দেখছেন, আমরাও সেভাবে দেখছি। এ-সংক্রান্ত পেপার্স আসবে নিশ্চয়ই, তারপর আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে। আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সরকার যে আদেশটা দেবে, আদেশে কী শর্ত থাকবে নির্বাচন কমিশন এখনো জানে না। আদেশের ওপর ভিত্তি করে ইসি প্রচলিত আইন অনুযায়ী যা করার তাই করবে।

প্রথম আলো

‘প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানো জরুরি’-এটি দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন—এটিসহ সংবিধান সংস্কারে সাতটি প্রস্তাব তুলে ধরেছে নাগরিক জোট। এসব প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, দেশের বিদ্যমান সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর অসীম ক্ষমতা দেওয়া আছে। দেশের আইনি কাঠামো, প্রতিষ্ঠানগুলো এমন ছিল যে এখানে স্বৈরাচারের আবির্ভাব সুনিশ্চিত ছিল। এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ক্ষমতার ভারসাম্য এনে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানো।

গতকাল রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে ‘সংবিধান সংস্কারে নাগরিক জোটের ৭ প্রস্তাব’ তুলে ধরা হয়। তাদের প্রস্তাবের ওপর অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। তবে সংবিধান সংস্কার প্রশ্নে দলগুলো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে যে বক্তব্য দিয়েছিল, এখানেও একই বক্তব্য তুলে ধরে।

রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সংস্কারে নাগরিক উদ্যোগ ‘নাগরিক কোয়ালিশন’ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ সাহান নাগরিক জোটের সাত প্রস্তাব তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য নাগরিক জোটের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য দুটি পথরেখা তুলে ধরেন লেখক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক জিয়া হাসান।

গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানো

এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন—এ প্রস্তাবের বিষয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, এটি খুব জনপ্রিয় দাবি। এটি তাঁরও দাবি। কিন্তু এই দাবি শুধু করলেই হবে না। ‘কনভিন্সিং আর্গুমেন্ট’ করতে হবে। পৃথিবীর কোন কোন দেশে এটা আছে, তা দেখতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুই মেয়াদে থাকতে পারবেন, এমন বিধান আসলে ভারত, যুক্তরাজ্য কোথাও নেই।

এক ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, এমন বিধান করা হলেও একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব বলে মনে করেন আইন উপদেষ্টা। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘ধরুন, দুই মেয়াদের জন্য সালাহউদ্দিন (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য) ভাই প্রধানমন্ত্রী হলেন। এরপর তাঁর স্ত্রী দুই মেয়াদে হলেন। এরপর তাঁর সন্তান দুই মেয়াদে হলেন।’

যুগান্তর

দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘হাসিনার ভুলেই সব শেষ’। প্রতিবেদনে বলা হয়, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফিরে আসার যেটুকু সম্ভাবনা ছিল, তা শেখ হাসিনা নিজেই শেষ করে দিয়েছেন। তার চরম দাম্ভিকতা এবং প্রতিবিপ্লব ঘটানোর দুঃস্বপ্ন পুরো দলকে বিপদের দিকে ঠেলে দিয়েছে। যার ফলে ছাত্র-জনতার দাবির মুখে শনিবার উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়। এখন দলের নিবন্ধন বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যুগান্তরকে এমনটি জানিয়েছেন কয়েকজন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

তারা বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট জীবন নিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেলেও দেশে রেখে যাওয়া দল এবং দলের নেতাকর্মীদের বাঁচাতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেননি শেখ হাসিনা। জুলাই-আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধসহ ক্ষমতায় থাকার সাড়ে ১৫ বছরের দুঃশাসন ও লুটপাটের জন্য তার উচিত ছিল জাতির কাছে ভুল স্বীকার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া।

কিন্তু সেটি না করে উলটো ভারতে বসে অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত করার জন্য অব্যাহতভাবে দলের নেতাকর্মীদের উসকানি দিয়েছেন। প্রতিবিপ্লব ঘটিয়ে দলের সবাইকে রাস্তায় নেমে আসার নির্দেশও দেন। যদিও তার এমন উসকানিতে সাড়া দিতে গিয়ে অনেকে এখন কারাগারে। বাকিরা নতুন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর ফলে ‘আওয়ামী লীগ’ নামে দলটির নেতাকর্মীরা বাংলাদেশে আর রাজনীতি করতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে দলটির বিচার হবে। এ বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং তাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে। ওইদিন একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গ-সংগঠন বা সমর্থকগোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবেন ট্রাইব্যুনাল। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।

কালের কণ্ঠ

‘ভোটেও নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ’-এটি দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সব পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্তের কারণে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী দেওয়ার কোনো সুযোগ পাবে না দলটি। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দলটির নিবন্ধন বাতিলের ঝুঁকিও রয়েছে। দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধের সরকারি প্রজ্ঞাপন হাতে পাওয়ার পর নির্বাচন বিষয়টি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে ইসি সভা করবে।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য বেগম জেসমিন টুলি গতকাল রবিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত একটি রাজনৈতিক দলের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া মানে সেই দল নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো সুযোগ-সুবিধা পাবে না। ভোটার তালিকা পাবে না, নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নও দিতে পারবে না। ব্যালট পেপারেও ওই দলটির জন্য প্রতীক বরাদ্দ হবে না। নিবন্ধন আপাতত বহাল থাকলেও নিবন্ধিত দলের তালিকায় ওই দলটির ক্ষেত্রে ‘যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত’ কথাটি লেখা থাকবে।

এদিকে নির্বাচন কমিশনও আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বহাল থাকবে কি না, সে বিষয়ে দ্রুত কমিশন সভায় বসতে যাচ্ছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন গতকাল সকালে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে সরকারি গেজেট প্রকাশের অপেক্ষায় আছি। কাল (সোমবার) গেজেট প্রকাশিত হলে আমরা নির্বাচন কমিশন বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসব। কমিশনের আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বর্তমান বাংলাদেশের স্পিরিট বুঝেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, আওয়ামী লীগ বিষয়ে সরকারি গেজেট পাওয়ার পর কমিশন বৈঠকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলে নিবন্ধন বাতিল হবে কি না, সে বিষয়ে আইনগত দিক খতিয়ে দেখে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।

সমকাল

দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম ‘রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের সুবিধা মতো সংস্কার চায়’। খবরে বলা হয়, রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধান সংস্কারে একমত হলেও, তা চাইছে নিজেদের মতো করে। বিএনপি বলেছে, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনে তারা রাজি নয়। এনসিপির ভাষ্য, প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনের প্রস্তাব থেকে সরে আসার সুযোগ নেই। জামায়াতে ইসলামী বলেছে, এ বিষয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোটে ফয়সালা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর জন্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে এনসিসি গঠনকে সমর্থন করছে না বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।

গতকাল রোববার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে নাগরিক কোয়ালিশনের সম্মেলনে এসব মতামত দিয়েছেন দলগুলোর নেতারা। অন্যান্য দলের নেতারাও নিজ নিজ দলীয় অবস্থান তুলে ধরেন।

নাগরিক কোয়ালিশন সংবিধানের ৭ সংশোধনীর প্রস্তাবনা তুলে ধরে। এতে নিম্নকক্ষের নির্বাচনের ভোটের অনুপাতে গঠিত উচ্চকক্ষের অনুমোদনে সাংবিধানিক নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষকে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের মতো শক্তিশালী করতে বিচার বিভাগের নিয়োগ উচ্চকক্ষের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মাধ্যমে সম্পন্নের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সব জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান উচ্চকক্ষের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।

নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে প্রস্তাব করা হয়েছে, সংসদ বিলুপ্তির দুই মাস আগে সরকারি ও বিরোধী দল থেকে পাঁচজন করে এমপি নিয়ে ১০ সদস্যের সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটি (এপিপিসি) গঠন করা হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে সরকারি ও বিরোধী দল তিনজন করে নাম প্রস্তাব করবে। যিনি এপিপিসির আট সদস্যের সম্মতি পাবেন, তিনিই প্রধান উপদেষ্টা হবেন। কমিটি এতে ব্যর্থ হলে, প্রস্তাবিত ছয় ব্যক্তির মধ্যে থেকে উচ্চকক্ষ ‘র‌্যাংকড চয়েজ’ পদ্ধতিতে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন করবে।

ইত্তেফাক

‘রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করতে পারবে ট্রাইব্যুনাল’-এটি দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত রাজনৈতিক দল ও এর সহযোগী সংগঠনকে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্ট সংশোধন করে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সংশোধনী গৃহীত হওয়ার পর অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে রবিবার তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, কোনো সংগঠন যেমন রাজনৈতিক দল বা তার সহযোগী কোনো সত্তা যদি এ আইনের আওতাভুক্ত কোনো অপরাধে জড়িত থাকে বলে ট্রাইব্যুনালের কাছে প্রতীয়মান হয়, তাহলে ঐ সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ করা, নিবন্ধন বা লাইসেন্স বাতিল এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা ট্রাইব্যুনালের থাকবে। এছাড়া দলের কার্যক্রম প্রচার, সমর্থন, অনুমোদন, সহায়তা কিংবা এর সঙ্গে সম্পৃক্তরাও শাস্তির আওতায় আসবে বলে সংশোধনীতে উল্লেখ করা হয়েছে।

আইনের দুটি ধারায় এই সংশোধনী আনার ফলে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত রাজনৈতিক দল বা সংগঠন, তার অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীর বিচারের সুযোগ তৈরি করার পাশাপাশি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা পেল ট্রাইব্যুনাল।

এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম বলেন, ১৯৭৩ সালে এই আইন প্রণয়নের পর ২০১৩ সালে তত্কালীন সরকার আইনটি সংশোধন করে। ২০১৩ সালের সংশোধনীতে এ আইনে ব্যক্তির পাশাপাশি সংগঠনের বিচারের ব্যবস্থা করা হলেও শাস্তির বিধান ছিল না। আইনটি দ্বিতীয় বারের মতো এখন আনা সংশোধনীতে সংগঠনের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। নতুন সংশোধনীতে কোনো সংগঠনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বিচারে প্রমাণিত হলে ট্রাইব্যুনাল ঐ সংগঠনকে নিষিদ্ধ, লাইসেন্স বা নিবন্ধন বাতিলসহ তার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে পারবে। ঐ সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে পারবে। তিনি বলেন, নতুন এ সংশোধনীর পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে ব্যক্তির পাশাপাশি সংগঠনের বিরুদ্ধে তদন্ত, বিচারকার্য পরিচালনা এবং শাস্তি দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। এতদিনও তদন্ত ও বিচার কার্যক্রমে বাধা ছিল না, শুধু শাস্তির বিধান ছিল না। আমরা মনে করি আইনটি সংশোধন যথোপযুক্ত ও সময়োপযোগী উদ্যোগ।

বণিক বার্তা

‘ব্যাংকের সংখ্যা কমিয়ে আনার ক্ষমতা পেল কেন্দ্রীয় ব্যাংক’-এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, অনিয়ম-দুর্নীতি ও লুণ্ঠনের কারণে দেশের প্রায় দুই ডজন ব্যাংক এখন রুগ্‌ণ। এ তালিকায় সরকারি ব্যাংকের পাশাপাশি বেসরকারি ও বিদেশী ব্যাংকও রয়েছে। বিগত দেড় দশকে লুণ্ঠিত হওয়া রুগ্‌ণ ব্যাংকগুলোকে একীভূত কিংবা অধিগ্রহণ করার ক্ষমতা পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত শুক্রবার জারীকৃত ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ কেন্দ্রীয় ব্যাংককে এ ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

৯৮টি ধারাবিশিষ্ট এ অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো তফসিলি ব্যাংক অকার্যকর হয়ে গেলে বা কার্যকর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখা না গেলে বাংলাদেশ ব্যাংক ওই ব্যাংককে রেজল্যুশন করার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। রেজল্যুশনের অর্থ হচ্ছে, দেউলিয়াত্বের মুখে পড়া ব্যাংকের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা। আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষাই হবে ব্যাংক রেজল্যুশনের প্রধান উদ্দেশ্য।

অকার্যকর ব্যাংককে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক মিলে সাময়িকভাবে সরকারি মালিকানায় নিতে পারবে বলে অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এক বা একাধিক শেয়ার হস্তান্তর আদেশ জারি করবে। তবে শেয়ার গ্রহীতাকে সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি হতে হবে। কোনো ব্যাংকের সুবিধাভোগী মালিক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যাংকের সম্পদ বা তহবিল নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করলে ও প্রতারণামূলকভাবে অন্যের স্বার্থে ব্যবহার করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই ব্যাংককে রেজল্যুশনের আওতায় নিতে পারবে।

আজকের পত্রিকা

দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর ‘চাকরিতে কোটা: সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য আসছে সমান সুযোগ’। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে পার্বত্য অঞ্চল ও সমতলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদেরও নিয়োগের বিষয়টি স্পষ্টীকরণ করতে পারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়েও ভাবছে মন্ত্রণালয়।

এদিকে সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগ নিয়ে জটিলতা এড়াতে প্রতিবন্ধী হিসেবে নিয়োগের যোগ্যদের বিষয়ে গাইডলাইন জারি করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকার সময় ৫ শতাংশ কোটা ছিল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য। আন্দোলনের মুখে গত বছরের ২৩ জুলাই সরকারি চাকরিতে মেধায় ৯৩ শতাংশ এবং বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ কোটায় রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। এসব কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে কোটার শূন্যপদ সাধারণ মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা যাবে।

দেশ রূপান্তর

‘রেস্টুরেন্ট যেন মরণফাঁদ!’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবন। ওই ভবনে ছিল বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ। রাতের খাবার খেতে এসেছিলেন অনেকে। এরপর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেল ৪৬ জনের। গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি ভয়ানক ওই রাতের কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে ওঠে। কিন্তু তারপরও কি থেমে আছে বহুতল ভবনে রেস্টুরেন্ট? পরিসংখ্যান বলছে, রাজধানীসহ সারা দেশে ৫৪ শতাংশ রেস্টুরেন্ট রয়েছে অগ্নিঝুঁকিতে। আর বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এ অবস্থা থাকলে যেকোনো দিনই ঘটতে পারে আরেকটা ‘বেইলি রোড ট্র্যাজেডি’...।

ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডের ১০ নম্বর সড়কের বহুতল ভবন ইম্পেরিয়াল আমিন আহমেদ সেন্টার। অফিস হিসেবে ব্যবহারের জন্য বানানো হয় ১৩-তলার এই ভবন। কিন্তু ভবনের বেজমেন্টসহ ১৫-তলা জুড়ে রেস্টুরেন্টে ঠাসা। অনেক ফ্লোরে একাধিক রেস্টুরেন্টও রয়েছে। এগুলোতে বুফেসহ নানা ধরনের অভিজাত খাবারের আয়োজন করা হয়।

আর ওইসব খাবার রান্না করতে প্রয়োজন হয় উচ্চ তাপমাত্রা। এই উচ্চ তাপ ও চাপে রান্না করতে ব্যবহার করা হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাসসহ ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি।

শুধু এ ভবনই নয়, ধানমন্ডি, বনানী, উত্তরা, খিলগাঁও, মিরপুরসহ রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়। ফায়ার সার্ভিসের এক হিসাবে দেখা গেছে, দেশের প্রায় ৫৪ শতাংশ রেস্টুরেন্ট অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। তবে বড় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে না। গত বছর ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডের গ্রিন কোজি রেস্টুরেন্টে আগুনের পর রাজউক, সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন সংস্থা অভিযান চালিয়ে ধানম-ির সাতমসজিদ রোডের আলোচিত গাউছিয়া টুইন পিক ভবনসহ বিভিন্ন এলাকায় বহু রেস্টুরেন্ট সিলগালা করে। কিন্তু এর কিছুদিন পরই সেই অভিযান থেমে যায়।

ডেইলি স্টার

দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর ‘Parties welcome ban on AL activities’ অর্থাৎ ‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধকে স্বাগত জানিয়েছে দলগুলো।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের যে সিদ্ধান্ত অর্ন্তবর্তী সরকার নিয়েছে, সেটাকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বাংলাদেশে সক্রিয় অন্য রাজনৈতিক দলগুলো। তারা স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীদের দ্রুত বিচার করার আহ্বান জানিয়েছে।

প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের জন্য দল নিষিদ্ধের দাবিতে তিন দিনব্যাপী প্রতিবাদের এ সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী ছাত্র শিবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইনকিলাব মঞ্চ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ও আমার বাংলাদেশ পার্টি ওই প্রতিবাদের অংশ নেয়।

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

‘দ্য উইক’ ম্যাগাজিনে তারেক রহমানকে নিয়ে কাভার স্টোরি/ ‘নিয়তির সন্তান’

বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায় পুলিশ/ ডিএমপির দুঃখ প্রকাশ, এসআই ক্লোজড

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status