অনলাইন
পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে যাচ্ছে বিদেশের বিভিন্ন বিমান সংস্থা
মানবজমিন ডিজিটাল
(৬ ঘন্টা আগে) ৬ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ১২:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৫ অপরাহ্ন

২২শে এপ্রিলের ভয়াবহ পেহেলগাম হামলার পর পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে। এই আবহে বিভিন্ন বিমান সংস্থার বিবৃতি এবং ফ্লাইট-ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, অসংখ্য আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উভয় দেশ একে অপরের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে, তবে একই সাথে আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলোকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে। কিছু বিমান সংস্থা ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে যাবার বিষয়ে বিবৃতি জারি করার সিদ্ধান্ত নিলেও, অন্যরা কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি ছাড়াই তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জার্মানির বিমান সংস্থা লুফত্হানসা বিমানচালকদের পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে যেতে বলেছে। এর ফলে এশিয়ার বেশ কিছু দেশে পৌঁছতে ওই বিমান সংস্থার বিমানের অতিরিক্ত সময় লাগছে। বৃটিশ এয়ারওয়েজ, সুইস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স, এয়ার ফ্রান্স এবং এমিরেটসের বিমানগুলো দিল্লি যাওয়ার সময় পাকিস্তানকে এড়িয়ে কিছুটা উত্তর দিক ঘেঁষে ভারতে ঢুকছে। তার পর আরব সাগরের উপর দিয়ে দিল্লি পৌঁছাচ্ছে বিমানগুলো।
ফ্লাইট-ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট Flightradar24-এর তথ্য অনুসারে, রবিবার ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে নয়াদিল্লিগামী লুফথানসার একটি ফ্লাইট LH760-কে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় এক ঘন্টা বেশি উড়তে হয়েছিল কারণ এটি পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে দীর্ঘ পথ নিয়েছিল। রয়টার্সকে দেয়া আরেকটি বিবৃতিতে এয়ার ফ্রান্স বলেছে যে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের আকাশপথে বিমান চলাচল তারা স্থগিত রাখবে। বৃটিশ এয়ারওয়েজ এই প্রসঙ্গে কিছু না জানালেও মনে করা হচ্ছে, একই কারণে পাকিস্তানের আকাশপথকে এড়িয়ে যাচ্ছে তাদের বিমান। বিভিন্ন বিদেশি বিমান সংস্থা পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়ায় এর বহুমুখী প্রভাব পড়তে চলেছে। বিমানগুলোকে অতিরিক্ত পথ অতিক্রম করতে হচ্ছে, এতে জ্বালানি খরচ বাড়ছে। ফলে বিমানের ভাড়া বাড়তে পারে। গন্তব্যে পৌঁছনোর সময়ও বিলম্বিত হতে পারে।
অন্যদিকে এর ফলে লোকসান হচ্ছে পাকিস্তানেরও। কারণ বিমান কোনও দেশের আকাশপথ ধরে অন্য কোনও গন্তব্যে গেলে সেই দেশ একটি নির্দিষ্ট অর্থ পেয়ে থাকে, যাকে ‘ওভারফ্লাইট ফিজ’ বলা হয়। বিমানের ওজন, সেটি সংশ্লিষ্ট দেশে কতটা পথ পাড়ি দিচ্ছে, এগুলির উপর নির্ভর করে অর্থের অঙ্ক নির্ধারিত হয়।
সূত্র : দ্য উইক