বাংলারজমিন
সঞ্জয়ের কাছে ছুটে আসা ব্রাজিল কন্যার খোঁজ নেই
বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
২৮ এপ্রিল ২০২৫, সোমবারঘটনা ২০১৭ সালের। ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল রাত ১০ টায় ঢাকায় পা রাখেন ব্রাজিলিয়ান তরুণী জেইসা ওলিভেরিয়া সিলভা । রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর বাজারে মিষ্টি ব্যবসায়ী বলাই ঘোষের ছেলে সঞ্জয় ঘোষের সাথে বিবাহ বন্ধনের জন্য ব্রাজিলের সাওপাউলো থেকে ছুটে আসেন ২৯ বছর বয়সী জেইসা ওলিভেরিয়া সিলভা। দীর্ঘ দেড় বছর প্রেমের সম্পর্কের পর বাংলাদেশে আসেন সিলভা।
সিলভাকে বরণ করতে আগে থেকেই বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন প্রেমিক সঞ্জয়। বিমানবন্দর থেকে সঞ্জয় চলে আসেন গ্রামের বাড়ি জামালপুর। ৪ এপ্রিল (মঙ্গলবার) বিষয়টি জানাজানি হলে সঞ্জয়ের বাড়িতে ভিড় জমে যায়। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস'া জোরদার করেন। পরদিন বুধবার (৫ এপ্রিল) সঞ্জয় ও সিলভা ঢাকায় চলে যান। ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার মিরপুরে একটি বাসায় তাদের শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয় জানাজানি হয়। ১০ এপ্রিল (সোমবার) ঢাকা থেকে ব্রাজিল পাড়ি জমান জেইসা ওলিভেরিয়া সিলভা। এরপর থেকে পুরোপুরি যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায় তাদের। বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের সঞ্জয়ের গ্রামের বাড়িতে গেলে সঞ্জয় ও সিলভার ব্যাপারে কেউ কোন কথা বলতে রাজি হয়নি। সঞ্জয়ের সাথে যোগাযোগের জন্য মুঠোফোন নাম্বার চাইলেও নাম্বার দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তারা। পরে সঞ্জয়ের বন্ধুদের কাছ থেকে সঞ্জয়ের মুঠোফোন নাম্বার সংগ্রহ করে ফোন করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তিনি সাংবাদিকদের ফোন রিসিভ করেনি। সঞ্জয়ের বন্ধু ও প্রতিবেশীরা বলেন, সঞ্জয় শ্যামলী পরিবহনে কাজ করতেন। হঠাৎ ব্রাজিলের এক নারীকে নিয়ে জামালপুর আসেন। জামালপুর তারা দুইদিন ছিল। এখানে কোন বিবাহ হয়নি। শুনেছি ঢাকায় তারা বিবাহ করেছেন। জামালপুর থেক ঢাকা যাওয়ার কয়েকদিন পর সেই মেয়ে ব্রাজিল চলে গেছেন। সঞ্জয় মাঝে মাঝে জামালপুর আসেন। তিনি বিয়ে করেছেন কিনা সেটা আমরা জানিনা।
সঞ্জয় ঘোষের পিতা বলাই ঘোষ বলেন, বন্ধুত্বের টানে ব্রাজিল থেকে বাংলাদেশ আসেন ব্রাজিলকন্যা সিলভা। জামালপুরের গ্রামের বাড়িতে দুইদিন ছিলেন। এরপর কয়েকদিন ঢাকা ছিলেন। তাদের কোন বিয়ে হয়নি। ঢাকা থেকে পরে ওই কণ্যা ব্রাজিল ফিরে যায়। বর্তমানে আমার ছেলে ঢাকায় বসবাস করছে। দুই বছর আগে গোপালগঞ্জ বিয়ে করছে সে। তাদের একটি ছেলে আছে। সবাই মিলে ঢাকায় তারা সুখে আছেন।