প্রথম পাতা
গুজরাটে ১ হাজার বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
২৭ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার
ভারতের গুজরাট রাজ্যে এক হাজারের বেশি তথাকথিত অবৈধ বাংলাদেশিকে আটক করার দাবি করেছে সেখানকার পুলিশ। আহমেদাবাদ ও সুরাটে গুজরাট পুলিশ, স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি)-এর যৌথ অভিযানে এদের আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। আটক ব্যক্তিদের কারও কাছেই বৈধ কোনো নথিপত্র নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ। রাজ্যটির স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি শনিবার জানিয়েছেন, আহমেদাবাদ ও সুরাটে চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে নারী ও শিশুসহ এক হাজারেরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছে। আহমেদাবাদে কমপক্ষে ৮৯০ জন এবং সুরাটে ১৩৪ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে, যাকে মন্ত্রী গুজরাট পুলিশের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অভিযান বলে অভিহিত করেছেন।
সাংঘভি গুজরাটে বসবাসকারী অবৈধ বাংলাদেশিদের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যথায় তাদের গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। মন্ত্রী অভিযোগ করেন, আটককৃতরা গুজরাটে আসার আগে ভারতের বিভিন্ন স্থানে থাকার জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে জাল নথি সংগ্রহ করেছিল। গুজরাট পুলিশ জানিয়েছে, অবৈধভাবে এই তথাকথিত বাংলাদেশি নাগরিকরা ভারতে এসেছিলেন। গুজরাটে তারা নানা ধরনের কাজকর্ম করছিলেন। তবে কারও কাছেই বৈধ কোনো নথিপত্র ছিল না। তাই সকলকে আটক করা হয়েছে। শিগগিরই তাদেরকে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। তবে মন্ত্রী জানিয়েছেন, যাদের আটক করা হয়েছে তাদের অনেকেই মাদক পাচার, মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত। তিনি দাবি করেন, সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা চারজন কথিত বাংলাদেশির মধ্যে দু’জন একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের স্লিপার সেলে কাজ করেছিল। এই বাংলাদেশিদের অতীত ইতিহাস এবং গুজরাটে তাদের কার্যকলাপের তদন্ত করা হবে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আহমেদাবাদে অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান শুরু হয় শনিবার ভোররাত ৩টায়। ডিসিপি অজিত রজিয়ানকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, চান্দোলা এলাকা থেকে ৪০০ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। স্থানীয় কয়েকটি সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এই দফায় প্রথম গুজরাটের আহমেদাবাদে শুক্রবার এই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। প্রথম কয়েক ঘণ্টাতেই একশ’র বেশি বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও অনুপ্রবেশকারীর খবর পেয়েছে পুলিশ। সুরাটেও অভিযান শুরু হয়েছে শুক্রবার রাতে। শনিবারও অভিযান জারি ছিল। রাজ্যটির অন্যান্য জায়গায়ও ধরপাকড় চলছিল। জানা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের এপ্রিলে অনুপ্রবেশকারী সংক্রান্ত দু’টি এফআইআর দায়ের হয়েছিল। তখনই ১২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার মধ্যে ৭৭ জনকে বাংলাদেশ পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গুজরাট তো বটেই, দিল্লিতেও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে আটক এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে মানুষ পাচারের বড় চক্রগুলিকে ধরার চেষ্টা করছে ভারতের পুলিশ।
পাঠকের মতামত
এই ১ হাজার বাংলাদেশির মধ্যে ১ টাও আওয়ামী লিগ নাই, কারন ওরা আওয়ামী লিগ পালতেছে।
হাসিনা সহ কয়েক হাজার আওয়ামী গুন্ডারা ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে এটা কো সত্য কথা , এবং এই খবর ভারত সরকারও জানে ,তা হটাত করে এতদিন পর তাদের টনক নড়লো কেন?
এরা হয়তো হাসিনা পলায়নের সাথে সাথে তারাও পালিয়েছে। কিন্তু হাসিনা এবং অন্যন্য নেতাদের রেখে পাতি নেতাদের অ্যারেস্ট দেখানো হলো কেন ? হাসিনাসহ অন্যান্যদের ওদের সাথে অ্যারেস্ট দেখিয়ে ওভাবে খোলা মাঠে বসিয়ে রাখা হোক। যদি ইচ্ছা হয় পাঠিয়েও দেওয়া হোক। বাংলাদেশকে বলব অবৈধ ভারতীয়দের খোঁজা শুরু করে দেওয়া হোক।
delhi te sheikh hasina kivabe ase