বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলার আসামি গ্রেপ্তারে অনুমতি লাগবে না

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারের আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়ার যে নির্দেশনা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছিল, তার কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। এ ছাড়া আসামিদের গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপকারী ডিএমপি কমিশনারের অফিস আদেশটি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। বুধবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব এবং বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট মামলার প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তাকে সহযোগিতা করেন রিটকারী আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন। 
গত ২০শে এপ্রিল ওই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন। পুলিশ সদর দপ্তরের জারি করা ওই অফিস আদেশের কার্যকারিতা স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারির আবেদন জানানো হয় ওই রিটে। রিটকারী আইনজীবী বলেন, আদালতের এ আদেশে ডিএমপি কমিশনারের স্বাক্ষরিত উক্ত নির্দেশনা আপাতত কার্যকর থাকছে না। স্থগিতাদেশের ফলে আদেশটির কার্যকারিতা আগামী তিন মাসের জন্য স্থবির থাকবে।

গত ১০ই এপ্রিল ডিএমপি’র যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত ওই অফিস আদেশে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংক্রান্তে রুজু করা মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারনামীয় আসামির সংখ্যা অধিক। এসকল মামলার এজাহারনামীয় কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারের জন্য উপযুক্ত প্রমাণসহ (ভিকটিমবাদী-প্রত্যক্ষদর্শী-সাক্ষী, ঘটনা সংশ্লিষ্ট ভিডিও-অডিও-স্থিরচিত্র ও মোবাইলের কল লিস্ট বা সিডিআর ইত্যাদি) অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গ্রেপ্তার করতে হবে।