অনলাইন
দিনাজপুরে ভবেশের মৃত্যুর ঘটনায় ভারতের দেয়া বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করলো বাংলাদেশ
অনলাইন ডেস্ক
(২ সপ্তাহ আগে) ২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৪ পূর্বাহ্ন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সকল ধর্মের নাগরিকদের সমান অধিকার নিশ্চিত করে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম দিনাজপুরে ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যুর ঘটনায় ভারত সরকারের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
শনিবার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যুকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর ‘সংগঠিত নিপীড়নের ধারাবাহিকতার’ অংশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে’।
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের মুখপাত্র শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা এই ভিত্তিহীন দাবিকে প্রত্যাখ্যান করছি।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ এমন দেশ নয়, যেখানে সংখ্যালঘুরা সরকারের সমর্থনে কোন বৈষম্যের শিকার হন।
প্রেস সচিব পুনরায় উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ সরকার সকল নাগরিককে তার ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে অধিকার রক্ষা করে। তিনি বলেন, ‘এই নির্দিষ্ট ঘটনায়, আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে ভুক্তভোগী পূর্বপরিচিত কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে বাইরে গিয়েছিলেন। তার পরিবার কারো সঙ্গে বাইরে যাওয়া নিয়ে কোনো সন্দেহজনক বিষয় জানাননি।’
শফিকুল আলম জানান, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে শরীরে কোনো দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবুও, মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে ভিসেরা বিশ্লেষণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান এবং বলেন, ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়ার পর উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
‘আমরা সব পক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি, ঘটনাটি নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য,’তিনি যোগ করেন। শনিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবেশ চন্দ্র রায়ের হত্যাকে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর সংগঠিত নিপীড়নের ধারাবাহিকতা’ বলে মন্তব্য করে।
এক্স-এ দেয়া এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘু নেতা শ্রী ভবেশ চন্দ্র রায়ের অপহরণ ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’
‘এই হত্যাকাণ্ড একটি ধারাবাহিক নিপীড়নের অংশ, যেখানে হিন্দু সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা হচ্ছে এবং পূর্বের ঘটনাগুলোর অপরাধীরা বিনা শাস্তিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে,’ তিনি দাবি করেন। সূত্র: বাসস
পাঠকের মতামত
বাংলাদেশের মতো একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের ব্যাপারে প্রতিনিয়ত এবং মাত্রাতিরিক্ত হস্তক্ষেপ (তাও আবার মিথ্যার প্রতিষ্ঠিত) এবং ভারতের অভ্যন্তরে যে সীমাহীন সংখ্যালঘু নির্যাতন চলছে - এই দুটো বিষয়ে আন্তর্জাতিক সকল মহলে জোরালো প্রতিবাদ এবং প্রচারণা চালানো উচিত।
বর্বর ভারত, নিজের চরকায় তেল দাও
Just a reminder to our neighbour- when you will learn to speak the truth!
ভারতের খুঁজলি রোগ কখনও সারবে না। ওঠা বেড়িবেরী স্কাভি রোগের মতো ক্রনিক।
ভারত সব সময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত থাকাই যেন ওনাদের একমাত্র কাজ। ভারতের সরকারী মদদে মুসলমানদের উপর নির্যাতন, মসজিদ ভাঙচুর ওদের মিডিয়ার চোখে পড়ে না।
ভারত সরকারের মুসলিম সংখ্যালঘু মানুষের উপর চরম নিপীড়ন মসজিদ মাদ্রাসা ধংসের ব্যাপারে জোরালো ভাবে প্রতিবাদ করা উচিৎ। ভারতের ধর্মিয় স্বাধীনতায় চরম হস্তক্ষেপ আন্তজার্তিক ভাবে স্বীকৃত।
ভারতের প্রত্যেকটি মুসলিম হত্যা নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিবাদ করা উচিৎ, সংগে পাস্কিতান সহ বিশ্বের অন্যান্ন মুসলিম দেশ গুলিকে ও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো উচিৎ। ভারত ভদ্রতা নয় থাপড়ে অভ্যস্ত।
আমার মুসলিম ভাইদের মেরে শেষ দিচ্ছিস ঐটার আগে জবাব দে
নিজেদের দেশ নিয়ে ভাবুন। বাংলাদেশের হিন্দু মুসলিম মিলেমিশে আছি।