অনলাইন
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগ ইস্যুতে যা বললেন আসিফ নজরুল
স্টাফ রিপোর্টার
(৮ ঘন্টা আগে) ৯ মে ২০২৫, শুক্রবার, ৩:৪২ অপরাহ্ন

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, তার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ জঘন্য মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
নিচে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের ফেসবুক পোস্টটি তুলে ধরা হলো:
'আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ জঘন্য মিথ্যোচার ও আক্রমণাত্নক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে। আমি আপনাদের সুস্পষ্টভাবে জানাতে চাই খুনের মামলার আসামী সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনে বাধা দেয়ার দায়িত্ব পুলিশ ও গোয়েন্দা এজেন্সীগুলোর, যা কোনভাবেই আমার আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত বিষয় নয়। আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে আছেন নিম্ন আদালতের বিচারকরা। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, আদালতের বিচারকদের দায়িত্ব বিমানবন্দর পাহাড়া দেয়া না বা কারো চলাচলে বাধা দেয়া না।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণের সুযোগ রাখার লক্ষ্যে আইসিটি আইনে সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিধান আইন মন্ত্রণালয়ের খসড়ায় ছিল। আইন উপদেষ্টা হিসেবে আমি নিজে এটা উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উত্থাপন করেছি। আমার উত্থাপিত খসড়ার আমিই বিরোধিতা করবো এটা কিভাবে সম্ভব? উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কোন উপদেষ্টা কি ভূমিকা রেখেছেন এ নিয়ে আমাকে, ছাত্র উপদেষ্টাদের বা অন্য কাউকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকুন। সেখানে যা সিদ্ধান্ত হয়, তার দায়-দায়িত্ব আমাদের প্রতিটি উপদেষ্টার। আমাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রশ্নে কোন দ্বিমত নেই। তবে পদ্ধতি নিয়ে সবার নিজস্ব মত থাকতেই পারে।
আমাদের এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে, আইসিটি আইন চাইলেই আমরা কয়েকদিনের মধ্যে সংশোধন করতে পারবো। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য সন্ত্রাস দমন আইনসহ অন্য আইনগুলোও আছে। কাজেই আইন কোন সমস্যা না। রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ চাইলে বা বিচারিক আদালত এ সম্পর্কে কোন পর্যবেক্ষণ বা রায় আসলে অবশ্যই আইনানুগভাবে দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে।
আমরা সেই প্রত্যাশায় আছি। ইনশাল্লাহ্।'
পাঠকের মতামত
আপনি পদত্যাগ করে নিন্দুকদের সমুচিত জবাব দিন।
আইন উপদেষ্টার বক্তব্য আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ব্যাপারটা স্পষ্ট করেনা,এ ব্যাপারে বিচারিক আদালতের দিকে না তাকিয়ে নির্বাহী আদেশে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে
আসিফ সাহেব দেশের মানুষ রক্ত দেওয়া ভালোভাবেই শিখে গেছে। সুতরাং ভুলভাল বুঝাইয়েন না!!!! সাবধান!!!! আব্দুল হামিদ সাহেবের বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি একদিনে হয় নাই!
আগামী পনের বছর আওয়ামী আওয়ামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক। এটা না করলে ভবিষ্যতে অন্য ফ্যাসিস্ট তৈরি হতে পারে।
আব্দুল হামিদ কড়া নিরাপত্তা বিমানবন্দর থেকে দেশ ত্যাগ করলো কি ভাবে? সেটা জাতি জানতে চাই। আবার সেটা ডাকতে আইভি কে গ্রেফতার দেখানো হলো। বর্তমান সরকার ও নাটক করা শুরু করেছে।
স্যার বিনিময়ের সহিত আপনার সাথে দ্বিমত করতে হচ্ছে কারন এই উপদেষ্টা পরিষদে ডঃ ইউনুস ছাড়া আপনি হলেন সবার থেকে সব বিষয়ে জ্ঞানী গুনি এবং জানেন সুতরাং আপনার কাছ থেকে সবাই বেশি আশা করে, আপনি যতই ডুব দেন, বাচার চেষ্টা করেন বাঁচতে পারবেনা -আজ না হয় কাল সব সত্য বের হবেই
এই সমস্ত কথা বলে পার পাওয়া যাবেনা,কিভাবে নিষিদ্ধ করবেন সেটা আপনারা ভালো করেই জানেন । আমরা চাই আজকের দিনের মধ্যেই আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করা হোক।