শেষের পাতা
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে বাংলাদেশে কিছু করে দিয়ে যাবেন না
স্টাফ রিপোর্টার
২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার
আমেরিকা থেকে ডনাল্ড ট্রাম্প, চীন থেকে শি জিনপিং এবং ভারত থেকে নরেন্দ্র মোদি এসে বাংলাদেশে কিছু করে দিয়ে যাবেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সেমিনার হলে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ক্ষমতায়ন: নেতৃত্ব, ঐক্য এবং প্রবৃদ্ধির পথ’- শীর্ষক এক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সেমিনারে এক ভিডিও বার্তা দেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যত এ দেশের মানুষকে ঠিক করতে হবে। বাংলাদেশটা আমাদের, এর ভবিষ্যতও আমাদের নির্মাণ করতে হবে।
দেশে বহু সমস্যা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর জন্মই হয়েছে বহুত্ববাদের মধ্যদিয়ে, এটা নিয়ে অনেকে ভুল বোঝাবুঝি করেন। বহু চিন্তার মধ্যদিয়ে, অনেক চিন্তা এসে এখানে একসঙ্গে হয়েছে। স্বাধীনতার সময় আমাদের নেতা অনেকেই ছিলেন। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেখ মুজিবুর রহমান, মাহবুব উল্লাহ্ তখন বড় নেতা ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, তখন আমাদের একেকজনের একেক চিন্তা ছিল। কেউ সমাজতন্ত্র, কেউ কমিউনিজম, কেউ ধর্ম প্রতিষ্ঠিত করার চিন্তা করেছেন। তারপর যখন যুদ্ধ শুরু হয়েছে, আমরা সবাই এক হয়েছি এবং এক হয়ে লড়াই করেছি। আজ ২৪-এ একই ঘটনা ঘটেছে, বিভিন্ন চিন্তা-ভাবনা নিয়ে আমরা এসেছি, যেদিন ছাত্রদের ওপর গুলি শুরু হয়েছে, সবাই রাস্তায় নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, প্রায় শত বছর ধরে আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি। এই লড়াইয়ে আমাদের অনেক ত্যাগ আছে, অনেকে প্রাণ দিয়েছেন। কিছুদিন আগেই আমাদের কয়েক হাজার তরুণের তাজা প্রাণ চলে গেছে। তাদের ত্যাগের কারণেই বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ, সুখী দেশের স্বপ্ন দেখছে প্রতিষ্ঠার পর থেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এর যদি সুরাহা করা না যায় তবে আরও বড় বিপদে পড়তে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আসুন, আমরা সবাই এক হয়ে কাজ করি। সমস্যা আছে এবং সমস্যার সমাধান হবে। ইতিমধ্যে অনেকগুলো চলে গেছে। আমি প্রফেসর ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যে, তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। আমার বিশ্বাসও আছে, তিনি সফল হবেন। আসুন, সবাই মিলে তাকে সাহায্য করে আমরা নিজেরা নিজেদের সাহায্য করি। তবে একটা কথা, গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই এবং গণতন্ত্রকে কখনো চাপিয়ে দেয়া যায় না-এটা চর্চা করতে হবে।
নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত
সে কথা ঠিক তাহলে জি সি পি ছাড়তে হবে আমাদের রাজনৈতিক দলদের এবং যারা ক্ষমতায় আছেন তাদেরকে সবাইকে একটু বুঝতে হবে আমাদের উন্নয়নে আমাদেরই করতে হবে সংস্কারের জন্য দেশটা বিপ্লব হয়েছে। তাই ধৈর্য ধরি পরিপূর্ণ একটা সংস্কারের প্রয়োজন আছে।
কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, ইতোপূর্বে আমরা লক্ষ্য করেছি পার্শবর্তী দেশ কি ভাবে আমাদের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে। তাই আপনার কথা বিশ্বাস করতে পারছি না। বিগত সৈরাচার সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে পার্শবর্তী দেশ, এটাকি আপনি অস্বিকার করতে চান ? আমাদের ভয়টা ঐখানে। আমাদের গনতন্ত্র ,শিক্ষা, সাংস্কৃতি,সাহিত্য, ইতিহাস সব কিছুর উপর তারা আঘাত করেছে। ধন্যবাদ।
To Manab Jamin authority. Why did you stop publishing reader's opinion it reflects and gives suggestions for various aspects of country that helps political parties government and also media to understand