বাংলারজমিন
মহেশখালীতে বৃদ্ধকে গুলি করে হত্যা
মহেশখালী সংবাদদাতা
১১ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবারকক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়াতে রাতের আঁধারে বাড়িতে ঢুকে আবুল হোসেন (৫৫) নামের এক বৃদ্ধকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডের দুই ঘন্টা পূর্বে কোস্ট গার্ডের প্রশ্নবিদ্ধ অভিযান পরিচালনা করেন। তবে অভিযানের বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন কোস্ট গার্ড কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ শাহ ঘোনা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
নিহতের পরিবারের অধিকাংশ সদস্যরা অভিযোগ করেছে, বুধবার (৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টার দিকে কোস্টগার্ডের অভিযানে তাদের বাড়িতে হানা দেয় এবং কোস্ট গার্ডের সাথে থাকা স'ানীয় প্রতিপক্ষের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গুলিতে আবুল হোসেন নিহত হন।
সূত্র জানায়, স'ানীয় হোসেন বহদ্দার গংদ্বয়ের সাথে পূর্ব থেকেই জমি জমার বিরোধ ছিল নিহত আবু গংদ্বয়ের। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মূলত এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। নিহত আবুল হোসেন (৫৫) কালারমারছড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ শাহ ঘোনা গ্রামের মৃত আলী হোসাইনের পুত্র এবং স'ানীয়ভাবে বিএনপির কর্মী হিসেবে পরিচিত।
হত্যাকাণ্ডে নিহত আবুল হোসেনের আপন ভাই মোহাম্মদ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, জায়গা সম্পত্তির বিরোধের জেরেই প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়িতে ঢুকে তার ভাই আবুল হোসেনকে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ অবস'ায় আবুল হোসেনকে বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে ভাই হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেন নিহতের ভাই মোহাম্মদ হোসেন।
কোষ্ট গার্ডের প্রশ্নবিদ্ধ ওই অভিযানের বিষয়ে নিহত আবুর বড় ছেলে মোহাম্মদ সুমন কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, “আমার বাবা একজন নিরীহ মানুষ ছিলেন এবং পেশায় তিনি একজন মাছ ব্যাবসায়ী, এই ব্যবসার মাধ্যমেই আমাদের সংসার চলতো। মধ্যরাতে কোস্ট গার্ড আকস্মিকভাবে আমাদের ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে আমাকে ও আমার ছোট ভাইকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে কিছু দূরে নিয়ে যায় এবং বেধড়ক মারধর করেন। ঠিক সেই মুহূর্তে পেছন থেকে অভিযুক্ত হোসেন বহাদ্দারের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা আমার পিতাকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।”
ঘটনার বিষয়ে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইছার হামিদদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রথমেই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন তিনি। তাছাড়াও তিনি বলেন, কালারমারছড়ায় একটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখতে থানা পুলিশের একাধিক টিম কাজ করে যাচ্ছে।
এবিষয়ে কোষ্ট গার্ড মহেশখালী জোনাল অফিসের কন্টিনজেন্ট কমান্ডারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ঘটনার বিষয়ে কিছু জানেন না উনি, তবে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে ঘটনার বিষয়টি উনার চোখে পরে। তাছাড়াও গত রাতে উনার একটা টিম মাতারবাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করে। বিস্তারিত তথ্য পেতে কোস্ট গার্ড সেন্ট্রাল মিডিয়া সেলের সাথে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেন প্রতিবেদককে।