বিশ্বজমিন
বিরোধপূর্ণ কূটনৈতিক মিশন স্বাভাবিক করতে আলোচনায় রাশিয়া-ওয়াশিংটন
মানবজমিন ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ১০ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮:৪২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:৪০ অপরাহ্ন

পারমাণবিক শক্তিধর রাশিয়া ও ওয়াশিংটনের বিরোধ বহু পুরনো। তার সঙ্গে সম্প্রতি উভয় দেশ একে অন্যের বিরুদ্ধে ভীতি প্রদর্শন এবং কূটনৈতিক প্রোপার্টি জব্দের অভিযোগ এনেছে। ফলে তাদের সেই সম্পর্কে আরও দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। অবশেষে এই সম্পর্ককে স্বাভাবিক করতে দুই দেশের প্রতিনিধিরা তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছেন বৃহস্পতিবার। বিশেষ করে শীতল যুদ্ধের পর ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে মস্কোর সঙ্গে পশ্চিমাদের সবচেয়ে বৃহৎ এবং গভীর সঙ্কট তৈরি হয়েছে। এতে কূটনৈতিক মিশনগুলোতে বড় রকমের প্রভাব পড়েছে। ফলে দুই দেশের প্রতিনিধিরা কূটনৈতিক মিশনের কর্মকাণ্ডকে স্বাভাবিকীকরণের জন্য ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসবেন। এতে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রাশিয়ার নতুন রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দার ডারচিভ এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সহকারী মন্ত্রী সোনাটা কোল্টার নেতৃত্ব দেবেন। তাদের আলোচনার মূলে থাকবে কূটনৈতিক সম্পর্ককে পুনঃস্থাপন। তবে এই আলোচনায় ইউক্রেনের বিষয় থাকবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস।
তিনি আরও বলেছেন, এই আলোচনায় একান্তভাবে আমাদের দূতাবাস পরিচালনার বিষয়ে কথা হবে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সার্বিকভাবে স্বাভাবিকীকরণ করা এর এজেন্ডায় নেই। তবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে তখনই যখন রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মস্কো এবং ওয়াশিংটন একে অন্যের ওপর দায় চাপিয়ে এসেছে। তারা বলেছে, তাদের কূটনীতিকদের প্রদেয় সুযোগসুবিধাকে জটিল করা হয়েছে। এর ফলে দূতাবাসের কর্মকাণ্ড পরিচালনা চরমভাবে কঠিন হয়ে পড়েছে। রাশিয়ার অভিযোগ পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা, বিধিনিষেধের কারণে কূটনীতিকদের পাওনা পরিশোধ করতে পারছে না তারা। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ রাশিয়ার ভিতরে মার্কিন কূটনীতিকদের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। উভয় পক্ষই ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ করেছে। ফলে আলোচনার ইস্যুর মধ্যে কূটনৈতিক প্রোপার্টির বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। উল্লেখ্য, রাশিয়ার ৬টি প্রোপার্টি বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে ওয়াশিংটনে। এর মধ্যে আছে লং আইল্যান্ডে কেলিনওয়ার্থ এস্টেট, মেরিল্যান্ডের পাইওনিয়ার পয়েন্টে ‘ডাচা’, সান ফ্রান্সিসকো এবং সিয়াটলে রাশিয়ান কন্সুলেট। ওয়াশিংটন ও নিউ ইয়র্কে বাণিজ্যিক মিশন।