বিশ্বজমিন
যে ছবি ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো পুরস্কার জিতলো
মানবজমিন ডেস্ক
(১ দিন আগে) ১৭ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৬:০৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:৫৬ অপরাহ্ন

২০২৫ সালে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অব দ্য ইয়ার-এর পুরস্কার পেয়েছে গাজায় একটি বালকের ছবি। ৯ বছর বয়সী মাহমুদ আজুরের ছবিটি নিউ ইয়র্ক টাইমসের জন্য তুলেছিলেন ফিলিস্তিনি ফটোসাংবাদিক সামার আবু ইলুফ। ২০২৪ সালে গাজা সিটিতে ভয়াবহ বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি। এতে মারাত্মক আহত হয় মাহমুদ আজুর। তাকে বাঁচাতে দুই হাতই কেটে ফেলতে হয় বাহুর গোড়া থেকে। দুই হাত কেটে ফেলে দেয়ার পর সে আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠছে। এ অবস্থায় তার ছবি ধারণ করেছেন আবু ইলুফ। মাহমুদ আজুরকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল কাতারের দোহায়। ওদিকে ২০২৩ সালের শেষের দিকে গাজা থেকে উদ্ধার করা হয় আবু ইলুফকে। মাহমুদ আজুরকে দোহায় চিকিৎসা দেয়ার সময় সেখানে একই এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে অবস্থান করছিলেন আবু ইলুফ। ওই সময় থেকে তিনি দোহায় যাওয়া আহত বেশ কিছু গাজার মানুষের জীবনধারাকে প্রামাণ্য আকারে ধারণ করেছেন। তার ক্যামেরায় বন্দি হয় মাহমুদ আজুর। এই ছবি সম্পর্কে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো’র প্রধান নির্বাহী পরিচালক জোমানা আল জেইন খোউরি বলেন- এটি একটি নীরব ছবি। কিন্তু সে কথা বলে জোরালোভাবে।
এই ছবি একটি বালকের কথা বলে। কিন্তু একই সঙ্গে একটি বিস্তৃত যুদ্ধের কথাও বলে, যে যুদ্ধ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে প্রভাবিত করে। এ বছর পুরস্কারের জন্য দু’জনকে রানার আপ হিসেবে নির্বাচন করা হয়। তারা হলেন গেটি ইমেজেসের জন মুর এবং প্যানোস পিকচার্সের জন্য মুসুক নোলতে। জন মুর নির্বাচিত হয়েছেন ‘নাইট ক্রসিং’ এবং মুসুক নোলতে নির্বাচিত হয়েছেন ‘ড্রটস ইন দ্য অ্যামাজন’ ছবির জন্য। ড্রটস ইন দ্য অ্যামাজন বা অ্যামাজনে খরা ছবিতে দেখা যায়- একটি বালক অ্যামাজনের ম্যানাকাপুরু গ্রামে তার মায়ের জন্য খাবার নিয়ে যাচ্ছে। এই ম্যানাকাপুরুতে একসময় বোটে করে পৌঁছা যেতো। কিন্তু এখন খরার কারণে তা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ওই বালকটি নদীর শুষ্ক বুক পেরিয়ে দুই কিলোমিটার হেঁটে যায়। এর মধ্য দিয়ে ওই অঞ্চলে পানির সঙ্কট কতটা গভীর তা প্রকাশ পায়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেইনফরেস্টের ওই অঞ্চলে খরা কি ভয়াবহ রূপ নিতে তা ফুটিয়ে তোলে ওই ছবি। এ বছর এ পুরস্কারের জন্য ১৪১টি দেশের ৩৭৭৮ জন ফটোসাংবাদিক ৫৯,৩২০টি ছবি জমা দিয়েছিলেন। তার মধ্য থেকে সেরা ছবি নির্বাচন করা হয়েছে।