বাংলারজমিন
নবীগঞ্জে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতার আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন
স্টাফ রিপোর্টার, নবীগঞ্জ থেকে
১০ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবারনবীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর জাহাঙ্গীর হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ধনাঢ্য আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান শিকদারের প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনায় তোলপাড় চলছে। দু‘নালা একটি বন্দুক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড দিয়ে নিজের শক্তির জানান দেন তিনি। এলাকায় তুচ্ছ ঘটনায় বন্দুকের ক্ষমতা দেখান। তার বন্দুকের লাইসেন্স নিয়েও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানায়, মিজানুর রহামন ওরফে ছোটন শিকদারের সহোদর ফরিদ শিকদারের প্রয়াত শ্বশুর উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাজন মিয়ার বন্দুক সুকৌশলে নিজের নামে লাইসেন্স করে নেয় মিজানুর। এ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অবৈধ উপায়ে কোনো রকম স্বাক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন ছোটন শিকদার বন্দুকের লাইসেন্স সম্পাদন করে। এরপর থেকেই সে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। বাপের পরিচয়ে ছেলে আদনান শিকদার ছাত্রলীগ ক্যাডার হিসেবে পরিচিত লাভ করে। কিশোর গ্যাংয়ের বেপরোয়া সদস্য হিসেবে পরিচিত। নিজ পুত্র ও সহোদর পুত্রের দাপটে সন্ত্রাসী হামলা ও গুপ্ত হত্যায় মেতে উঠে মিজানুর রহমান ওরপে ছোটন শিকদার। উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের কুর্শি গ্রামের মৃত ছনাওর শিকদারের পুত্র মিজানুর রহমান প্রকাশ ছোটন শিকদার এলাকায় সাধারণ একজন কৃষক হিসেবে চলাফেরা করতো। পারিবারিক বলয়ে ধনাঢ্য হলেও বাস্তব জীবনে সে একজন কৃষক।অদৃশ্য উপায়ে সে বন্দুকের মালিক। জমির চাষাবাদ নিয়ে বিরোধের জের হিসেবে একই গ্রামের দিনমজুর জাহাঙ্গীরকে কুপিয়ে তার একটি আঙ্গুল দিখণ্ডিত করে ছোটন শিকদার ও তার বাহিনী। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এমসি রিপোর্ট পর্যালোচনায় আদালত মামলা এফআইআর নির্দেশ দেন। ওই মামলার বিচার সম্পাদনের মুহূর্তে ২০২১ সালের ২০শে জুলাই উপজেলার বাউশা ইউনিয়নের গুইঙ্গিয়া জুড়ি হাওড়ের একটি ফিশারিতে খুন হন মামলার বাদী জাহাঙ্গীর।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ উদ্ধারকৃত জব্দ তালিকায় এক টুকরো গামছার অংশ, একটা রশির অংশ, কিছু রক্তমাখা মাটি,ঘটনাস্থলের বারান্দা সংলগ্ন ঘর হতে আরও কিছু রক্তমাখা মাটি উদ্ধার করে ।এনিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। পটপরির্বতনেও টনক নড়েনি ছোটন বাহিনীর। তার ক্ষমতার উৎস খতিয়ে দেখার দাবি জানান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।