বাংলারজমিন
পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে সরাসরি আলোচনা চান ট্রাম্প, ইরানের নাকচ
মানবজমিন ডেস্ক
৯ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক ইস্যুতে সরাসরি কথা বলতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। তবে এতে সায় দেয়নি তেহরান। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনা হবে বলে সাফ জানিয়েছে দিয়েছে মাসুদ পেজেশকিয়ানের প্রশাসন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওমানে মধ্যস্থতায় হবে ওয়াশিংটন-তেহরানের বৈঠক। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এতে বলা হয়, ভূ-রাজনৈতিকভাবে শত্রুভাবাপন্ন এ দুই দেশের যেকোনো চুক্তিতে পৌঁছানো সবসময়ই কঠিন। এই প্রেক্ষাপটে এবারের আলোচনা নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছে। এদিকে ট্রাম্প হুমকি দিয়ে রেখেছেন যে, ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা যদি ব্যর্থ হয় তাহলে তাদেরকে বড় বিপদে পড়তে হবে। যদিও এখনো পর্যন্ত নিজেদের অবস্থানে অটল তেহরান। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইরানকে বেশ কয়েকবার আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। তবে সরাসরি আলোচনার আহ্বান এবারই প্রথম। যুক্তরাষ্ট্রের সফররত ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি ইরানের প্রসঙ্গ তোলেন। ট্রাম্প বলেছেন, আমরা ইরানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু করছি। তারাও শুরু করছে। আলোচনাটি আগামী শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন বড় বৈঠক হওয়ার কথা আছে, আমরা দেখবো কী হয়। তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি সকলেই একমত হবেন যে, একটি চুক্তি করা জরুরি। তেহরানের সঙ্গে এবারের আলোচনাটি খুব উচ্চ পর্যায়ের হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে আলোচনাটি কোথায় হবে তা জানানো হয়নি। ওই আলোচনা যে পরমাণু ইস্যুতেই হবে ট্রাম্প তা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে ট্রাম্পের ওই বক্তব্যের জবাব দিয়েছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি তার এক্সের পোস্টে লিখেছেন, শনিবার অনুষ্ঠিতব্য উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকটি ওমানে হবে। এই বৈঠককে পরীক্ষা বলে উল্লেখ করেন আব্বাস। তিনি বলেছেন, বল এখনো আমেরিকার দখলে। মঙ্গলবার ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া বলেছে, বৈঠকের মধ্যস্থতা করবেন ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আল বুসাইদি। বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দূত স্টিভ উইটকফের নেতৃত্বে তেহরানের সঙ্গে আলোচনায় বসবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল। প্রসঙ্গত, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদকালে সর্বশেষ বৈঠক করেছিল এ দুই দেশ। যদিও সে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। এর আগে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ও দুই দেশের সরকারের মধ্যে বৈঠক হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হওয়া আগের চুক্তি থেকে ২০১৫ সালে বেরিয়ে আসেন ট্রাম্প।