বিশ্বজমিন
ফের তামাশা ট্রাম্পের, বললেন যুক্তরাষ্ট্র গাজার নিয়ন্ত্রণ নিলে তা ভালোই হবে
মানবজমিন ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ৮ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:৫৫ অপরাহ্ন

ফিলিস্তিনের গাজা নিয়ে ফের তামাশা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি বাহিনী গাজার নিয়ন্ত্রণ নিলে তা ভালোই হবে। পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন দেশে স্থানান্তরিত করা যেতে পারে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। হোয়াইট হাউসে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গাজার ভবিষ্যতের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘সাহসী দৃষ্টিভঙ্গি’ নিয়ে কথা বলেছেন নেতানিয়াহু। এর মাধ্যমে ট্রাম্পের গাজা দখলের বিষয়টি ইঙ্গিত করেছেন তিনি। এর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই একাধিকবার গাজা দখলের হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে তার ওই পরিকল্পনাকে জাতিগত নিধনের প্রস্তাব হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে গোটা বিশ্ব। সোমবার ওভাল অফিসে পুনরায় আগের সুর তুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি বাহিনী উপত্যকাটিতে নিয়ন্ত্রণ এবং মালিকানা নিলে তা একটা ভালো জিনিস হবে। আর ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন দেশে স্থানান্তরিত করা যেতে পারে।
এসময় সাংবাদিকরা ট্রাম্পের কাছে জানতে চান, গাজা যুদ্ধ বন্ধ করতে তিনি তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন কিনা। জবাবে ট্রাম্প বলেন, আমি যুদ্ধের অবসান দেখতে চাই। আমি মনে করি যুদ্ধ এক পর্যায়ে থামবে এবং এতে দেরি হবে না। ট্রাম্প সাংবাদিকদের সামনে জিম্মি মুক্তির বিষয়ে জোর দেন। তিনি বলেন, হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি চলমান রয়েছে। তবে সকল জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। নেতানিয়াহু সাংবাদিকদের সামনে জানুয়ারির যুদ্ধবিরতির সময় জিম্মি মুক্তির বিষয়টিকে নিজেদের সফলতা হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি জানিয়েছেন, আরেকটি সফল যুদ্ধবিরতির চুক্তির জন্য কাজ করছে ইসরাইল। নেতানিয়াহু বলেন, আমরা সকল জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। তবে গাজায় হামাসের ‘দুষ্ট অত্যাচারকেও’ নির্মূল করতে হবে। গাজার মানুষ স্বাধীনভাবে যেখানে খুশি সেখানে যেতে চলে যেতে পারে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে এক নজিরবিহীন হামলা চালায়। এতে ১২০০ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে আসছে ইসরাইল। সেসময় যুদ্ধের কৌশল হিসেবে ২৫১ জন ইসরাইলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। যাদের অনেককেই মুক্তি দেয়া হয়েছে। পক্ষান্তরে গাজায় প্রতিশোধমূলক বর্বরতা শুরু করে তেল আবিব। তারা যুদ্ধের আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে গাজার বেসামরিক মানুষের ওপর হামলা শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ইসরাইলের হামলায় এ পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।