ভারত
সুপ্রিম কোর্টে ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে একের পর এক আবেদন
বিলটিকে আইনে পরিণত করলো মোদি সরকার
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
(১ দিন আগে) ৬ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ১:১৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
বিতর্কিত ওয়াকফ বিলের সাংবিধানিক বৈধতার প্রশ্ন তুলে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একের পর এক আবেদন জমা পড়ছে। ইতিমধ্যেই চারটি আবেদন জমা পড়েছে। এরই মধ্যে মোদি সরকার অস্বাভাবিক তৎপরতার সঙ্গে সংসদে পাস হওয়া ওয়াকফ বিলটিকে আইনে পরিণত করেছে।
সংসদে লোকসভা ও রাজ্যসভায় ওয়াকফ বিল পাসের পর শনিবার রাতে তাতে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ফলে সংসদে পাস হওয়ার ৪৮ ঘন্টার মাথাতেই বিলটি আইনে পরিণত হয়েছে। নতুন আইনের নাম দেয়া হয়েছে ‘ঐক্যবদ্ধ ওয়াকফ ব্যবস্থাপনা, ক্ষমতায়ন, দক্ষতা ও উন্নয়ন’ আইন। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে গেজেটিয়ারে সংশোধনী আইনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। নতুন এই আইন অনুযায়ী, কোনও এলাকায় কোনও জমি ওয়াকফ কি না, সেই সম্পর্কিত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসক বা সমমর্যাদার কোনো কর্মকর্তা। আইন অনুযায়ী, বোর্ডে থাকতে পারবেন অমুসলিম প্রতিনিধিরাও। তাতে থাকবে কেন্দ্র ও রাজ্যসরকারের নিয়ন্ত্রণ।
ভারতের শাসক দল বিজেপি এই বিলের পক্ষে অনেক যুক্তি দেখালেও দেশটির মুসলিম সংগঠন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এই বিলের মাধ্যমে শাসক দলের ওয়াকফ সম্পত্তির উপর দখলদারি কায়েমের অশুভ চেষ্টা বলে অভিযোগ করেছেন।
আরও বলা হয়েছে, এই আইন সরাসরি মুসলিমদের অধিকার হরণ করেছে। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী বলেছেন,বিলটি সংবিধানের উপরই এক নির্লজ্জ আক্রমণ। ইতিমধ্যেই ওয়াকফ রক্ষায় মঞ্চ তৈরি করে আন্দোলন শুরু হয়েছে ভারতের বিভিন্ন শহরে।
এদিকে, কংগ্রেসের সাংসদ মোহাম্মদ জাভেদ, অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন দলের প্রধান আসাউদ্দিন ওয়াইসি, আম আদমি পার্টির প্রতিনিধি আমানাতুল্লা খান ও অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রটেকশন অব সিভিল লিবারটিস নামের একটি এনজিও সুপ্রিম কোর্টে আলাদা আলাদাভাবে আবেদন জানিয়েছেন। এই সব আবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াকফ বিলটি মুসলমানদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্বায়ত্তশাসন খর্ব করেছে। সেইসঙ্গে নির্বিচারে নির্বাহী হস্তক্ষেপকে শক্তিশালী করেছে। আবেদনকারীদের আরও অভিযোগ, মুসলিম সংখ্যালঘুদের তাদের ধর্মীয় ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অধিকারকে ক্ষুণ্ন করে এই বিল।