ঢাকা, ৭ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

ভারত

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল

নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা

(৪ দিন আগে) ৩ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৩:০২ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১:৪৪ পূর্বাহ্ন

mzamin

পশ্চিমবঙ্গে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিলে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে। এর ফলে ২০১৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) গ্রুপ-সি কর্মী, গ্রুপ-ডি কর্মী, নবম-দশমের শিক্ষক এবং একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগ মামলার পুরো প্যানেল বাতিল হয়ে গেল। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায়দানের সময় সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, আমরা যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখেছি। এই মামলায় কী কী তথ্য পাওয়া গেছে সেটা দেখেছি। পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া কারচুপি ও জালিয়াতির দ্বারা কলঙ্কিত হয়েছে। বিশ্বাসযোগ্যতা ও বৈধতা ক্ষুণ্ণ হয়েছে।  তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রত্রিয়া শুরুরও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। 

২০১৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ  স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই পরিস্থিতিতে ২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। তার ফলে বাতিল হয়ে যায় ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি। সেইসময় হাইকোর্ট জানিয়েছিল যে, চাল থেকে কাঁকর আলাদা করা যাচ্ছে না।

২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মোট শূন্যপদের সংখ্যা ছিল ২৪,৬৪০টি। পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২৩ লাখ প্রার্থী। আর ২৫,৭৫৩ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, যারা মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরে চাকরি পেয়েছেন এবং যারা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাদের সমস্ত বেতন এবং সুযোগ-সুবিধা ফিরিয়ে দিতে হবে। গুনতে হবে ১২ শতাংশ সুদ। সেজন্য চার সপ্তাহের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) এবং চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। ১২০ টির বেশি পিটিশন শুনেছে সুপ্রিম কোর্ট। ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর চূড়ান্ত শুনানি শুরু করে। ১৫ জানুয়ারি, ২৭ জানুয়ারি এবং ১০ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন পক্ষের সওয়াল শোনা হয়। আর ১০ ফেব্রুয়ারি রায়দান সংরক্ষিত রেখেছিল। বৃহস্পতিবার সেই রায় ঘোষিত হল।

ভারত থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

ভারত সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status