খেলা
হালান্দের ‘ক্ষুধা’ দেখে মেসিকে মনে পড়ছে গার্দিওলার
স্পোর্টস ডেস্ক
৯ আগস্ট ২০২২, মঙ্গলবারম্যানচেস্টার সিটির জার্সি গায়ে অভিষেকে জোড়া গোল পেলেন আর্লিং ব্রট হালান্দ। আর নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ডের নৈপুণ্য দেখে ম্যানচেস্টার সিটি কোচের মনে উঁকি দিচ্ছে লিওনেল মেসির ছবি।
এফসি বার্সেলোনায় সাফল্যে ভরা চার বছরে লিওনেল মেসিকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন পেপ গার্দিওলা। আর্জেন্টাইন তারকার গোলের ক্ষুধা আর সাফল্য পাওয়ার তীব্র তাড়নাও খুব ভালো ভাবে উপলব্ধি করেছেন তিনি।
ম্যাচ শেষে স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে দুই গোল করতে পারার ভালোলাগা প্রকাশ করার পাশাপাশি হ্যাটট্রিক পূরণ করতে না পারার অপ্রাপ্তির কথাও বলেন ২২ বছর বয়সী স্ট্রাইকার।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে গার্দিওলা বলেন, ‘এটা দারুণ, আমার ভালো লাগে। কোচ হিসেবে মেসির সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। সে যখন দুই গোল করতো, তখন তিনটি করতে চাইতো, আর যখন তিনটা করতো, তখন চাইতো চারটা। সেরা মানের গোলদাতারা কখনও সন্তুষ্ট হয় না। তারা সবসময় ক্ষুধার্ত থাকে এবং আরও চায়।’
২০১১ সালের আগস্টে সিটির জার্সি গায়ে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেকে জোড়া গোল করেন সার্জিও আগুয়েরো। আর্জেন্টাইন এই স্ট্রাইকার পরে নিজেকে নিয়ে যান ক্লাবটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্কোরারের উচ্চতায়। গত মৌসুমে অধিকাংশ ম্যাচেই সিটির দলে ছিল না কোনো প্রথাগত স্ট্রাইকার। ‘ফলস নাইন’ রেখে দল সাজাতেন কোচ।
হালান্দকে প্রিমিয়ার লীগ কিংবদন্তি অ্যালন শিয়েরার, থিয়েরি অঁরি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে তুলনা দিচ্ছেন ম্যান সিটি কোচ। গার্দিওলা বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে সে প্রিমিয়ার লীগে খাপ খাইয়ে নিতে পারছিল না। এখন থিয়েরি অঁরি, অ্যালন শিয়েরার এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে তার তুলনা হচ্ছে।’
গ্যালারিতে হালান্দের বাবার উল্লাস
ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ অভিষেক স্মরণীয় করে রাখলেন আর্লিং ব্রট হালান্দ। দলের দারুণ জয়ে করলেন জোড়া গোল। উপলক্ষটি আরও রঙিন করে তুললো গ্যালারিতে তার বাবা আলফি হালান্দের উপস্থিতি। আলফিও ছিলেন ফুটবলার, সিটির জার্সি গায়েই খেলেছেন তিন বছর। বাবাকে আনন্দ উপহার দিয়ে হালান্দ নিজেও ভাসেন উচ্ছ্বাসে। রোববার ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে জয় শেষে হালান্দ বলেন, ‘এটা দারুণ ব্যাপার যে তিনি দুটি গোলই দেখেছেন। আমার জন্য এটা অনেক বড় মুহূর্ত, প্রিমিয়ার লীগে অভিষেক বলে কথা! তবে সবশেষ গোলটি করার পর ৩০ মিনিট পেরিয়ে গেছে। আমাকে তাই চালিয়ে যেতে হবে।’ হালান্দের বাবা আলফি ইংলিশ ফুটবলে খেলেছেন প্রায় ১০ বছর। কখনও রক্ষণে, কখনও মাঝমাঠে খেলেছেন তিনি। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত নটিংহ্যাম ফরেস্টে খেলার পর তিন বছর খেলেছেন লিডস ইউনাইটেডে। সেসময়ই লিডসে জন্ম আর্লিংয়ের। ২০০০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত আলফি খেলেছেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। বাবার ক্লাবেই এখন ছেলের নতুন অভিযান। ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেওয়ার পর বাবার হাতে জার্সি তুলে দিয়েছিলেন আর্লিং। জার্মান ফুটবলে গোলের জোয়ার বইয়ে দেওয়া ফরোয়ার্ডের ম্যানচেস্টার সিটিতে শুরুটা যেভাবে হলো, তাতে দারুণ খুশি কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা। সিটির স্প্যানিয়ার্ড কোচ বলেন, ‘জন্ম থেকেই যে গোল করে আসছে, সে যে এখানেও অনেক গোল করবে, এটা নিয়ে কোনো সংশয়ই ছিল না আমাদের। আমরা যেভাবে খেলতে চাই, সেটির সঙ্গে সে দ্রুতই মানিয়ে নিচ্ছে। যত সময় গড়াবে, আমরা আরও বেশি করে তাকে খুঁজে নেবো এবং আশা করি তাকে গোলের অনেক সুযোগ করে দেবো।’