অনলাইন
প্রশান্ত মহাসাগরে ভেসে থাকার ৯৫ দিন পর উদ্ধার মৎসজীবী, বেঁচে ছিলেন কচ্ছপ-আরশোলা খেয়ে
মানবজমিন ডিজিটাল
(৪ সপ্তাহ আগে) ১৯ মার্চ ২০২৫, বুধবার, ৩:২৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:০০ পূর্বাহ্ন

টানা ৯৫ দিন প্রশান্ত মহাসাগরে ভেসে ছিলেন। খাবার জন্য ছিল আরশোলা, পাখি ও সামুদ্রিক কচ্ছপ। কিন্তু শেষ ১৫ দিন একেবারেই অনাহারে কেটেছে। যখন কিছুই ভাগ্যে জোটেনি। শেষমেশ পরিবারের কাছে ফিরে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন পেরুর বাসিন্দা ম্যাক্সিমো নাপা। ৬১ বছর বয়সী ম্যাক্সিমো নাপা ৭ ডিসেম্বর পেরুর দক্ষিণ উপকূলের মারকোনা শহর থেকে দুই সপ্তাহের জন্য মাছ ধরতে রওনা হন। কিন্তু যাত্রার দশম দিনে এক ঝড়ের কবলে তার নৌকা পথ হারিয়ে ফেলে। এর ফলে দ্রুত ফুরিয়ে আসা রসদ নিয়ে তিনি সমুদ্রে ভেসে থাকতে বাধ্য হন। বিশাল সমুদ্রে একা ভেসে থাকার সময় মনের ভিতরে কী চলছিল তা জানিয়েছেন নাপা। তিনি বলেন, শুধুমাত্র পরিবারের কথা ভেবে, বিশেষ করে আমার দু মাসের নাতনির মুখের দিকে তাকিয়ে আমি নিজেকে ঠিক রেখেছিলাম। তিনি আরও জানিয়েছেন, খাবার, পানি না পেলেও আমি সবসময় পরিবারের সদস্যদের কথা মনে করেছি। মায়ের কথা ভেবেছি। আমি ভাবতাম যেভাবেই হোক আমাকে বাঁচতেই হবে। আমি মরতে চাইনি। আমাকে দ্বিতীয় সুযোগ দেয়ার জন্য আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ।
সুবিশাল সাগরে কচ্ছপ, পাখি ও তেলাপোকা খেয়ে কোনোরকমে বেঁচেছিলেন এই মৎসজীবী। ইকুয়েডরের টহল জাহাজ ডন এফ উপকূল থেকে ১ হাজার ৯৪ কিলোমিটার (৬৮০ মাইল) দূরে গুরুতর অসুস্থ ও পানিশূন্য অবস্থায় তাকে খুঁজে পায়। ম্যাক্সিমো নাপার মা এলেনা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, পরিবারের অন্যরা আশাবাদী থাকলেও ছেলের খোঁজ না মেলায় তিনি আশা হারাতে বসেছিলেন। এলেনা টিভি পেরুকে বলেছেন, আমি ঈশ্বরকে বলেছিলাম, জীবিত হোক বা মৃত, আমার ছেলেকে আমার কাছে ফিরিয়ে আনুন, আমি শুধু তাকে দেখতে চাই। কিন্তু আমার মেয়েরা কখনো বিশ্বাস হারায়নি। তারা আমাকে বলতো, ‘মা, সে ঠিক ফিরে আসবে’। উদ্ধারের পর নাপাকে প্রথমে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাইতায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বিমানে করে পেরুর রাজধানী লিমায় পাঠানো হয়।
সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস