খেলা
কোন পজিশনে খেলবেন হামজা
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৯ মার্চ ২০২৫, বুধবার
হামজা চৌধুরী মূলত ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। তবে লেস্টার সিটির বয়সভিত্তিক দল, ইংল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দল, বার্টন, ওয়াটফোর্ড ও শেফিল্ড ইউনাইটেডে দলের প্রয়োজনে অন্য পজিশনেও খেলেছেন। এখন বাংলাদেশের জার্সিতে কোন পজিশনে খেলবেন হামজা, সেটাই দেখার অপেক্ষা। সাধারণত একজন ফুটবলারের মাঠের পজিশন ঠিক করে দেন তার কোচ। যদিও সংশ্লিষ্ট ফুটবলারের দক্ষতা ও তার মতামতকেও এ ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়া হয়। তেমনটা হলে বাংলাদেশের জার্সিতে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডেই হামজাকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ফুটবলের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ট্রান্সফার মার্কেটের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ১১৫ ম্যাচই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে খেলেছেন হামজা। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭২ ম্যাচে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে দেখা যায় তাকে। এ ছাড়া ১৮ ম্যাচে রাইট ব্যাক হিসেবে, ৪ ম্যাচে সেন্টার ব্যাকে, ২ ম্যাচে উইঙ্গার আর একটি ম্যাচ খেলেছেন লেফট ব্যাক পজিশনে। বর্তমানে বাংলাদেশ দলে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে খেলেন মোহাম্মদ হৃদয়। তার আগে এই পজিশনে নিয়মিত ছিলেন জামাল ভূঁইয়া। তবে পারফরমেন্সের কারণে জামাল এখন একাদশে নিয়মিত নয়। তাকে কোচ খেলালেও সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে খেলিয়ে থাকেন। হাভিয়ের কাবরেরা যদি হামজাকে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে খেলান, তাহলে হৃদয়ের জন্য বিকল্প জায়গা খুঁজতে হবে কোচ কাবরেরাকে। তবে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলাপ করে যতটুকু জানা গেছে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে মোহাম্মদ হৃদয়ের সঙ্গেই হামজাকে খেলাতে চান কাবরেরা। সেক্ষেত্রে হৃদয় পজিশন ধরে খেলবে আর হামজা উঠানামা করবে। আর সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে দেখা যাবে সিনিয়র সোহেল রানাকে। মূলত হামজা আর সোহেল রানাই হবেন কাবরেরার মূল চালিকা শক্তি। জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার বর্তমানে ফর্টিস এফসির ম্যানেজার রাশেদুল ইসলামও জানালেন তেমনটা। তিনি বলেন, ‘হামজা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। আমার মনে হয় কোচ তাকে তার পছন্দের জায়গাতেই খেলাবেন। সেক্ষেত্রে দুইজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার নিয়ে নামবে বাংলাদেশ। তবে একটা অনুশীলন সেশন দেখলে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যেতো।’ ২৫শে মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। যে ম্যাচ দিয়ে দেশের হয়ে অভিষেক হবে হামজার। তার আগে গতকাল রাতে সিলেট থেকে ঢাকায় ফেরেন শেফিল্ড ইউনাইটেডে খেলা এই তারকা। আজ ঢাকায় একটি মাত্র অনুশীলন সেশন পাবেন হামজা চৌধুরী। এরপর শিংলয়ে তিনটি। মোট চারটি সেশনই ভরসা শেফিল্ড ইউনাইটেডের এই ফুটবলারের। এতে কোনো সমস্যা দেখছেন না জানিয়ে রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘হামজা অনেক বড় মাপের ফুটবলার। হামজারা জানে কীভাবে দ্রুত দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। তাই আমার মনে হয় চার অনুশীলন সেশনেই হামজা ভালোভাবেই তপু- সোহেলদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে।’ এদিকে দুই সপ্তাহের বিশেষ ক্যাম্পে বাংলাদেশ দল সৌদি গিয়েছিল। পরিকল্পনায় ছিল তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার। বিশেষ করে সুদানের অপেক্ষায় ছিল বাংলাদেশ। সুদান অভ্যন্তরীণ কারণে খেলতে না পারায় সৌদির স্থানীয় দুই ক্লাবের বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা ছিল। শেষ পর্যন্ত একটি ম্যাচ খেলেই গতকাল দেশে ফিরেছে কাবরেরার শিষ্যরা। আজ কিংস অ্যারেনায় হামজাকে নিয়ে অনুশীলন শেষে ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করবেন বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। এরই মধ্যে সৌদি আরব থেকেই দেশে ফিরেছেন ফাহমিদুল ইসলাম। ইনজুরিতে ছিটকে পড়েছেন সুশান্ত ত্রিপুরা ও পাপন সিংহ। বাকি ২৭ জনের মধ্য থেকে ২৩ ফুটবলার নিয়ে আগামীকাল শিলংয়ের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ দল।
পাঠকের মতামত
হেতিরে নিয়ে যেরকম ফালাফালি হচ্ছে তারে সময় ভাগ করে নিয়ে গোলকিপার, ডিফেন্ডার, রাইটব্যাক, লেফটব্যাক, সেন্টার ব্যাক, ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার, মিডফিল্ডার, এটাকিং মিডফিল্ডার, লেফট উইং, রাইট উইং, ফরোয়ার্ড, স্ট্রাইকার পজিশনে ৮-১০ মিনিট করে খেলানো হোক। ভারত কনফিউজড হয়ে যাবে।