অনলাইন
আবরার হত্যা মামলা
২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ১৬ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ১২:১৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৪ পূর্বাহ্ন

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল রাখা হয়েছে।
রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডের ২০ আসামি
বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু (মেকানিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোসের্স, ১৬ ব্যাচ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং এসএম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)।
যাবজ্জীবনের ৫ আসামি
বুয়েট ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), সদস্য আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ)।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরারকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় তার বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র গঠন করা হয়। দুই পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।
তাদের মধ্যে তিনজন মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন। বাকি ২২ জনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুনতাসির আল জেমির কারাগার থেকে পালিয়েছেন।
গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত ৬ অগাস্ট তিনি গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যান ওই আসামি।
পাঠকের মতামত
Andalib নামের মন্তব্যকারীকে সাহেবকে বলছি, তাদের মেধা ছিল কিনা বলতে পারছি না। তবে এই ২০ জন মানুষ ছিলনা। মেধা আর মনুষ্যত্ব এক নয়। আপনি এটা জানেন না। আপনাকে আরো পড়ালেখা করতে হবে। প্রকৃত মেধা ছিল আবরারের। যে ফ্যাসিসটের সময়ে দেশের মানুষের জন্য, দেশের জন্য প্রতিবাদী status দিয়েছে। পরিণতি সম্পর্কে জেনেও এটি করেছে। আর তারা ২০ জন তথা সারা দেশের ছাএলিগ ছিল মেধা শূন্য। তারা খমতা ও অবৈধ ইনকামের পিছনে ছিল। যারা খমতার পিছনে নিজেদের লেলিয়ে দেয় তারা মেধাবী নয়, পিচাশ। Mr Andalib, educate yourself.
পাকিস্তান আমলে ছাত্রলীগ ছিল একটি সুস্থ সুন্দর ছাত্র সংগঠন। আওয়ামীলীগ ক্ষমতাসীন হলে এদের কর্মকাণ্ড হয়েছিল নিষ্ঠুর, নির্মম ও জঘন্য। খুন চাঁদাবাজি ও আওয়ামীলীগের তোষামোদ হয়ে যায় তাদের আদর্শ। ছাত্র সংগঠন টি তখন তাদের ঐতিহ্য ও গুরুত্ব চিরতরে হারিয়ে ফেলে। ঐ খুন তারই উদাহরণ ছিল। রায় থেকে সব ছাত্র সংগঠন এর শিক্ষা নেওয়া উচিত। চিরদিন সমান যায় না । পাপ করলে রেহাই মিলে না।
আলহামদুলিল্লাহ্। দ্রুত এদের সকলের ফাঁসি কার্যকর করা হোক। এই ফাঁসি দ্রুত কার্যকরের মাধ্যমে ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে বলে মনে করি।
Alhamdulillah! we want to see them hang on death. Pls execute it immediately their should not have any appeal only execute the death sentence of all the criminal. We want justice of Abrar Murder.
Hang BAL till to their death. Sus per call.
আবরার মেধাবী ছাত্র ছিল। যাদের মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে তারাও আবরারের মতোই মেধাবী। এরা সবাই ছাত্রলীগের নষ্ট রাজনীতির শিকার। এই নষ্ট রাজনীতি বন্ধ হোক। এমন মৃত্যু এবং মৃত্যুদন্ড কোনটাই কাম্য নয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুনতাসির আল জেমির কারাগার থেকে পালিয়েছেন!
রায় দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহ। এখন ২০ আসামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে বাকি আইনি প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার দাবী দেশবাসীর। সেই সাথে পলাতক ফাঁসির আসামী জেমির দ্রুত গ্রেপ্তার চাই আমরা। পরম করুণাময় আল্লাহ শহীদ আবরার ফাহাদকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন। আমিন।
Alhamdulillah.