ঢাকা, ২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

শপথগ্রহণে স্পষ্ট করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি

কানাডা কোনোদিন আমেরিকার অংশ হবে না

মানবজমিন ডিজিটাল

(১ মাস আগে) ১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ১:২৯ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:১২ পূর্বাহ্ন

mzamin

কানাডার নয়া প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে হুঙ্কার দিলেন মার্ক কার্নি। মসনদে বসে প্রথম দিনই সাফ জানিয়ে দিলেন, কানাডা কোনওদিন আমেরিকার অংশ হবে না। কানাডার ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেয়ার পরপরই ২০১৫ সাল থেকে অফিসে থাকা জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত কার্নি বলেছেন যে, ট্রাম্পের শুল্কের মোকাবিলা করা তার কাছে শীর্ষ অগ্রাধিকার। সেইসঙ্গে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, উভয় দেশের স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনি ওয়াশিংটনের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত। তবে কখনও, কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে না কানাডা। কর্মকর্তারা বলেছেন যে, তারা আগামী দিনে ট্রাম্প এবং কার্নির মধ্যে একটি সংলাপ আয়োজনের চেষ্টা করছেন। 

জানুয়ারিতে ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে অটোয়া আন্তঃসীমান্ত সম্পর্কের পতনের কারণে বিপর্যস্ত হয়েছে। দু দেশের মধ্যে শুরু হয়েছে বাণিজ্য যুদ্ধ। কানাডাকে ৫১তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার স্বাধীনতা আত্মসমর্পণের দাবি করেছেন। অটোয়া ট্রাম্পের শুল্কের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। কানাডিয়ান জনগণ ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন যখন ট্রাম্প কানাডাকে আমেরিকার সঙ্গে যুক্ত করার জিগির তোলেন। কার্নি ট্রাম্প প্রশাসনকে একটি প্রজন্মের মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন এবং কানাডিয়ান পণ্যের উপর মার্কিন শুল্ককে  অযৌক্তিক বলে দাবি করেছেন। 

ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত নেতা হিসেবে লিবারেল পার্টির ভোটে বিপুলভাবে জয়ী হওয়ার পর কার্নি প্রধানমন্ত্রী হন। তবে ৬০ বছর বয়সী এই সাবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংকার, একজন রাজনৈতিক নবাগত যিনি কখনও কোনো পাবলিক অফিসে নির্বাচিত হননি। কার্নির প্রচারাভিযানের দক্ষতা শীঘ্রই পরীক্ষার মুখ পড়তে পারে। সরকারি সূত্র এএফপি-কে বলেছে যে, কানাডা শীঘ্রই একটি সাধারণ নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্মোচনের সাথে সাথে বিদেশে কানাডার জোটকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কার্নি পরের সপ্তাহে প্যারিস এবং লন্ডনে রওনা দেবেন। ওই আলোচনায় বাণিজ্য ও নিরাপত্তা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান উরসুলা ভন ডের লেয়েন- যিনি বলেছিলেন কানাডা-ইইউ সম্পর্ক এখন ‘আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ’ কার্নিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাশাপাশি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কার্নিকে। 

কার্নি ২০০৮-০৯ সালে আর্থিক সঙ্কটের সময় ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর হিসাবে কাজ করার আগে গোল্ডম্যান শ্যাক্সের একজন বিনিয়োগ ব্যাংকার ছিলেন। ব্রেক্সিট ভোটকে ঘিরে অশান্তির সময় ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘একসময় কানাডার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল আমেরিকা। কিন্তু এখন  আর কানাডা তাকে বিশ্বাস করতে পারে না।’

সূত্র : এনডিটিভি

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status