খেলা
হুমকি পেতেন বরুণ, থাকতে হতো লুকিয়ে
স্পোর্টস ডেস্ক
(১ মাস আগে) ১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ১:০৩ অপরাহ্ন

এক যুগ পর আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ঘরে তুলেছে ভারত। অসাধারণ বোলিংয়ে এই মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বরুণ চক্রবর্তী। তবে সাফল্যের পথে ডিঙিয়েছেন নানা বাধা-বিপত্তি। হুমকিও কম পান নি এই ভারতীয় মিস্ট্রি স্পিনার। এমনই এক বৈশ্বিক আসরের পর পার করতে হয়েছে চরম খারাপ সময়। এবার সেসব নিয়ে কথা বলেছেন বরুণ।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) টানা দুই বছর দুর্দান্ত পারফর্মেন্সে ভারতের জাতীয় দলে জায়গা করে নেন বরুণ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেকে তিন ম্যাচে তুলে নেন দুই উইকেট। সাফল্য কাজে লাগিয়ে জায়গা পেয়ে যান ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলেও। এখান থেকেই আসলে বিপত্তি শুরু। বিরাট কোহলির অধীনে সেবার ভালো করতে পারেনি ভারতীয় দল। সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমানে অনুষ্ঠিত হওয়া টুর্নামেন্টটিতে পাঁচ ম্যাচের দু’টিতে হেরে সুপার টুয়েলভ পর্ব থেকে বিদায় নেয় ভারত। সেবার তিন ম্যাচে হাত ঘুরানোর সুযোগ পেলেও কাজের কাজটা করতে পারেননি বরুণ। পাননি কোনো উইকেট। শুক্রবার এক ইউটিউব চ্যানেলে সেই সময়ের বিষণ্ণতার গল্প শোনান ডানহাতি এই স্পিনার। বরুণ বলেন, ‘ওটা আমার জন্য খুব কঠিন সময় ছিল। অবসাদে ভুগছিলাম, কারণ আমার মনে হয় যে অনেক আলোড়ন তুলে বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়ে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারিনি। একটি উইকেটও না পাওয়ায় অনুতপ্ত ছিলাম আমি। এরপর তিন বছর আমাকে দলে ডাকা হয়নি। তাই আমি মনে করি দলে ফেরাটা অভিষেকের পথচলার চেয়েও কঠিন ছিল।’
বিশ্বকাপের পর হুমকি পেতেন জানিয়ে তিনি বলেন, “২০২১ বিশ্বকাপের পর আমি ফোনে হুমকি পাই। লোকেরা বলছিল, ‘ভারতে এসো না। যদি চেষ্টা করো, তুমি পারবে না।’ লোকেরা আমার বাড়ির কাছে এসে আমাকে খুঁজে বের করত এবং কখনও কখনও আমাকে লুকিয়ে থাকতে হতো। আমি যখন বিমানবন্দর থেকে ফিরছিলাম, কিছু লোক তাদের বাইকে করে আমার পিছনে আসছিল। এমনটা হয়। আমি বুঝি যে ভক্তরা আবেগতাড়িত থাকে।” তবে এরপরই শুরু হয় বরুণের দিন বদলের পালা। গত আইপিএলে অসাধারণ বোলিংয়ে ২১ উইকেট নিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের শিরোপা জয়ে রাখেন বড় অবদান। ফাইনালে ২ ওভারে স্রেফ ৯ রান দিয়ে তুলে নেন একটি উইকেট। জাতীয় দলে ফিরে শেষ ১২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তুলে নেন ৩১ উইকেট। দু’বার নিয়েছেন ফাইফার। ২০২১ বিশ্বকাপের পর কীভাবে নিজেকে বদলে ফেললেন, সেসব নিয়েও কথা বলেন ৩৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। বলেন, ‘(বিশ্বকাপের পর) আমার অনেক কিছু পরিবর্তন করতে হয়। দৈনন্দিন রুটিন, অনুশীলন পরিবর্তন করতে হয়। আমি আগে এক সেশনে ৫০ বল করতাম। সেটি দ্বিগুণ করি। জানতাম না যে নির্বাচকেরা আমাকে আদৌ দলে ডাকবেন কি না। সময়টা খুব কঠিন ছিল। এরপর আইপিএল জিতলাম ও জাতীয় দলে ডাক পেলাম। তখন খুব খুশি হই।’