ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

বড় সংস্কার হলে নির্বাচন আগামী বছরের জুনে

অনলাইন ডেস্ক

(১ মাস আগে) ১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৮:২৫ অপরাহ্ন

mzamin

প্রথম আলো

দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘বড় সংস্কার হলে নির্বাচন আগামী বছরের জুনে’। খবরে বলা হয়, চলতি বছরের ডিসেম্বরে কিংবা আগামী বছরের জুনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি ‘সংক্ষিপ্ত সংস্কার প্যাকেজ’ নিয়ে একমত হয়, তবে নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে পারে। তবে তারা যদি ‘বৃহৎ সংস্কার প্যাকেজ’ গ্রহণ করে, তাহলে নির্বাচন আগামী বছরের জুনে অনুষ্ঠিত হবে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গতকাল শুক্রবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে এ কথা বলেন। বৈঠকে বাংলাদেশে সংস্কার উদ্যোগের প্রতি জাতিসংঘের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন গুতেরেস। তিনি বিশ্বে ‘সবচেয়ে বৈষম্যের শিকার জনগোষ্ঠী’ রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। গুতেরেস চার দিনের সফরে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে এসেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে সংস্কারপ্রক্রিয়া সম্পর্কে জাতিসংঘের মহাসচিবকে অবহিত করেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের বিষয়ে ইতিমধ্যে প্রায় ১০টি রাজনৈতিক দল তাদের মতামত জমা দিয়েছে। তিনি বলেন, দলগুলো ছয়টি কমিশনের সুপারিশগুলোর সঙ্গে একবার একমত হলে তারা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে; যা দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পাশাপাশি রাজনৈতিক, বিচারিক, নির্বাচনসংক্রান্ত, প্রশাসনিক, দুর্নীতি দমন এবং পুলিশ সংস্কারের একটি রূপরেখা হবে।

প্রধান উপদেষ্টা ‘সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন’ নিশ্চিত করার ব্যাপারে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে নেওয়া সংস্কার কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি অধ্যাপক ইউনূসকে বলেন, ‘আমি সংস্কার কর্মসূচির প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করতে চাই। আমরা আপনাদের সংস্কার প্রচেষ্টাকে সমর্থন দিতে এখানে এসেছি। আমরা আপনাদের সর্বোত্তম সফলতা কামনা করি। যেকোনো সহযোগিতা লাগলে আমাদের জানান।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এই সংস্কারপ্রক্রিয়া একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং দেশের একটি ‘বাস্তব রূপান্তর’ নিশ্চিত করবে। তিনি বলেন, ‘আমি জানি যে সংস্কারপ্রক্রিয়াটি জটিল হতে পারে।’

রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে গুতেরেস বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে তিনি রমজান মাসে বাংলাদেশে এসেছেন।

কক্সবাজারের শরণার্থীশিবিরে বসবাসরত ১২ লাখ রোহিঙ্গার জন্য মানবিক সহায়তা হ্রাস নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘পৃথিবীতে এতটা বৈষম্যের শিকার অন্য কোনো জনগোষ্ঠী আমি দেখিনি।’ তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ভুলতে বসেছে।

যুগান্তর

‘অনুসন্ধানে অনীহা দুদকের’-এটি যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের সাত মাস চলে গেলেও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাজে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। সবকিছু চলছে পুরোনো ধারায়। একদিকে পতিত সরকারের দোসরদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে অনুসন্ধান ও মামলা করা হলেও দায়ের হচ্ছে গৎবাঁধা এজাহার। যা আইনের দৃষ্টিতে খুবই দুর্বল। ফলে আদালতে প্রমাণ করে আসামিদের শাস্তি নিশ্চিত করা কঠিন হবে।

অন্যদিকে একটি বিশেষ ক্যাডারের সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তফশিলভুক্ত অপরাধের অভিযোগ পেয়েও তা অনুসন্ধানে অনীহা দেখাচ্ছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে অভিযোগ যাচাই-বাছাই কমিটির (যাবাক) ভূমিকা মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। দুদক আইন ও বিধিভঙ্গ করে তফশিলভুক্ত অপরাধ অনুসন্ধান না করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে পাঠানো হচ্ছে ব্যবস্থা নিতে। একাধিক সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন-একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে (ডিসি) অনুরোধ করা হয়েছে। এমনকি ডিসি অফিসের কর্মচারীর দুর্নীতির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতেও ডিসিকেই অনুরোধ করেছে দুদক। আবার অনেক ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক কিংবা বিভিন্ন দপ্তর-অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হচ্ছে। এসব ঘটনা দেখে সংশ্লিষ্টদের মন্তব্য-‘শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দিচ্ছে দুদক।’

কালের কণ্ঠ

দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘আমরা গভীর সংকটের দ্বারপ্রান্তে’। প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিশ্ব একটি গভীর সংকটের দ্বারপ্রান্তে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আমি আজ অনেকের সঙ্গে দেখা করেছি, কথা বলেছি এবং তাদের সাহস দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছি। তাদের দৃঢ়সংকল্প দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছি। আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘অনেকেই মায়ানমারে তাদের নির্যাতন এবং এখানে তাদের আসার মর্মান্তিক বিবরণ শুনিয়েছে।’

আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘তারা বাড়ি ফিরে যেতে চায়। মায়ানমার তাদের মাতৃভূমি। নিরাপদে, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদাপূর্ণভাবে ফিরে যাওয়াই এই সংকটের প্রাথমিক সমাধান।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখে মায়ানমারের সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘মায়ানমারের সব পক্ষের প্রতি আমার বার্তা স্পষ্ট। সর্বোচ্চ সংযম অনুশীলন করুন। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুসারে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিন এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও সহিংসতার আরো উসকানি রোধ করুন—গণতন্ত্রের শিকড় গজানোর পথ প্রশস্ত করুন।

সমকাল

‘ভারতের ঋণে দুই সড়ক, বাংলাদেশের লাভ নিয়ে প্রশ্ন’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, ভারতীয় ঋণে (এলওসি) আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল, কসবা, ধরখার হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেনের মহাসড়ক নির্মাণ চলছে। ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এ রাস্তা ভারতের ত্রিপুরার আগরতলাকে আশুগঞ্জ নৌবন্দরের সঙ্গে যুক্ত করবে।

এ ছাড়া ৭ হাজার ১৮৮ কোটি টাকায় কুমিল্লার ময়নামতি থেকে ধরখার সড়কও চার লেনে উন্নীত করা হবে ভারতীয় ঋণে। এতে চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস করা পণ্য ত্রিপুরা ও আসামে পরিবহন সহজ হবে। ১২ হাজার ৯৭৯ কোটি টাকার এই দুই সড়কে ভারতের ফায়দা হলেও, বাংলাদেশের কী লাভ, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) কর্মকর্তারা বলেছেন, মহাসড়ক দুটি চার লেনে উন্নীত হলে আগরতলার বাণিজ্য বাড়বে। সিলেট ও চট্টগ্রামের যোগাযোগ সহজ হবে। বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশই লাভবান হবে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির সমকালকে বলেন, কেন এই মহাসড়ক প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছিল, বাংলাদেশের আদৌ লাভ আছে কিনা, খতিয়ে দেখা হবে। ময়নামতি-ধরখার মহাসড়ক প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা হবে। বাংলাদেশের স্বার্থের অনুকূলে না হলে সরকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে না।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরে ২০১৫ সালে নৌ-ট্রানজিট চুক্তি সই হয়। এতে আশুগঞ্জ নৌবন্দর ব্যবহারের সুবিধা পায় ভারত। ২০১৬ সালের জুনে শুরু হয় পণ্য পরিবহন। কলকাতা থেকে নদীপথে আনা ভারতীয় পণ্য প্রথমে আশুগঞ্জ বন্দরে খালাস করা হয়। এর পর সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কসবা, ধরখার সড়ক হয়ে আগারতলায় নেওয়া হয়।

এ চুক্তির মাধ্যমে স্থলভূমি বেষ্টিত উত্তর-পূর্ব ভারতে পণ্য পরিবহন সুবিধা পেয়েছে ভারত। এতে কলকাতা-আগরতলার দূরত্ব কমেছে প্রায় ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার। পণ্য পরিবহন সহজ করতে ২০১৭ সালের এপ্রিলে আশুগঞ্জ থেকে সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কসবা, ধরখার হয়ে আখাউড়া পর্যন্ত ধীরগতির যান চলাচলে দু’পাশে সার্ভিস এবং চার লেনের মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করে তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকার। মোট ছয় লেনের মহাসড়কটি ৩ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকায় ২০২০ সালের জুনের মধ্যে নির্মাণ সম্পন্নের পরিকল্পনা ছিল।

ইত্তেফাক

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম ‘সামাজিক অপরাধ বেড়ে চলেছে’। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সামাজিক অপরাধ। অনৈতিক সম্পর্ক, মাদকাসক্তি, পারিবারিক কলহের জের, জমি নিয়ে বিরোধ এবং নৈতিক অবক্ষয় থেকে সামাজিক অপরাধ ঘটছে। সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, এর মূল কারণ—আইনের সঠিক প্রয়োগ না থাকা। আইন প্রয়োগের জায়গাটি অনেক দুর্বল। এই মুহূর্তে নীতিনৈতিকতা, আদর্শ ও মূল্যবোধের যে চরম অবক্ষয় ঘটেছে, সেটা রোধ করতে আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কঠোর হতে হবে। আর সামাজিক অন্যান্য আয়োজন বা ব্যবস্থাগুলোকে ঢেলে সাজাতে হবে। এছাড়া এই অবস্থা থেকে উত্তরণ পেতে হলে আইনের ওপর শতভাগ নির্ভর করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। সামাজিক অপরাধ কেন বেড়ে গেছে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. মো. তৌহিদুল হক এসব কথা বলেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন বাড়ছে

সারা দেশে ঘটে যাওয়া সামাজিক অপরাধগুলোর পরিসংখ্যান পুলিশ সদর দপ্তরের অপরাধের ডাটাবেজ অনুযায়ী বলা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে সারা দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ২ হাজার ৮৭০টি। এদের মধ্যে জানুয়ারি মাসে ১ হাজার ৪৪০টি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ঘটেছে ১ হাজার ৪৩০টি। চলতি মার্চ মাসে সারা দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে গেছে। সারা দেশে নারী বিশেষ করে শিশু ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৮৫টি। এর মধ্যে ধর্ষণের পর চার জনকে হত্যা করা হয়েছে। এক জন ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর আত্মহত্যা করেছে। ফেব্রুয়ারিতে ধর্ষণের শিকার ৫৭ জনের মধ্যে ১৬ জন শিশু, ১৭ জন কিশোরী রয়েছে। অন্যদিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে তিন জন কিশোরী ও ১৪ জন নারী, ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন দুই জন নারী। এ ছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা ১৯টি, যৌন হয়রানি ২৬টি, শারীরিক নির্যাতনের ৩৬টি ঘটনা ঘটেছে এই মাসে।

নয়া দিগন্ত

দৈনিক নয়া দিগন্তের সঙ্গে ড্যানিলোভিচের সাক্ষাৎকার নিয়ে পত্রিকাটির প্রথম পাতার খবর ‘দলগুলোর ঐকমত্যের ক্ষেত্রগুলোয় সরকারের অগ্রসর হওয়া উচিত’। খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা রাইট টু ফ্রিডমের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক মার্কিন কূটনীতিক জন এফ ড্যানিলোভিচ বলেছেন, এই মুহূর্তে অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য হওয়া উচিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোথায় কোথায় ঐকমত্য রয়েছে, তা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। কিছু কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য থাকতে পারে, যা কেবলমাত্র নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে এই রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছিল। এখন পরিবর্তন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য তাদের মৌলিক নীতির ব্যাপারে একমত হতে হবে, যা পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এই মুহূর্তে যতটুকু অর্জন করা যায় সেটা নিয়ে অগ্রসর হয়ে সংস্কারের বাকিটুকু ভোটারদের রায়ে নির্বাচিত সরকারের ওপর ছেড়ে দেয়া যায়। এটা সামনে এগিয়ে যাওয়ার একটি যৌক্তিক পথ হতে পারে।

দুই সপ্তাহের বাংলাদেশ সফর শেষে গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে নয়া দিগন্তকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ড্যানিলোভিচ এসব কথা বলেন। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ, সংবিধানসহ অন্যান্য সংস্কার, শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচারসম্পন্ন এবং দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা প্রভৃতি ইস্যুতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য বাড়ছে। অথচ এসব দল আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে একসাথে লড়াই করেছে। বর্তমান পরিস্থিতি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?

বণিক বার্তা

‘কর্মস্থলে উপস্থিত থাকে না সরকারি স্বাস্থ্যসেবার ৪০-৫০% কর্মী’-এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, সারা দেশের সরকারি স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত কর্মীদের বিভাগভিত্তিক দৈনিক উপস্থিতি বা হাজিরার হার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ড্যাশবোর্ডে নিয়মিতভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে। এ পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দেশে সরকারি স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত কর্মীদের গড়ে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ প্রতিদিনই কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকছে।

সাপ্তাহিক কর্মদিবসের শেষদিন গত বৃহস্পতিবারের (১৩ মার্চ) তথ্য অনুযায়ী, এদিন সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের কর্মী সবচেয়ে বেশি উপস্থিত ছিল সিলেট বিভাগে। সেদিন কর্মস্থলে উপস্থিত ছিল বিভাগটির ৬১ দশমিক ৭৪ শতাংশ কর্মী। সবচেয়ে কম ছিল রংপুরে। বিভাগটির ৪৭ দশমিক ১৬ শতাংশ কর্মী সেদিন কর্মস্থলে হাজিরা দিয়েছে। এছাড়া বরিশালে ৫৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৫৭ দশমিক ৫৪, ঢাকায় ৫১ দশমিক ৭৪, খুলনায় ৫৯ দশমিক ৪১, ময়মনসিংহে ৫৮ দশমিক ৭৬ ও রাজশাহীতে ৪৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ কর্মী উপস্থিত ছিল। ওইদিন সারা দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট ৯২ হাজার ৫৫৩ স্বাস্থ্যকর্মীর তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে অনুপস্থিত ছিল ৪১ হাজার ৭২৪ জন বা ৪৫ শতাংশের কিছু বেশি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের স্বাস্থ্য খাত এমনিতেই কর্মী সংকটে ভুগছে। এর মধ্যে হাসপাতালগুলোয় প্রায় অর্ধেক কর্মীই থাকে অনুপস্থিত। দেশের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোয় চিকিৎসক, নার্স এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনুপস্থিতির সমস্যা কাটাতে সরকার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু এগুলোর কোনোটিই সেভাবে কাজে আসেনি। সর্বশেষ শতভাগ হাজিরা নিশ্চিত করতে বেশির ভাগ হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোয় বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা চালু করা হয়।

আজকের পত্রিকা

দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘সংস্কারে জাতিসংঘের সমর্থন’। খবরে বলা হয়, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের শুরু করা সংস্কারপ্রক্রিয়ার প্রতি সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। গতকাল শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে গুতেরেস বলেন, ‘আমি আমাদের সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতি জানাতে চাই। আমরা এখানে আপনাদের সংস্কারকে সমর্থন করতে এসেছি। আমরা আপনাদের সর্বোচ্চ মঙ্গল কামনা করি। আমরা যা করতে পারি, জানাবেন।’

সংস্কারের প্রক্রিয়া জটিল হতে পারে, এমনটি উল্লেখ করে জাতিসংঘের মহাসচিব আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সংস্কারগুলো একটি মুক্ত ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং দেশের ‘বাস্তব রূপান্তর’ নিশ্চিত করবে।

অন্যদিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের প্রধানকে জানান, রাজনৈতিক দলগুলো কম সংস্কার চাইলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর বেশি সংস্কার চাইলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

চার দিনের সফরে গুতেরেস গত বৃহস্পতিবার ঢাকা পৌঁছান। গতকাল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে কী কথা হয়েছে, তা প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

দেশ রূপান্তর

‘অবিশ্বাস অনাস্থায় দূরত্ব বাড়ছে দলগুলোতে’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, সংস্কার, গণপরিষদ নির্বাচন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ নানান ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে। দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপি এবং এর মিত্র দল ও জোটগুলোর বেশির ভাগই প্রয়োজনীয় সংস্কার সেরে দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে।

আর ছাত্র সমন্বয়কদের সদ্য গড়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের পক্ষে। সঙ্গে জুলাই সনদ ও গণপরিষদ নির্বাচনও দাবি তাদের। আবার দেশের রাজনৈতিক মাঠে আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে নিজেদের ঘাঁটি পোক্ত করতে মরিয়া জামায়াতে ইসলামী। দলটিকে আবার বিএনপি ও এর জোটের বেশ কিছু সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

নির্বাচনের আগে সংস্কারের গুরুত্ব বিষয়ে জামায়াতের সঙ্গে প্রথম দৃশ্যমান মতবিরোধ দেখা দেয় বিএনপির। অন্যদিকে অন্য ইসলামী দলগুলোরও বিএনপি, জামায়াত, এনসিপির সঙ্গে বৈঠক চলমান। ইসলামী দলগুলো নিজেরাও মোর্চা তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু জোট গঠনের সিদ্ধান্তে বা মোর্চা তৈরিতে এগুতে পারেনি রাজনৈতিক নানা ইস্যুতে মতপার্থক্যের কারণে। ছাত্রদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টিকে স্বাগত জানালেও এর গঠন নিয়ে আপত্তি ও পরে নানা উদ্যোগ আপত্তি রয়েছে বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলোর। এই অবস্থায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সংস্কার, নির্বাচন ও ঐক্য-এই তিন বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে এক কাতারে এনে জাতীয় সমঝোতা প্রতিষ্ঠাই হবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ।

ডেইলি স্টার

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম ‘A systematic cover up of bodies’ অর্থাৎ ‘কৌশলে মরদেহ লুকানোর চেষ্টা’।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে জুলাই আন্দোলনের পরবর্তী সাত মাসেও বহু বিক্ষোভকারী নিখোঁজ রয়েছেন। এ নিয়ে ৩১টি ঘটনার তদন্ত করছে দ্য ডেইলি স্টার, যার মধ্যে ছয়টি দাফন করা হয়েছে রায়ারবাজার কবরস্থানে, চারটি মৃতদেহ আশুলিয়ার পোড়া লাশ থেকে চিহ্নিত হয়েছে, দুটি ডিএনএ পরীক্ষা করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং ১৯টি এখনো নিখোঁজ।

সরকার বিশেষভাবে মৃতদেহগুলো আড়াল করতে চেষ্টা করছে, যাতে এগুলো আর খুঁজে পাওয়া না যায় অনুসন্ধানের এমনটিই জানা গেছে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।

হাসপাতাল মর্গে নিহতদের দেহ নিতে পরিবারের সদস্যদের সময় দেয়া হয়নি এবং তারা এখনো মৃতদেহের জন্য অপেক্ষা করছেন। এছাড়া ৫ই অগাস্ট গাজীপুরে প্রতিবাদকারীরা পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ২০ বছরের ছাত্র হৃদয়কে গুলি করে পুলিশ নিয়ে যায়, কিন্তু পরে তার মৃতদেহ কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেটা কেউ জানে না।

পাঠকের মতামত

মাননীয় ড. ইউনূস, দ্রুত নির্বাচন দিন। নির্বাচিতদের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব হস্তান্তর করে দেশের বর্তমান অনিশ্চিত গন্তব্যের ইতি টানুন। কারন, > দেশ চালানো আপনাদের কাম না। > সংস্কার? ধান্ধাবাজী! আট মাসেও ঠিক করে বলতে পারছেন না 'কিসের সংস্কার করবেন '

সিরু
১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন

জনগণ বড় সংস্কারই চায়।

Md. Jahirul Islam
১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status