খেলা
নাটকীয় টাইব্রেকার শেষে কোয়ার্টারে রিয়াল
স্পোর্টস ডেস্ক
(১ মাস আগে) ১৩ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১১:১৩ পূর্বাহ্ন

চ্যাম্পিয়নস লীগে আরও একবার খালি হাতে ফিরতে হলো অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে। শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে প্রথম মিনিটে গোল করেও শেষ রক্ষা হয়নি। ওদিকে পেনাল্টি মিস করলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। বুধবার দুই লেগ মিলিয়ে খেলা গড়াল টাইব্রেকারে। সেখানেও নাটকীয়তা। হুলিয়ান আলভারেজের গোল বাতিলের পর ৪-২ গোলে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে রিয়াল মাদ্রিদ।
দুই নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী যতবার চ্যাম্পিয়নস লীগে মুখোমুখি হয়েছে, ততবার কিছু একটা হয়েছেই। তবে এবারের সেই ‘কিছু একটা’ একটু বড়ই হয়েছে। কেননা এর উত্তাপ ছড়িয়েছে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনেও। রিয়াদ এয়ার মেট্রোপলিটানোতে শুরুর ২৭ সেকেন্ডেই দারুণ এক গোল করেন কনর গ্যালাঘার। মাঠের ডান প্রান্ত থেকে বক্সের ভেতর নিচু ক্রস পাঠান রদ্রিগো ডি পল। দলকে বিপদমুক্ত করার সুযোগ নষ্ট করেন রাউল আসেন্সিও। ছোট্ট ট্যাপ ইনে বল জালে জড়ান গ্যালাঘার। এরপর বিরতির আগে পর্যন্ত ঘরের মাঠে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে স্বাগতিকরা। এ সময়ের মধ্যে অ্যাটলেটিকোর গোলের দিকে মাত্র তিনটি শট নেয়া রিয়াল বিরতির পরও নিজেদের খুঁজে ফেরে। সফরকারীরা সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খায় ৬৮তম মিনিটে। চোট শঙ্কা কাটিয়ে শুরুর একাদশে নামা কিলিয়ান এমবাপ্পে বক্সের ভেতর ফাউলের শিকার হন।
রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে এগিয়ে যান ভিনিসিয়ুস। চ্যাম্পিয়নস লীগ মানেই ভিনির অতিমানবীয় হয়ে ওঠা। তবে এদিন পুরোটাই হতাশায় ডোবালেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। তার শট গোলপোস্টের বাইরে উড়ে গিয়ে পড়ল গ্যালারিতে। অল হোয়াইটদের হয়ে স্পটকিক থেকে এবারই প্রথম জাল খুঁজে নিতে ব্যর্থ এই ২৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে আগের ৭ বারই গোল করেছেন তিনি। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন তখনও ২-২। নির্ধারিত সময়ের বাঁশি বাজা পর্যন্ত আর কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি। সফরকারীদের সবগুলো আক্রমণ মিলিয়ে যাচ্ছিল অ্যাটলেটির গোলের কাছে গিয়ে। এরপর অতিরিক্ত সময়েও খেলায় সমতা থাকলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। রিয়ালের হয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এমবাপ্পে, জুড বেলিংহ্যাম, ফেদেরিকো ভালভার্দে ও অ্যান্টনিও রুডিগার। মিস করেন অভিজ্ঞ পেনাল্টি টেকার লুকাস ভাসকেজ। স্বাগতিকদের হয়ে জালে বল জড়ান অ্যালেক্সান্ডার সরলথ ও আনহেল কোরেয়া এবং মিস করেন হুলিয়ান আলভারেজ এবং মার্কোস লরেন্তে। এর মধ্যে আলভারেজের গোলটি বাতিল হয় অদ্ভুতভাবে। ডান পায়ে শট নেয়ার আগে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হারান এই আর্জেন্টাইন তারকা। তাই বলে ছোঁয়া লাগে তার বাঁ পা-ও। দুবার বল ছোঁয়ার কারণে তা বল জালে পৌঁছালেও ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারিতে (ভিএআর) বাতিল হয় সেটি। এটিই শেষ পর্যন্ত ভাগ্য গড়ে দেয় ম্যাচের।