খেলা
ইয়ামাল-রাফিনহার রেকর্ডে শেষ আটে বার্সেলোনা
স্পোর্টস ডেস্ক
১৩ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার
আরও একবার জ্বলে উঠলেন পুরো মৌসুম জুড়ে ছন্দে থাকা রাফিনহা। চ্যাম্পিয়নস লীগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে জোড়া গোলে করলেন রেকর্ড। মঙ্গলবার গোলের সঙ্গে অ্যাসিস্ট করে রেকর্ড গড়লেন লামিন ইয়ামালও। ঘরের মাঠে বেনফিকার বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয় তুলে নিলো বার্সেলোনা। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলে কাতালানরা টিকিট কাটলো কোয়ার্টার ফাইনালের।
এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিজে এদিন দলের সঙ্গে যোগ দিতে দেরি হয় রাফিনহার। কারণটা জানা যায় ম্যাচের পর। ব্রাজিলিয়ান তারকার স্ত্রী নাতালিয়া রদ্রিগ্রেজ জানান, স্থানীয় সময় সকালে তাদের সন্তানের সঙ্গে হাসপাতালে অবস্থান করছিলেন স্বামী রাফিনহা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নাতালিয়া লেখেন, ‘তোমার জন্য আমি গর্বিত, আমার ভালোবাসা। খুব সকাল থেকে তুমি আমাদের সন্তানের সঙ্গে হাসপাতালে ছিলে, তবুও তুমি দুর্দান্তভাবে তোমার কাজটা করতে পেরেছো। তুমি অসাধারণ একজন বাবা ও সত্যিকারের পেশাদার। আমরা তোমাকে ভালোবাসি।’ এদিন বেনফিকার গোলের দিকে ২০টি শটের মধ্যে ৬টি লক্ষ্যে রাখতে পারে বার্সেলোনা। সফরকারীদের ৮টির মধ্যে লক্ষ্যে থাকে ২টি শট। বিরতির আগের বেনফিকার জালে ৩ বার বল জড়ায় স্বাগতিকরা। একাদশ মিনিটে গোলের উদ্বোধন করেন রাফিনহা। প্রতিপক্ষ দলের ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে একাই ডি বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েন ইয়ামাল। বাঁ প্রান্তে থাকা রাফিনহার দিকে বল বাড়ালে ভলিতে গোল করেন তিনি। যদিও দুই মিনিটের মধ্যে গোল শোধ করেন বেনফিকার নিকোলাস ওতামেন্দি। বার্সা গোলকিপার ভয়চেক সেজনির হাতে বল লাগলেও শেষমেষ তা প্রতিহত হয়নি। ২৭তম মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে ফের ব্যবধান বাড়ান ইয়ামাল। ডি বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে গোল করন এই স্প্যানিশ তরুণ। এই গোলেই রেকর্ড গড়েন ইয়ামাল। ১৭ বছর ২৪১ দিন বছর বয়সে চ্যাম্পিয়নস লীগের একই ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্ট করা সবচেয়ে কম বয়সী ফুটবলার এখন তিনিই। ইয়ামাল ভাঙেন ২০১৪তে বাসেলের হয়ে ব্রিল এমবোলোর ১৭ বছর ২৬৩ দিন বয়সে গড়া এই রেকর্ড। রাফিনহার রেকর্ডটি হয় ম্যাচের ৪২তম মিনিটে। মাঝমাঠ থেকে একাই বল নিয়ে এগিয়ে যান আলেহান্দ্রো বালদে। বক্সের কাছে গিয়ে শেষ মুহূর্তে তা বাড়িয়ে দেন অরক্ষিত রাফিনহার দিকে। জোরালো শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন এই ২৮ বছর বয়সী ফুটবলার। এ নিয়ে ইউরোপ সেরার মঞ্চে চলতি আসরে করলেন সর্বোচ্চ ১১ গোল। এ প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ব্রাজিলের আর কেউই এক আসরে ১০ গোলের বেশি করতে পারেননি। ১০টি করে গোল আছে নেইমার জুনিয়র, রিভালদোসহ মোট পাঁচজন। বিরতির পরে আর গোল না হলে ৩-১ স্কোরলাইনে শেষ হয় ম্যাচ। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলে শেষ আটে পৌঁছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। অন্য ম্যাচে দ্বিতীয় লেগে ফেইনুর্দের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলে জিতে কোয়ার্টার নিশ্চিত করেছে ইন্টার মিলান। লেভারকুজেনের মাঠে ২-০ গোলের জয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-০ গোলে টিকিট পেয়েছে বায়ার্ন মিউনিখও।