শেষের পাতা
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়
কূটনৈতিক রিপোর্টার
৭ আগস্ট ২০২২, রবিবার
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল জে সিসন দু’দিনের সফরে এখন ঢাকায়। গতকাল বিকালে তিনি বাংলাদেশে পৌঁছান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমেরিকাস অনুবিভাগের মহাপরিচালক নাঈম উদ্দিন আহমেদ অতিথিকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান। এশিয়ার তিন দেশ সফরের অংশ হিসেবে সিসন ঢাকায় এসেছেন। কূটনৈতিক সূত্র বলছে, স্বপ্রণোদিত সফরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ঢাকায় পৌঁছানোর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন মার্কিন সহকারী মন্ত্রী। তার সফরটি পূর্ব- নির্ধারিত। উল্লেখ্য, গতকাল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি জে ব্লিনকেনের সঙ্গে কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে এআরএফ-এর অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে মোমেন অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় করেছেন। যার একটি ছবি মোমেন নিজেই তার ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। সেখানে কি আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে এখনো ঢাকা কিংবা ওয়াশিংটন কেউই মুখ খোলেনি। কূটনৈতিক সূত্র বলছে, মার্কিন সহকারী মন্ত্রী সিসন খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মোকাবিলা, বৈশ্বিক স্বাস্থ্যগত অগ্রগতি, মানবাধিকার ও মানবিক চাহিদা চিহ্নিত করা, শান্তিরক্ষা ও শান্তি বিনির্মাণ এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সহযোগিতাসহ মার্কিন বহুপক্ষীয় অগ্রাধিকার নিয়ে ঢাকা সফরে পরামর্শ করবেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে তথ্য অনুযায়ী, জ্যৈষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার বৈঠকে জাতিসংঘে আমাদের সহযোগিতাকে আরও গভীর করার সুযোগ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের পরবর্তী সেক্রেটারি-জেনারেল হওয়ার জন্য ডোরেন বোগদান-মার্টিনের প্রার্থিতার জন্য মার্কিন সমর্থনের ওপর আলোকপাত করা হবে। সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা বিনিময় করবেন। তবে ঢাকার কূটনৈতিক সূত্র বলছে, পূর্ব নির্ধারিত আলোচ্যসূচি যাই হোক চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আচমকা ঢাকা সফরের প্রেক্ষাপটে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মার্কিন সহকারী মন্ত্রীর বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে নিশ্চিতভাবে কথা হবে। সিসন ২০২১ সালের ২১শে ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক সংস্থা বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। তিনি শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপে মার্কিন রাষ্ট্রদূত (২০১২-২০১৪), লেবাননে মার্কিন রাষ্ট্রদূত (২০০৮-২০১০) ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত (২০০৪-২০০৮) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।