ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

প্রথম পাতা

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি আট পরিবারের ৩৬০০ কোটি টাকা

জুলকারনাইন সায়ের ও শরিফ রুবেল
৮ মার্চ ২০২৫, শনিবার
mzamin

শেখ হাসিনার সঙ্গে রাজীব সামদানি দম্পতি ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে সুরক্ষিত ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুনাম রয়েছে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের। এদের মধ্যে ক্রেডিট সুইস ব্যাংক অন্যতম। ২০২২ সালে ফাঁস হওয়া সুইস সিক্রেটসে বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে বেশ কিছু বাংলাদেশির সুইস ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমার তথ্য প্রকাশ্যে আসে। সুইস সিক্রেটস নামে বহুল পরিচিত অনুসন্ধানী  প্রতিবেদনের সঙ্গে যুক্ত ওসিসিআরপি (অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট বা সংঘবদ্ধ অপরাধ ও দুর্নীতি প্রতিবেদন প্রকল্প) হতে প্রাপ্ত তথ্যে বাংলাদেশ অংশের নথি পর্যালোচনা করে ব্যাংকটিতে বাংলাদেশের ৮ পরিবারের প্রায় ৩৬০০ কোটি টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ব্যাংকটিতে এসব পরিবারের অন্তত ৬৮টি একাউন্ট রয়েছে। এই ব্যাংক হিসাবগুলোতে ২৬১.৯ মিলিয়ন ডলার (২৬.১৯ কোটি) সুইস ফ্রাঁ বিভিন্ন সময়ে গচ্ছিত ছিল। পাশাপাশি ব্যাংক হিসাবগুলো থেকে মাঝেমধ্যে টাকা উত্তোলন ও জমাদানের তথ্যও পাওয়া গেছে। অধিকাংশ হিসাবই ২০১২ সাল থেকে ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে খোলা হয়। কিছু হিসাব বন্ধও করে দেয়া হয়। এই বিপুল পরিমাণ টাকা জমা রাখা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে সামদানি পরিবারের নাম। এই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রাজীব সামদানি, তার স্ত্রী নাদিয়া সামদানি, ছোট ভাই মেহেদী সামদানি ও তার কোম্পানি গোল্ডেন হারভেস্ট পরিচালক মহিয়াস সামাদ চৌধুরী সুইস ব্যাংকে হাজার কোটির বেশি গচ্ছিত রেখেছেন। 

অপরদিকে বিপুল পরিমাণ টাকা জমা রেখেছেন আজিজ মোহাম্মদ ভাই, তার বোন নূরজাহান হুদা, জামাতা হুদা এল ইদ্রোস। এছাড়া আলোচিত-সমালোচিত মিরালী গ্রুপের সদস্যেদেরও সুইস ব্যাংকে অঢেল টাকা জমা রয়েছে। এরমধ্যে মুবারক আলী, সকিনা নাসরুল্লাহ মিরালী, সামাদ নাসরুল্লাহ মিরালী নামে এই অর্থ গচ্ছিত রয়েছে। বিপুল পরিমাণ অর্থ রয়েছে হিসামুদ্দিন সালেহ, ফাতেমা সালেহ, আমিন সালেহ, রহিমা ফুড কর্পোরেশনের আব্দুর রউফ চৌধুরী, রবি রউফ চৌধুরী, রাফিয়া চৌধুরী, মাসুক হক, আফরোজা হক, সিলেটের সাবেক এক এমপি’র পরিবার, আরবান রেসিডেনসিয়াল চেয়ারম্যান খন্দকার ফিরোজ কাইয়ূম, ক্লিপ অ্যান্ড ফিক্স লিমিটেডের পরিচালক হীরা রাজ্জাক, প্রয়াত একজন অর্থনীতিবিদ, ফার্মাসিউটিক্যাল ব্যবসায়ী মনসুর ইয়াজদানির ব্যাংক হিসাবেও। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সুইস ব্যাংকে টাকা জমা রাখা বাংলাদেশিদের সকলের জমার পরিমাণ ছাড়িয়ে গেছেন রাজীব সামদানি পরিবার। এই রাজীব সামদানি গোল্ডেন হার্ভেস্ট গ্রুপের কর্ণধার। আরও বড় পরিচয়- তিনি বিশ্বখ্যাত মূল্যবান শিল্পকর্ম সরবরাহকারী। গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী নেতা, এমপি, মন্ত্রীদের বাসায় সোভা পাওয়া কোটি কোটি টাকার দুর্লভ শিল্পকর্ম এই রাজীবের সরবরাহ করা। প্রতি বছর ঢাকা আর্ট সামিটের নামে দেশি-বিদেশি শতকোটি টাকার শিল্পকর্ম প্রদর্শন করেন সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশন। এই মেলার আয়োজকও তিনি। 

তার সংগ্রহে রয়েছে দেশবরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান থেকে শুরু করে কোরীয় ভাস্কর হেগুয়ে ইয়াংয়ের শিল্পকর্মও। ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে শেখ রেহানার গাজীপুরের বাড়ি ও গুলশানে একজন উপদেষ্টার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। তখন সেখান থেকে মূল্যবান শিল্পকর্ম লুট হয়। এসব শিল্পকর্ম রাজীব সামদানির সরবরাহ করা ছিল। এছাড়া পতিত শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবন, শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতেও রাজীবের সরবরাহ করা প্রায় হাজার কোটি টাকার শিল্পকর্ম ছিল। যা লুট হয়ে যায়। তিনি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। জানা গেছে, রাজীবের প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন হারভেস্ট অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ২১৫ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ রয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সুইস ব্যাংকে সামদানি পরিবারের মোট ১১টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। এসব ব্যাংক হিসাবে ৫ কোটি ৬১ লাখ ৪২ হাজার ৭৭১ সুইস ফ্রাঁ গচ্ছিত আছে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ৭৫৭ কোটি ৯২ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫ টাকা। এর মধ্যে রাজীব সামদানির ব্যাংক হিসাবে রয়েছে ১ কোটি ১১ লাখ, ৯৩ হাজার ৫৯ সুইস ফ্রাঁ, স্ত্রী নাদিয়া সামদানির ব্যাংক হিসাবে আছে ১ কোটি ১১ লাখ ৯৩ হাজার ৫৯ সুইস ফ্রাঁ, গোল্ডেন হারভেস্টের পরিচালক মহিয়াস সামাদের ব্যাংক হিসাবে আছে ২ কোটি ২৩ লাখ ৮৬ হাজার ১১৮ সুইস ফ্রাঁ, ছোট ভাই মেহেদী সামদানির ব্যাংক হিসাবে আছে ১ কোটি ১১ লাখ ৯৩ হাজার ৫৯ সুইস ফ্রাঁ। আলোচিত সুইস ব্যাংকে টাকা জমা রাখায় পিছিয়ে নেই আজিজ মোহাম্মদ ভাইর পরিবার। 

ব্যাংকটিতে এই পরিবারের ১২টি হিসাব রয়েছে। এসব ব্যাংক হিসাবে ৫ কোটি ৩৩ লাখ ৭৬ হাজার ৪৪১ সুইস মুদ্রা জমা আছে। যা বাংলাদেশি টাকায় ৭২০ কোটি ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৫৩৫ টাকা। এরমধ্যে আজিজ মোহাম্মদ ভাইর ব্যাংক হিসাবে ৯৬ লাখ ৮০ হাজার ৭২৯ সুইস ফ্রাঁ। তার ছোট বোন নূরজাহান হুদার ব্যাংক হিসাবে আছে ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ সুইস ফ্রাঁ। বোন জামাই হুদা এল ইদ্রোসের ব্যাংক হিসাবে আছে ৯১ লাখ ১৯ হাজার ৪০ সুইস ফ্রাঁ। এছাড়া বিদেশি কোম্পানিতে গোপন বিনিয়োগকারীদের তথ্য প্রকাশ করে বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসা প্যানডোরা পেপার্সের চূড়ান্ত তালিকায় নাম এসেছিল বাংলাদেশি মিরালী পরিবারের। সুইস ব্যাংকে আলোচিত এই পরিবারের ৯টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। এসব ব্যাংক হিসাবে ৪ কোটি ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার ৬০ সুইস মুদ্রা রয়েছে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৯১ কোটি ৭৫ লাখ ৯৮ হাজার ১০০ টাকা। এর মধ্যে মোবারক আলীর ব্যাংক হিসাবে আছে ১ কোটি ১০ হাজার ৩৫০ সুইস ফ্রাঁ, স্ত্রী সকিনা নাসরুল্লাহ মিরালীর ব্যাংক হিসাবে আছে ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ সুইস ফ্রাঁ, ছেলে সামাদ নাসরুল্লাহ মিরালীর ব্যাংক হিসাবে আছে ৮২ লাখ ৪৭ হাজার ৩৮ সুইস ফ্রাঁ। বেঙ্গল গ্লাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসামুদ্দিন সালেহ পরিবারের সুইস ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ টাকা জমা রয়েছে। ব্যাংকটিতে এই পরিবারের অন্তত ১৮টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। 

এসব ব্যাংক হিসাবে ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৮২৯ সুইস ফ্রাঁ গচ্ছিত আছে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৮০ কোটি ১৪ লাখ ১১ হাজার ৯১৫ টাকা। এরমধ্যে হিসামুদ্দিন সালেহর ৯টি ব্যাংক হিসাবে আছে ২ কোটি ৩১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮১ সুইস ফ্রাঁ, স্ত্রী ফাতেমা সালেহর ৬টি ব্যাংক হিসাবে আছে ১ কোটি ৯৩ লাখ ২৩ হাজার ৪৬৯ সুইস ফ্রাঁ, ছেলে আমান সালেহর ৩টি ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ২৯ লাখ ৭০ হাজার ৯৬৮ সুইস ফ্রাঁ। রহিমা ফুড কর্পোরেশন ও সিটি সুগার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ চৌধুরী পরিবারের ৩টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। এসব ব্যাংক হিসাবে ৩৮ লাখ ৩০ হাজার ৮৮৯ সুইস ফ্রাঁ। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ৫১ কোটি ৭১ লাখ ৭০ হাজার ১৫ টাকা। এরমধ্যে আব্দুর রউফ চৌধুরীর ছেলে রবি রউফ চৌধুরীর ১টি ব্যাংক হিসাবে ১০ লাখ ৭৩ হাজার ১৭৫ সুইস মুদ্রা, স্ত্রী রাফিয়া চৌধুরীর ২টি ব্যাংক হিসাবে ২৭ লাখ ৫৭ হাজার ৭১৩ সুইস ফ্রাঁ। এছাড়া সুইস ব্যাংকে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নির্মাণ প্রতিষ্ঠান সানমার প্রপার্টিজ এর মালিক মাসুক হক ও তার স্ত্রী আফরোজা হকের দু’টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। এতে ৫৪ লাখ ৬৬ হাজার ৮৮৪ সুইস ফ্রাঁ রয়েছে। বাংলাদেশি টাকার যার পরিমাণ ৭৩ কোটি ৮০ লাখ ২৯ হাজার ৩৪০ টাকা। এছাড়া এই দম্পত্তি ২০১১ সালে সুইস ব্যাংকে দু’টি একাউন্ট খুলে তাতে ৫৪ লাখ ৬৬ হাজার ৮৮৪ সুইস ফ্রাঁ জমা রেখে ২০১৪ সালে তা তুলে নেন।  

সিলেটের সাবেক একজন এমপি পরিবারের ১টি জয়েন্ট ব্যাংক হিসাব রয়েছে। বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত পরিবারটির হিসাবে ১ কোটি ৭০ লাখ ৫ হাজার ৩০৭ সুইস ফ্রাঁ গচ্ছিত আছে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ২২৯ কোটি ৫৭ লাখ ১৬ হাজার ৪৪৫ টাকা। এছাড়া প্রয়াত একজন অর্থনীতিবিদের সুইস ব্যাংকে ১টি হিসাবে ৭ লাখ ১৭ হাজার ১ সুইস ফ্রাঁ, হিরা রাজ্জাকের ব্যাংক হিসাবে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৮০ সুইস ফ্রাঁ, খন্দকার ফিরোজ কাইয়ূমের ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ৪৩ লাখ ৩৬ হাজার ৮৬২ সুইস ফ্রাঁ, মনসুর ইয়াজদানি খানের ব্যাংক হিসাবে ৪১ লাখ ১৩ হাজার ৪৬২ সুইস ফ্রাঁ জমা রয়েছে। বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ ২৬৯ কোটি ৪১ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৫ টাকা। এছাড়া এর আগে ২০১০ সালে দু’টি হিসাব খুলে ২০১২ সালে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে ওই হিসাবে ১১ লাখ ৮৭ হাজার ৯৪০ সুইস ফ্রাঁ লেনদেন করা হয়। উল্লেখ্য, সুইস ব্যাংকে যে কোনো দেশের নাগরিকরাই আর্থিক হিসাব পরিচালনা করতে পারেন। এটি সম্পূর্ণ বৈধ। এই প্রতিবেদন উপরে উল্লিখিত ব্যক্তিরা অর্থপাচার বা অবৈধ পথে উপার্জন করে সুইস ব্যাংকে রেখেছেন এমন দাবি করে না।

 

পাঠকের মতামত

Nobody can take such a big amount to others counties in legal way . Definitely they had taken it wrong way . There is no doubt. Why did this journalist wrote last three four sentence I don’t understand?

Ikram
৯ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ৯:২৩ অপরাহ্ন

এইসব অপকর্মের মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও জয়।

Syed Abdul Awal
৯ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ৮:০০ অপরাহ্ন

হায়রে মানুষ! তোমরা কিভাবে পরকালে এত টাকার হিসেব দিবে?

Iqbal Hossain
৯ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ৫:৪৪ পূর্বাহ্ন

আমি সুইস ব্যাংকে 100 টাকা রাখতে চাচ্ছি।

Muhammad Amdad
৯ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ৪:৩৩ পূর্বাহ্ন

দেশের সরকারি সংস্থাগুলি এই প্রতিবেদন দেখে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয় না কেন?

Serajul Kader
৯ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন

এই রিপোর্টের শেষ কলামে এদের আইনগত ভাবে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। আইনের দিক দিয়ে এগুলো যদি বৈধ হয়, তবে এ রিপোর্টের অর্থ কি? মানুষের ব্যাংক হিসাব প্রকাশ করা কি সঠিক। এদের প্রত্যেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও উৎপাদিত পণ্য অত্যন্ত মানসম্মত আমার জানামতে। প্রধান উপদেষ্টার বিদেশে কত টাকা পাঠিয়েছেন, এটা নিয়ে আপনারা রিপোর্ট করেন না কেন?

Ishtiaque A Chowdhur
৮ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৭:৪০ অপরাহ্ন

কারো বৈধ টাকার হিসাব অন্য মানুষের কাছে প্রকাশ করে লাভ কি? বৈধ বলছি এ কারণে, যেহেতু প্রতিবেদনের শেষে উল্লেখ আছে- “উল্লেখ্য, সুইস ব্যাংকে যে কোনো দেশের নাগরিকরাই আর্থিক হিসাব পরিচালনা করতে পারেন। এটি সম্পূর্ণ বৈধ। এই প্রতিবেদন উপরে উল্লিখিত ব্যক্তিরা অর্থপাচার বা অবৈধ পথে উপার্জন করে সুইস ব্যাংকে রেখেছেন এমন দাবি করে না।” প্রশ্ন করা যায় তাহলে কি, অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছিল?

শাওন মাহমুদ
৮ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৭:২৩ অপরাহ্ন

আট টি পরিবারের সদস্যদের সবাই মোট ৩৬০০ কোটি টাকার মালিক। এইটা কি খুব বড় অংকের টাকা? এ সমস্ত ব্যবসায়ীরা যে মাপের বা বাংলাদেশে তাদের যে মাপের ব্যবসা রয়েছে তাতে এই অংক ৩৬০০০ কোটি টাকা হলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।

Siddq
৮ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৫:১৯ অপরাহ্ন

আশাকরি সরকার তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবে।

Salim
৮ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৫:০৩ অপরাহ্ন

শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতেও রাজীবের সরবরাহ করা প্রায় হাজার কোটি টাকার শিল্পকর্ম ছিল। যা লুট হয়ে যায়। ***৩২ লুট হয়েছে সত্য কিন্তু তার ভিতরের কি ছিল সেটারতো বহু ডকুমেন্টস ছবি আছে অবশ্যই। আমার জানার ও দেখার ইচ্ছা কোন গুলির মুল্য হাজার কোটি টাকা? ***এইসব হিসাব নিকাশ আমরা ভালো বুঝিন তবে এইটা বুঝি দেশে লুটপাট তন্ত্র চালুছিল।তাই এই হিসাবের সুত্র ধরে যদি বিচার না হয় তবে ধরে নিব এইসব অপপ্রচার,,,,

এম এ কবির
৮ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৩:১৪ অপরাহ্ন

রহিমা ফুড কর্পোরেশন বা সিটি গ্রুপ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ চৌধুরী নয় বরং ফজলুর রহমান। এটা ওদের ওয়েবসাইট এর প্রাপ্ত তথ্য। আর আব্দুর রউফ চৌধুরী নামে যিনি আছেন উনি তো রাংগস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আর উনার ছেলের নাম রবি রউফ চৌধুরী নয়, রোমো রউফ চৌধুরী। এই বিষয়টা পরিষ্কার করবেন আশা করি।

ফারুখ
৮ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ১:৫৭ অপরাহ্ন

সুইস ব্যাংক বাংলাদেশ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির প্রয়োজনীয় তথ্য নিলেই তো পারে। একটি দেশে কোন ব্যক্তি গেলে তার পাসপোর্ট ভিসা সব চেক করা হয়। কেউ 100 কোটি ডলার দিল আর তা আপনি সুইস ব্যাংকে রেখে দিলেন। আলিবাবা চল্লিশ চোরের গল্পটি মনে পড়ছে। সবাইকে green কার্ড দিলেই তো পারে। কঠোর হওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। তাহলে কোন দেশেই একটা টাকা পয়সা রাখা যাবে না। সব চুরি করে সুইস ব্যাংকে রাখবে। এখন সুইস ব্যাংক অথোরিটি বুঝুক। বাংলাদেশের যতটুকু করা দরকার ততটুকু করা উচিত। ঘুষ আর দুর্নীতির রমরমা ব্যবসা এখন তুঙ্গে। বাজারের সাথে সংগতি রেখে একজনের বেতন নির্ধারণ করা উচিত। তা না হলে এসব আজীবন ধরে চলবে। এক কাপ চা খেতেও তো দশ টাকা লাগে পাঁচ টাকা দিলে কি সে নেবে। এমন চা দোকানদার দেশে কি আছে। যুক্তরাষ্ট্রে মানুষ তো আর শুধু শুধু যায় না। সেখানে থাকা খাওয়ার ভালো ব্যবস্থা আছে। সব সম্পত্তি বিক্রি করে হলেও যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া চাই। তাদেরই বা দোষ কিসের। দুটো ভাতের জন্যই তো সংগ্রাম।

Anwarul Azam
৮ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ১:১০ অপরাহ্ন

আমার নামটি আসে নাই কেন।

mdajgor hossain
৮ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ১:০৭ অপরাহ্ন

আগে শুনতাম সুইস ব্যাংকে টাকা রাখলে সম্পুর্ন গোপন থাকে তথ্য। কিন্তু এখন দেখছি পয়সা সহ হিসাব জানা যায়। তাহলে সুইস ব্যাংকে টাকা রেখে লাভ কি?

Mohsin
৮ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন

এরা সবাই নিরাপদে আছে।

M M Taher Ahmed
৮ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন

যেকোন ভাবে টাকা গুলো নিয়ে আসা উচিৎ

Md Ashiquzzaman khan
৮ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ১১:২৩ পূর্বাহ্ন

বৈধ টাকা হলে দেশে না রেখে সুইস ব্যাংকে জমা রাখতে হবে কেন? এগুলো তদন্ত হওয়া উচিৎ তাহলেই আসল সত্য বের হবে

নজরুল ইসলাম
৮ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন

এরা কি দেশে আছে, থাকলে ধরে টাকাগুলো দেশে ফিরিয়ে এনে এদের বিচার করা হোক

কবি সুজন ইসলাম
৮ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৯:৫৪ পূর্বাহ্ন

জনগনের টাকা লুট করেছে

Shibluahamed
৮ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৯:৩০ পূর্বাহ্ন

এক্সিলেন্ট রিপোর্ট বাট সিলেটের এমপি ও অর্থনীতিবিদের নাম না থাকার কারণ কী?

সিপন আহমেদ
৮ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৭:৪৯ পূর্বাহ্ন

এত টাকার হিসাব দেখলে আমার সুগার ফল করে, মাথা ঘোরে।

তাজ
৮ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৫:০৫ পূর্বাহ্ন

সবার নাম নিলেন, সিলেটের সাবেক এমপি্র নাম দিলেন না কেন

DIDAR
৮ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ২:৪৮ পূর্বাহ্ন

ভাবতে অবাক লাগে যে এসব শিক্ষিত, সাব নামের চোর গুলোর বড়লোকগিরি দেখতে। জনগণের টাকা চুরি করে ওরা সাহেব। ছিঃ। ধিক।

Mohammed Rafiqul Isl
৮ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ২:৪১ পূর্বাহ্ন

Thanks for publishing this kind of news, we expect more from Manbjamin & Jonab Motiur Rahman

Faisal Ahmed
৮ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ২:৩৩ পূর্বাহ্ন

সবারই নাম বললেন,সিলেটের সাবেক এমপির নাম বললে সমস্যা কি ছিল?

Saber ahmed
৮ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ১২:৫০ পূর্বাহ্ন

কিভাবে খুটে খুটে পিশাচগুলো খুটে খুটে দেশটাকে লুটে খেয়েছে!!! এখন আরেক গ্রুপ সিরিয়ালে আছে।

Arifur Rahman
৮ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status