অনলাইন
জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি
ভাড়া সমন্বয়ের দাবি পরিবহন মালিকদের
স্টাফ রিপোর্টার
(১ সপ্তাহ আগে) ৬ আগস্ট ২০২২, শনিবার, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:২৫ অপরাহ্ন

জ্বালানি তেলে দাম বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীতে গণপরিবহনের সংকট দেখা দিয়েছে। গতকাল রাতে জ্বালানির নতুন দাম কার্যকর করার ঘোষণার আসার সঙ্গে সঙ্গেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে বন্ধ হয়ে যায় সিটি পরিবহন। এতে চরম বিপাকে পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি বাসে খরচ দ্বিগুণ বেড়েছে। হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়লেও যাত্রীরা বাড়তি ভাড়া দিতে ইচ্ছুক নয়। এনিয়ে বাকবিত-ার আশঙ্কা রয়েছে। আগেও বিভিন্ন সময়ে পরিবহন স্টাফ ও যাত্রীদের মধ্যে ভাড়তি ভাড়া নিয়ে নানা ঘটনা ঘটছে। এজন্য যাত্রীদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দ্রুত বাস ভাড়া সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছেন পরিবহন মালিকরা। তারা বলছেন, বাস ভাড়া সমন্বয় না করে সড়কে বাস নামালে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারা। এছাড়া বাসের স্টাফ ও যাত্রীদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা চলতে থাকবে।
মহাখালী বাস টার্মিনাল বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক গণমাধ্যমকে বলেন, হঠাৎ করেই তেলে দাম বাড়িয়েছে সরকার। এতে কেউ লোকসান দিয়ে বাস চালাতে চাচ্ছে না। যাত্রীরাও ভাড়তি ভাড়া দিতে চাইবে না। আশা করছি সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করে দেবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিবহন মালিক সমিতির শীর্ষ এক নেতা বলেন, ভাড়া সমন্বয় না হলে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হবে। যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়বে। আমরা যাত্রীদের সঙ্গে বাকবিত-ায় যেতে চাচ্ছি না। জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে সরকার ভাড়া সমন্বয় করে দিলেই রাস্তায় বাস নামাবো।
সূত্রে জানা যায়, আজ বিকলে ৫টায় পরিবহন মালিকরা নিজেদের মধ্য বৈঠক করবেন। সেখানে বাড়তি ভাড়াসহ কয়েকটি বিষয়ে দাবি তুলবেন তারা। আগামীকাল সরকারের সঙ্গে বৈঠক করারও চেষ্টা করছেন তারা।
এদিকে চট্টগ্রাম নগরীতে গাড়ি না চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপ। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বলেন, শনিবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম নগরীতে বাস চালাব না। তবে রাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে সরকার জ্বালানি তেলের দাম ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। এত দাম দিয়ে জ্বালানি কিনে একই ভাড়ায় আমাদের পক্ষে গাড়ি চালানো সম্ভব না।
পাঠকের মতামত
কর রেয়াত, চাদাবাজি বন্ধ, রাস্তায় পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা গেলে ভাড়া বাড়াতে হয়না । এছাড়া বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমছে এরপরও দাম বাড়াতে হবে কেন? তেলের দাম ৫০% বাড়লে বাসের পরিচালন ব্যায় ৫০% বাড়েনা, অথচ মাফিয়া চক্র এই উছিলায় অযৌক্তিক ভাড়া বাড়িয়ে বিপুল অর্থ হস্তগত করবে । অতীতের ন্যায় এবারও রাষ্ট্র জনগনের পক্ষে দাড়াবে না ।