শেষের পাতা
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসছেন কাল
বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা
কূটনৈতিক রিপোর্টার
৫ আগস্ট ২০২২, শুক্রবার
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বাংলাদেশে আসছেন আগামীকাল শনিবার। তার এ সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে বেশ ক’টি চুক্তি সই হতে পারে। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। বলেন, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ৬ই আগস্ট সকালে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন এবং ৭ তারিখে ফিরে যাবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে ৭ই আগস্ট সকালে তিনি বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক গভীর এবং বিস্তৃত। সে জায়গা থেকে আসন্ন সফরে একাধিক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে নবায়ন, নতুন সহযোগিতা, বিশেষ করে দুর্যোগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। কোন কোন বিষয়ে চুক্তি বা সমঝোতা সই হতে পারে- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ তালিকা এখনো চূড়ান্ত হয়নি, অপেক্ষা করতে হবে।
সেই হিসেবে দুর্যোগ প্রকল্পে চীনের ঋণ নেয়া হতে পারে, তবে বৃহৎ কোনো প্রকল্পে চীনের ঋণ নিচ্ছি না। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে চীনের প্রতি কোনো শক্ত চাপ থাকবে কিনা- জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই থাকবে। রোহিঙ্গা ইস্যু আমাদের টপ প্রায়োরিটিতে থাকা এজেন্ডা। এ সফরে এ ইস্যু গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। আপনারা দেখেছেন যে, সমপ্রতি আসিয়ানের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে চীনের প্রতি শক্ত বার্তা দেয়া হয়েছে এবং একইসঙ্গে চীনের স্টেট কাউন্সিলর যখন ভিজিট করছেন তার মাত্র দুই-আড়াই সপ্তাহ আগে আইসিজে রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের প্রাথমিক রায় দিয়েছে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যখন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরে আসছেন আমরা নিশ্চয়ই বার্তাটি দেব এবং তাদের আরও জোরালো ভূমিকা আহ্বান করবো। প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে রাজনৈতিক সমাধানের জন্য চীনের সহযোগিতা আমরা অবশ্যই চাইবো। আমরা এই বার্তা পেয়েছি যে, মিয়ানমার যে পথে যাচ্ছে, তা নিয়ে চীনেরও অসন্তোষ (রিজারভেশন) রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা সবসময়ই ‘এক চীন’ নীতিতে বিশ্বাস করি। আমরা চাই যে, এ ইস্যুতে পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয়। কেননা বিশ্ব যথেষ্ট সমস্যার মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের আহ্বান হচ্ছে যে, সব পক্ষ যাতে এ ইস্যুতে সংযত আচরণ করে এবং জাতিসংঘের এ সংক্রান্ত নিয়ম মেনে চলে। আমরা আশা করি যে, এই পরিস্থিতির আর অবনতি হবে না। কেননা, বিশ্ব এখন নতুন সংকট বইতে পারবে না। অন্য বলয়গুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কী হবে- তা আমাদের ইস্যু। আমরা চাই না আমাদের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে কেউ পরামর্শ বা নির্দেশনা দিক। এ বিষয়ে বাংলাদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। তবে চীন বাংলাদেশের একটি বন্ধু রাষ্ট্র এবং তাদের অনেক পরিকল্পনার সঙ্গে আমাদের সম্মতি আছে।
পাঠকের মতামত
জনাব পররাষ্ট্র প্রতি মন্ত্রি -Please এবার আনারকলিকে বিমানবন্দরে পাঠান চায়নিজ ফরেন মিনিসটারকে রিসিভ করার জন্য। এতে করে বাংলাদেশের অনেক কাজ দ্রুত হয়ে যাবে এবং অনেক নূতন নূতন চুক্তি সাক্ষর হবে আনারকলি ইজ দ্যা বেস্ট চয়েস।যেহেতু আমরা ফরেন মিনিসটরি কোন প্রটোকলের ধার ধারি না কাজেই বয়োজেষ্ঠ্য মন্ত্রি মহোদয় এই গরমে কষ্ট না করে আনারকলিকেই পাঠিয়ে দিন।
গণতন্ত্র ধ্বংস করা কোন আভ্যান্তরিন ইস্যু হতে পারেনা। যা ইচ্ছা তা করার নাম আভ্যান্তরিন ইস্যু নয়।