খেলা
ব্যাটিং নয় বোলিংই মূল চ্যালেঞ্জ!
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বুধবার
২০২৩, সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে বড় স্বপ্ন নিয়ে ভারতে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু ৯ ম্যাচে ৭টিতে হেরে বসে দল। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর টানা ৭ হার। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছিল সাকিব আল হাসানের দল। এতে কোনো রকমে নিশ্চিত হয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। যে আসরের পর্দা উঠছে আজ। কাল ভারতের বিপক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচ টাইগারদের। কিন্তু মাঠে নামার আগে সেই পুরানো চিন্তা ব্যাটিং! ওয়ানডে বিশ্বকাপেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় স্বপ্নের জলাঞ্জলি দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। পাকিস্তান শাহীনসের অখ্যাত বোলিংয়ে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে মাত্র ২০২ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। দলের ৭ ব্যাটার দুই অঙ্ক স্পর্শ করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৪০ ছুঁয়ে আউট হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজ। ওপেনার সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান। বোলিংটাও ভালো হয়নি। হারতে হয়েছে সাত উইকেটে। তবে জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার জাভেদ ওমর বেলিম গোল্লা ব্যাটিং নয় এই আসরে তিনি চিন্তিত বোলিং নিয়ে। দৈনিক মানবজমিনকে তিনি বলেন, ‘দেখেন দুবাইয়ে উইকেটে ব্যাটাররা একটু স্ট্রাগল করবে। আমি প্রস্তুতি ম্যাচের ব্যাটিং দেখে খুব চিন্তিত নই। বরং পাকিস্তানে গিয়ে আমাদের চিন্তার নাম হতে পারে বোলিং। কারণ সেখানে উইকেট হবে তা একেবারেই ব্যাটিং স্বর্গ। আর এখন ওয়ানডেতেও টি-টোয়েন্টি স্টাইলে ব্যাটিং হয়। দেখার বিষয় হবে এই ধরনের পরিস্থিতি বোলাররা কীভাবে তা সামাল দেয়।’ দুবাইয়ে গতকালের দিনটি বিশ্রামে কাটিয়েছে বাংলাদেশ দল। প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ব্যাটিং নিয়ে চলমান দুশ্চিন্তা তো কাটলোই না, উল্টো প্রস্তুতি ম্যাচে যাচ্ছে তাই ব্যাটিং করে উল্টো চাপ বাড়িয়েছেন ব্যাটাররা। শাহীনসের অখ্যাত বোলিং বিভাগের সামনে মাত্র ২০২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। যেখানে ৪ উইকেট নেয়া উসামা মীরের মাত্র ১২টি ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। বাকি পাঁচ বোলারের মধ্যে পরিচিত বলতে মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। অন্যরা এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ পাননি। মূলত এমন একটি দলের বিপক্ষে এমন বাজে হার ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগের সক্ষমতা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে। এ নিয়ে জাভেদ বলেন, ‘দুবাইয়ে ব্যাটিংটা চ্যালেঞ্জ থাকবে। তবে পাকিস্তানে দলকে চিন্তা করতে হবে বোলিং নিয়ে। সেখানে উইকেটে ব্যাটাররা সুবিধা তুলে নিবে সবচেয়ে বেশি। আমি বলছি না যে আমাদের বোলিং খারাপ। আমাদের ব্যাটিংয়ের চেয়ে অনেক ভালো বোলিং। এরপরও পাকিস্তানে যে উইকেট হবে সেখানে মূল চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে বোলারদেরই। তাসকিন আহমেদ, নাহিদ ও রানাদের ওপর ভরসা রাখা যায়। কিন্তু তাদের সেরা বোলিংটাই দিতে হবে।’ জাভেদ ওমর খুব ভালো করেই জানেন বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত ব্যাটিংয়ে অন্যতম চিন্তার নাম ওপেনিং পজিশন। তার সময়ও একই পরিস্থিতি ছিল। এখনো সেই ব্যর্থতা থেকে পুরোপুরি মুক্তি মেলেনি। আরেকটা জায়গাতেও আমরা এখনো উন্নতি করতে পারিনি সেটি হলো রিয়েল ফার্স্ট বোলিং। রানাকে পাওয়া গেছে, তবে সে তা কতোদিন ধরে রাখতে পারে সেটি দেখার বিষয় আছে এখনো।’